এম.এস রানা,(উখিয়া): কক্সবাজার টেকনাফ মহা সড়ক এখন যাত্রীদের জন্য মরন যন্ত্রনার কারন হয়ে উঠেছে। ২ ঘন্টার পথ লাগছে ৪/৫ ঘন্টা। তীব্র গরমে এতো দীর্ঘ সময় গাড়িতে বসে থাকা যাত্রীদের কাছে অসহ্য হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি মায়ানমার সেনা কতৃক চরম নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরনার্থী আশ্রয় নিয়েছে উখিয়া কুতুপালং ও টেকনাফ নায়া পাড়া ক্যাম্প সহ সড়কের লাগুয়া বিভিন্ন স্থানে।
মানবতার অপরসীম দৃষ্টান্ত দেখিয়ে নানান সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র, ও দেশ বিদেশের সেচ্চাসেবী সংগঠন সহ মানবতা প্রেমী মানুষ। রোহিঙ্গাদের করুন অবস্থা দেখার জন্য রাষ্ট্রীয় মন্ত্রী, আমলা, গুরুত্বপুর্ন ব্যাক্তি সহ বিদেশী পর্যব্যক্ষন দলের আনাগোনার পাশাপাশি প্রতিদিন শত শত ত্রানের গাড়ি আসছে কক্সবাজার টেকনাফ মহা সড়ক দিয়ে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও হাজার হাজার মানুষ আসছে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের দুঃখ্য দুর্দশা স্ব-চোক্ষে দেখার জন্য। সড়কে নিয়মিত চলাচলরত ৫ শতাধিক দুরপাল্লার গাড়ি এবং ভিআইপিদের গাড়ি ছাড়াও নানা কিসিমের গাড়ি নিয়মিত চলাচল করার ফলে উক্ত সড়ক এখন দেশের এক আলোচিত মহা সড়কের পরিনত হয়ে উঠেছে, যার কারনে এ সড়কে যান চলাচলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। দিনের বেলায় কোন প্রকার কিছুটা স্বস্তিতে গাড়ি চলাচলা করলেও সন্ধা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে যানজটের তীব্রতা যন্ত্রনাদায়ক হয়ে উঠে। ২ ঘন্টার রাস্তা পার হতে সময় ব্যায় হয় দ্বিগুন,অনেক সময় তা হয়ে দাড়াঁয় ৪/৫ ঘন্টা। সকড়কে যানজট মুক্ত রাখার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জন গুরুত্বপুর্ন ষ্টেশন গুলোতে শত শত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিযুক্ত করলেও তারা যানজট নিরসনে হিমসিম খাচ্ছে। যাতায়ত সমস্যার কারনে টেকনাফ ষ্টেশন সহ সীমান্তবর্তি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় চরম ব্যঘাত সৃষ্টিji হচ্ছে। তাছাড়াও রোহিঙ্গা দর্শনে আসা লোক সংখ্যা বৃদ্বি পাওয়ায় বর্তমানে উক্ত সড়কে গাড়ি সংকট দেখা দিয়েছে। গাড়ি সংকট ও যানজটকে পুঁজি করে এক শ্রেনীর চালক গাড়ি ভাড়া অবৈধ ভাবে বৃদ্বি করে যাত্রীদের চরম ভাবে হয়রানী করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক চালক আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিনত হয়ে গেছে। বিগত সপ্তাহ পুর্বে উখিয়ার বিভিন্ন পরিবহন সংগঠন গুলো মাইকিং করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিলেও তা মানা হচ্ছেনা বলে অনেক যাত্রী ক্ষোভের সাথে জানান।
তবে সেনাবাহিনীর নির্ভীক সদস্যগন রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে ত্রান তৎপরতায় অংশগ্রহন করায় কক্সবাজার টেকনাফ মহা সড়কে যানজট মুক্ত হবে বলে সচেতন মহল মনে করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।