২৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ৮ কার্তিক, ১৪৩২ | ১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

কক্সবাজারের খুরুশকুল-ভারুয়াখালী সেতু একনেকে অনুমোদন

দীর্ঘদিন পর হলেও একনেকের অনুমোদন লাভ করেছে কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল-ভারুয়াখালী সংযোগ সেতু। খুরুশকুল-ভারুয়াখালীসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার দৈনিক লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের জন্য বহুল প্রত্যাশিত সংযোগ সেতুটি একনেকের অনুমোদন লাভ করায় এলাকাবাসীর মাঝে বিরাজ করছে খুশির আমেজ। গত ১০ জানুয়ারি সারাদেশে ১৩০টি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় একনেক সভা। রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ১৩০টি সেতুর মধ্যে খুরুশকুল-ভারুয়াখালী এই সেতুটি অনুমোদন পায়।
এদিকে সংযোগ সেতুটি একনেক সভায় অনুমোদন লাভ করায় ভারুয়াখালীসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় বইছে খুশির জোয়ার। খুরুশকুল-ভারুয়াখালী সংযোগ সেতুটি নির্মিত হলে কক্সবাজার শহরে যাতায়াতের জন্য ২৫-৩০ কিলোমিটারের দীর্ঘ পথ ৬-৭ কিলোমিটারের মধ্যে সমাপ্ত হবে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, সংযোগ সেতুটি এতদাঞ্চলের প্রাণের দাবি ছিল। এলাকাবাসীর বেশিরভাগ লোক কক্সবাজার শহরে দৈনন্দিন কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত। তাই সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতে সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হতে হয়। এখন সেতুটি অনুমোদন লাভ করায় এলাকাবাসী আশার আলো দেখছে। এখন শুধু বাকী রয়েছে সেতুটির নির্মাণ কাজ।
ভারুয়াখালী হাজী পাড়া এলাকার ছালাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর দাবি ছিল। এটি নির্মিত হলে ইউনিয়নবাসী দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ থেকে রেহায় পাবে। এই সংযোগ সেতুটি নির্মিত হলে এতদাঞ্চলের সাধারণের মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হবে এবং অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। দৈনিক ১৫০-২০০ টাকার যাতায়াত খরচ কমে গিয়ে ৩০-৩৫ টাকার মধ্যে নেমে আসবে। ১ ঘন্টা যাতায়াতের সময় থেকে রেহায় পেয়ে ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে এলাকাবাসী কক্সবাজার শহরে আসতে পারবে।
ভারুয়াখালীর আওয়ামী লীগ নেতা কামাল উদ্দিন জানান, খুরুশকুল-ভারুয়াখালী সংযোগ সেতুটি নির্মাণে গত ১০ জানুয়ারি একনেক সভায় অনুমোদন লাভ করেছে। সেতুটি নির্মিত হলে ভারুয়াখালী ছাড়াও খুরুশকুল, চৌফলদন্ডী, পোকখালীসহ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর যাতায়াতে সুফল বয়ে আনবে। সেতুটি নির্মাণের জন্য আমরা আগে থেকে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেছিলাম। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট দফ্তর পরিদর্শনেও আসে। যার ফল স্বরূপ গত একনেক সভায় সেতুটি নির্মাণের জন্য অনুমোদন লাভ করে। খুরুশকুল-ভারুয়াখালী সংযোগ সেতুটি অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।