চার ইন্টার্ন চিকিৎসকের অন্যায় স্থগিতাদেশের প্রতিবাদে এবং সর্বস্তরের চিকিৎসক দের নিরাপত্তার স্বার্থে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সম্মিলিত ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের ঘোষনা অনুযায়ী গতকাল শনিবার হতে কক্সবাজারে লাগাতার কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দিয়ে, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ কর্মববিরতির দ্বিতীয় দিনে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্বতঃস্ফুর্ত অবস্থান ধর্মঘট ও ব্যানার সহ শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিন শেষে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান ধর্মঘট । সেখানে ইন্টার্ন দের বিভিন্ন ন্যায্য দাবিতে পরিষদের নেতারা বিভিন্ন কথা বলেন এবং দ্রুত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অনৈতিক স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য জোড়ালো দাবি জানান। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাঃ আরিফ বলেন,ভইভটিজিং একটি সামজিক রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি দেশের শত্রু। ইভটিজার দের কোন দল নেই,মত নেই,ধর্ম নেই ।বগুড়া মেডিকেলের মহিলা ইন্টার্ন দের যা হয়েছে তা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়না। একজন মেয়ে যখন দেখে চিকিৎসক হয়ে নিজ রোগীর এট্যানডেন্ট দের কাছে মৌখিক নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে, তখন সে নারী ডাক্তার সেবা দেবার ব্রত হারিয়ে ফেলে ।এর প্রতিবাদ করা যদি অন্যায় হয়-তবে সেই অন্যায় ই ভাল। আমরা তাই বগুড়া মেডিকেলের ৪ইন্টার্ন এর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার সহ সেই ইভটিজার দের বিচার চাই।আজ যদি সেই ইভটিজার এর বিচার না হয় তারা মাথা চড়া দিয়ে উঠবে এবং
আমরা আশা করি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি সুনজরে দেখবে এবং দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নিবেন।
পাশাপাশি নিরাপদ চিকিৎসক বান্ধব কর্মসংস্থান নিশ্চিতে জোড়ালো পদক্ষেপ নিবেন। পরিষদের প্রায় সব নেতা দের ই দাবি- শুধু স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার নয়,এই জঘন্য ঘটনার জন্য দায়ী ইভটিজার এর সাজা না হওয়া পর্যন্ত আমরা হাসপাতালে যাবনা । এইসময় পরিষদের নেতা দের মাঝে সভাপতি ডাঃ আরিফ সহ, সাধারণ সম্পাদক ডা: রবিন,সহ-সাধারন সম্পাদক ডা: ইয়াসির আরাফাত, ডা:দীপ জ্যোতি ধর,ডা:আতিক, ডা:সঞ্চিতা সেন বক্তৃতা করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।