
বিভিন্ন সময় বৃষ্টির কারণে কক্সবাজারে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও অবৈধভাবে বসতি গড়ে তোলা বন্ধ হচ্ছে না। তাই এবার বর্ষা মৌসুমের আগেই পাহাড়ে ঝুঁকিতে থাকা অবৈধ বসতি উচ্ছেদে অভিযান নামছে জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে শহরের বিভিন্ন পাহাড়ে গড়ে ওঠা ৩০ হাজার বসতিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব বসতি এক সপ্তাহের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।
জানা গেছে, শহরের ঘোনারপাড়া, মোহাজেরপাড়া, বৈদ্যঘোনা, পাহাড়তলী, রুমালিয়ারছড়া, গরুর হালদা, সিটি কলেজ, সাহিত্যিকপল্লী, বিজিবি ক্যাম্প এলাকা, বাস টার্মিনাল, ডিককুল, লারপাড়া, লাইট হাউজ, বাদশ ঘোনা, ফাতেরঘোনাসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় কেটে গড়ে উঠেছে ৩০ হাজারের মতো অবৈধ বসতি। অতীতে এসব এলাকায় বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে বহু মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত বছর শহরের বাহারছড়ার রাডার স্টেশনের পাহাড় ধসে পাঁচজন নিহত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পাহাড়ে বসতি স্থাপনে কড়াকড়ি আরোপ করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বসতি স্থাপন বন্ধ হয়নি।
অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদে সম্প্রতি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে শহরের গরুর হালদা, বিজিবি ক্যাম্পস্থ পল্লাইন্যাকাটা ও লাইট হাউজ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালায়। ওই সময় কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করে বাকিগুলো দখলদারদের নিজ দায়িত্বে সরিয়ে ফেলতে বলা হয়। কিন্তু অবৈধ দখলদাররা এ নির্দেশ মানেনি। উল্টো বসতির সংখ্যা বেড়েছে। তাই এবার দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি এড়াতে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো।
এরই অংশ হিসেবে গতকাল কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে শহরের লাইট হাউজ, ঘোনারপাড়া, পিএমখালী এলাকায় মাইকিং করে বসতি উচ্ছেদে অবৈধ বসবাসকারীদের সরে যেতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেয়া হয়। ঘোষণায় বলা হয়, এক সপ্তাহ পর জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে। মাইকিংয়ের সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুত্ফর রহমান ও কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, কিছুদিন আগে অভিযান চালিয়ে শহরেও একাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ওই সময় বাকি স্থাপনাগুলো সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। শুনেছি, সেগুলো এখনো নাকি সরিয়ে নেয়া হয়নি। কয়েক দিন আগে আবারো নোটিস দিয়েছি। এবার চূড়ান্তভাবে উচ্ছেদ করে সরকারি পাহাড় দখলমুক্ত করা হবে।
তিনি আরো বলেন, শহরে পাহাড় কেটে গড়ে ওঠা সব স্থাপনার তালিকা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের এক সপ্তাহের মধ্যে সরে যেতে কয়েকটি স্থানে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে সতর্কতামূলক মাইকিং করেছে। এক সপ্তাহ পর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।