অপহৃত যুবকের নাম আমানুল্লাহ (৩৮)। তিনি সদর উপজেলার ঈদগাঁওর মাছুয়াখালী এলাকার বাসিন্দা মৃত শের আলীর ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সকালে খেত ও প্লট পাহারা দিতে যাচ্ছিলেন আমানুল্লাহ। এ সময় ৫-৬ জন সশস্ত্র অপহরণকারী উপর্যুপরি ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাকে জঙ্গলের ভেতর নিয়ে যায়। অপহরণ চক্রের সদস্যরা পরে তার মুঠোফোন নিয়ে মাছুয়াখালী বিট কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের নাম্বারে কল করে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানায়।
ঈদগাঁও ইউনিয়নের মেম্বার কামাল উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক (তদন্ত) মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়া বলেন, পুলিশের কয়েকটি টিম পাহাড়ে অভিযানে নামতে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। পাহাড়ের কোন এলাকায় তাদের অবস্থান হতে পারে তা নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর রাতে কক্সবাজারের পাহাড়ি ইউনিয়ন ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে ডাকাতির পর রামু উপজেলা ঈদগড় ইউনিয়নের বাইতুশ শরফ এলাকার খুইল্যা মিয়ার ছেলে নুরুল আমিন ও মৃত আছহাব মিয়ার ছেলে হেলাল উদ্দিনকে (২০) অপহরণ করে দুর্বৃরা। মুক্তিপণ দিয়েও ছাড়া না পেয়ে কৌশলে ৩ ডিসেম্বর রাতে পালিয়ে আসেন তারা। এরপর কিছুদিন স্বাভাবিক অবস্থা থাকলেও শুক্রবার দুপুরে ফাঁকা গুলি ছুড়ে করে অপহরণের ঘটনা ঘটল।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।