৫ মে, ২০২৫ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৬ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১

এগিয়ে চলছে টেকনাফ নৌ-বন্দরের কাজ

টেকনাফে নৌ-পথে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে উন্নত সুবিধা সম্বলিত একটি নৌ-বন্দর হতে যাচ্ছে। গত বছরের ১৭জুলাই টেকনাফকে নৌ-বন্দর ঘোষণা করে একটি গেজেট প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। সরকারী ঘোষণার আলোকে সম্প্রতি টেকনাফ নৌ-বন্দরের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। নৌ-বন্দরের কাজ শুরু হওয়ায় দ্বীপ ইউনিয়ন সেন্ট মার্টিন এবং টেকনাফ উপকূলের মানুষ শেখ হাসিনার সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
সুত্র জানায়, টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন-টেকনাফ নৌ পথে পরিবাহিত যাত্রী এবং টেকনাফস্থ দমদমিয়া ও শাহপুরীরদ্বীপ ঘাটে মালামাল উঠা নামার সঠিক তথ্য/পরিসংখ্যান নিরূপণের লক্ষ্যে অন বোর্ড ও স্পট ট্রাফিক সার্ভে কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের আদেশে নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ নৌ সার্ভের কাজ ১৫ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হয়ে ২৫ফেব্রুয়ারী সম্পন্ন করেছেন। টেকনাফ নৌ বন্দর ঘোষিত হওয়ায় উপকূল এবং সেন্ট মার্টিনদ্বীপের মানুষের মাঝে বাড়তি আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। এদিকে সীমান্তের মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন নৌ-বন্দর সত্যি সত্যি বাস্তবায়িত হওয়ায় প্রবালদ্বীপের মানুষ এবং পর্যটকরা সরকারের মহতি এই উদ্যোগে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, এতদিন “নৌ-বন্দর” না থাকায় টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌ পথে চলাচলকারী জাহাজ ছিল যেমনি অনিয়ন্ত্রিত। তেমনি অভিভাবকহীন এই নৌ-পথ ড্রেজিং পদ্ধতি এবং অন্যান্য সুবিধা না থাকায় অনেকটা ছিল অনিরাপদ। তারপরও পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন হাজার হাজার ভ্রমণ পিপাসু মানুষ জাহাজে করে সাগর-নদী পাড়ি দিয়ে প্রবালদ্বীপে বেড়াতে যাচ্ছে। পরিপূর্ণ নৌ বন্দর হলে এখানকার মানুষের জীবনমান আরো সমৃদ্ধ হবে। নিরাপদ নৌ পথ সেন্ট মার্টিন এবং শাহপরীরদ্বীপের মানুষের ভাগ্যের দূয়ার খুলে যাবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। বছরজুড়ে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের আগমন ঘটবে।
সেন্ট মার্টিন-টেকনাফ নৌ-পথে চলাচলকারী জাহাজ কেয়ারী সিন্দাবাদের ম্যানেজার শাহ আলম জানান, নৌ-বন্দর হলে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা। সবকিছুই তাঁরাই নিয়ন্ত্রণ করবে। সদা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে। পর্যটকদের আস্থাও সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক নয়ন শীল জানান, সরকার টেকনাফকে নৌ বন্দর ঘোষণা করেছেন। আমরা নৌ সার্ভে থেকে শুরু করে যাবতীয় কার্য্যক্রম পুরোদমে চালিয়ে নিচ্ছি। আগামী মৌসুম থেকে সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌ-পথসহ নৌ সংক্রান্ত সবকিছুই বিআইডাব্লিউটিএ‘র নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।