১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৪ পৌষ, ১৪৩২ | ২৭ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল

কক্সবাজারের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন

কক্সবাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে স্মৃতিস্তম্ভের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গেছে। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হাকিম জানান, সন্ধ্যায় কে বা কারা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা সম্বলিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মুহূর্তে আগুনের লেলিহান শিখায় জ্বলে উঠে স্মৃতিস্তম্ভটি।

শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে অবস্থিত ফুলের দোকানদার আব্দুর রহিম ও মোহাম্মদ মনির বলেন, ‘প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই এই স্মৃতিস্তম্ভের পেছনে মাদকসেবীদের আড্ডা চলে। হয়তো তাদেরই কেউ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।’

কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মো. শাহাজাহান বলেন, ‘যারা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেয়, তারা জাতির শত্রু। এটি মুক্তিযুদ্ধ অবমাননার সামিল। তাই এর সুষ্ঠু তদন্ত করা দরকার।’ এসময় তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটি দেখভাল করার জন্য একজন লোক নিয়োগ দেওয়ারও দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এতে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’

তিনি উপস্থিত স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আরও বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে দেওয়া ফুলের অংশগুলো শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফেলা হয়েছিলো। স্থানীয়রা মানসিক ভারসাম্যহীন এক লোককে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যেতে দেখেছে। তারপরও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।’

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে কক্সবাজার জেলা পরিষদের অধীনে গণপূর্ত বিভাগ প্রায় ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করেন। কক্সবাজার জেলার মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদের তালিকা স্বরণীয় করে রাখতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে স্থাপিত হয় এ স্মৃতিস্তম্ভটি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।