১ মে, ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার

এরশাদের রাডার ক্রয়ের মামলা, হাইকোর্টের রায় বাতিল

সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের বিরুদ্ধে রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় সাক্ষীদের নীরিক্ষার বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। আজ রবিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। তিনি বলেন, আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে রাডার দুর্নীতি ক্রয় সংক্রান্ত মামলা নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক গতিতেই চলবে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের বিরুদ্ধে রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় সাক্ষীদের নীরিক্ষা এবং বিচারিক কার্যক্রম আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলো মামলার অন্য আসামি বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের বিরুদ্ধে এ মামলায় তার শাসনামলে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিন কোম্পানির রাডার কিনে রাষ্ট্রের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয় মামলায়।

১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো (বর্তমানে কমিশন) মামলাটি দায়েরের পর ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট এরশাদসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম সুপ্রিম কোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। সাক্ষ্যগ্রহণে কোনো বাধা না থাকলেও ২০০৯ সাল পর্যন্ত তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো বাদী আলী হায়দারকে আদালতে হাজির করেনি। মামলার ১৮ বছর পর ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট শুরু হয় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ। ২০১২ সালের ১ মার্চ বাদীর সাক্ষ্য শেষ হয়।

২০১৪ সালের ১৫ মে এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন এরশাদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে লিখিত বক্তব্য দিয়েছিলেন। সেদিন অন্য দুই আসামি বিমান বাহিনীর সাবেক দুই শীর্ষ কর্মকর্তা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদও নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। অন্য আসামি এ কে এম মুসা শুরু থেকেই পলাতক। এ মামলায় মোট ৩৮ জন সাক্ষী ছিলেন। এর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নিয়ে মামলাটি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য রাখা হয়। এরপর দুদক বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্য নিতে আবেদন জানালে বিচারিক আদালত তা খারিজ করে দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলো দুদক।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।