কক্সবাজারে অনিদিষ্টকালের কর্মবিরতির হুশিয়ারি ইন্টার্ন চিকিৎসকদের, গত চার মাস ধরে বেতন পাচ্ছে না কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কর্মরত ৬০ জন ইন্টার্ন চিকিসৎক। আগামী সোমবার সকাল ১১ টার মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধ না করলে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির আন্দোলনে যাবে শিক্ষানবিশ এই চিকিৎসকরা।
শনিবার দুপুরে সদর হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের কার্যালয়ে এক সংবাদে সম্মেলনে ইন্টার্ন চিকিৎসেকরা এই তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. আরিফুল ইসলাম বলেন, গত ২০১৬ সালের ১৭ নভেস্বর এক সঙ্গে ২৭ জন ইন্টার্নি চিকিৎসক যোগ দেয়। যোগ দেয়ার পর প্রথম মাস বেতন পরিশোধ করলেও গত ডিসেম্বর থেকে এখন চার মাস বেতন বকেয়া। এছাড়াও আগে থেকে ইন্টার্নি চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন ৩৩ চিকিৎসক। তাদের বেতন গত জানুয়ারি থেকে আটকে রাখা হয়েছে। সবমিলিয়ে এখন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কর্মরত ৬০ জন ইন্টার্নি চিকিৎসকের বেতন বকেয়া।
তিনি আরো বলেন, ইন্টার্নি করার সময় বাইরে কোথাও চাকরির সুযোগ নেই। তাই সামান্য বেতনের উপর নির্ভর থাকতে হয়। কিন্তু এখন সেই বেতনও কয়েক মাস ধরে আটকে রয়েছে। বেতন আটকে রাখার বিষয়ে হাসপাতাল প্রশাসনের সাথে কয়েক দফায় কথা হয়েছে। যতবারই বেতনের বিষয়ে কথা বলি ততবারই আশ্বাস দেন। মাঝেমধ্যে মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘসূত্রিতার অজুহাত দেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক, স্টাফ কারও বেতন বকেয়া নেই। শুধুমাত্র ইন্টার্নি চিকিৎসকদের বেতন নিয়ে তালবাহনা। অনেকের কাছে ধর্ণা দিয়েছি কোন কাজ হয়নি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি বকেয়া বেতনের দাবীতে আন্দোলনে যাওয়ার। আগামি দুইদিনের মধ্যে অর্থ্যাৎ সোমবার সকাল ১১ টার মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধ করা না হলে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাবে ইন্টার্নি চিকিৎসকেরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রবিন, সহ-সভাপতি ডা. রাজিব দাশ, সহ-সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম লিমনসহ সকল ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করছেন সহকারি পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম। পেশাগত কারণে তিনি বিদেশ সফর করায় বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করছেন ডা. বিধান পাল। বকেয়া বেতনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অস্থায়ীভাবে দায়িত্বে আছি। বেতনের বিষয়ে আমার কিছু করার নেই।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।