২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১১ আশ্বিন, ১৪৩২ | ৩ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

কক্সবাজারের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন

কক্সবাজারের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে স্মৃতিস্তম্ভের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গেছে। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হাকিম জানান, সন্ধ্যায় কে বা কারা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা সম্বলিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মুহূর্তে আগুনের লেলিহান শিখায় জ্বলে উঠে স্মৃতিস্তম্ভটি।

শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে অবস্থিত ফুলের দোকানদার আব্দুর রহিম ও মোহাম্মদ মনির বলেন, ‘প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই এই স্মৃতিস্তম্ভের পেছনে মাদকসেবীদের আড্ডা চলে। হয়তো তাদেরই কেউ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।’

কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মো. শাহাজাহান বলেন, ‘যারা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেয়, তারা জাতির শত্রু। এটি মুক্তিযুদ্ধ অবমাননার সামিল। তাই এর সুষ্ঠু তদন্ত করা দরকার।’ এসময় তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটি দেখভাল করার জন্য একজন লোক নিয়োগ দেওয়ারও দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এতে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’

তিনি উপস্থিত স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আরও বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে দেওয়া ফুলের অংশগুলো শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফেলা হয়েছিলো। স্থানীয়রা মানসিক ভারসাম্যহীন এক লোককে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যেতে দেখেছে। তারপরও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে।’

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে কক্সবাজার জেলা পরিষদের অধীনে গণপূর্ত বিভাগ প্রায় ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করেন। কক্সবাজার জেলার মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদের তালিকা স্বরণীয় করে রাখতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে স্থাপিত হয় এ স্মৃতিস্তম্ভটি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।