৩ অক্টোবর, ২০২৫ | ১৮ আশ্বিন, ১৪৩২ | ১০ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন

একেএম মোজাম্মেল চেয়ারম্যান নিয়ে বক্তব্যের সংবাদ প্রসঙ্গে মিলকীর বক্তব্য

মরহুম একেএম মোজাম্মেল হক আঙ্কেলকে অত্যন্ত সম্মান রেখে বলছি, ১৯৯৭-৯৮ দিকের কথা। তখন আমরা ছোট ছিলাম। আমি তখন জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছি। সে সময় আমরা যে কোনো সমস্যাসহ নানা বিষয়ে পরামর্শ নিতে মোজাম্মেল আঙ্কেলের কাছে ছুটে যেতাম। তিনি অত্যন্ত ¯েœহভরে আমাদের পরামর্শ দিতেন। কিন্তু মোজাম্মেল আঙ্কেল কেন আমার কাছ থেকে পরামর্শ নিতে যাবে? আমিতো বক্তব্যে এমন কথা বলিনি! তাহলে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে এমন এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হলো? এর মানে মৃত্যুবার্ষিকীতে মোজাম্মেল আঙ্কেলের স্মরণে আমরা যে, মিলাদ, করব জিয়ারত ও আলোচনা করলাম তা কী অপরাধ হয়ে গেছে? এরকম নিউজ প্রকাশ করা জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় একেএম মোজাম্মেল হক সাহেবের প্রতি অবহেলা আর অসম্মান প্রদর্শনের ধৃষ্টতা নয় কী?
সংবাদের দ্বিতীয় বিষয় ছিলো, আমি নাকি মোজাম্মেল আঙ্কেলের বাড়িতে পর্যন্ত কোনোদিন যেতে পারিনি। এটা একদম হাস্যকর কথা। কেননা মরহুম শ্রদ্ধেয় একেএম মোজাম্মেল আঙ্কেল আমাকে খুব আদর করতেন। আমি যখন ছাত্রলীগের রাজনীতি করতাম তখন কক্সবাজারে যখনই থাকতাম রাজনৈতিক কর্মকান্ডসহ পারিবারিক অনেক কর্মকান্ডে আমি প্রায় সময় মোজাম্মেল আঙ্কেলের কাছাকাছি থাকতাম। শুধু রাজনৈতিক ভাবে নয়; পারিবারিক ভাবেও আমরা পরস্পর আত্মীয়। ওনার ছেলে রাশেদ, সোহেল ও মার্শালের সাথেও আমার এখনো পারিবারিক সম্পর্ক বজায় রয়েছে। যেটা তাদের কাছ থেকে জানতে পারবেন। সব মিলে সব সময় আমি ওনার সান্নিধ্যে থাকতাম। ওনিও আমাকে খুব স্নেহ করতেন। নিচের প্রদর্শিত ছবিতে সেটাই প্রতীয়মান নয় কী?

হিলটপ সার্কিটে ১৯৯৭ সালের ছাএলীগ নেতা হিসেবে তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম বীর বিক্রম, এ কে এম মোজাম্মেল হক আংকেলের সাথে আমি। সাথে সোহেল ভাই, এড. নুরুল ইসলাম, হেলাল ও অন্যন্য নেতারা। তখন আরো ছিলেন মরহুম ওসমান সরওয়ার আলম চৌং, এমপি অধ্যাপক মোঃ আলী স্যারের সাথে আমরা। এটাই কি প্রমাণ করে না মিলকী কোথা থেকে আসা কার সাথে সম্পর্ক?

ওই সংবাদে আরেকটি ডাহা একটি মিথ্যা বক্তব্য ছাপা হয়েছে। তা হলো আমি নাকি ছাত্রলীগ করিনি। তার জবাবে আমি বলতে চাই, আমি ৮৯ সালে জাতীয় ছাত্রলীগের টেকনাফের প্রচার সম্পাদক ছিলাম। ৯০ এর স্বৈরাচারী আন্দোলনের একজন কর্মী ছিলাম। ছবিতে দেখুন…

ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে তৎকালীন সমাজকল্যাণ মন্ত্রির সাথে হিলটপ সার্কিট হাওজে ১৯৯৮সালে।

১৯৯৮ সালের তৎকালীন স্পিকার এড. আব্দুল হামিদের সাথে আমি। সাথে সজল ভাই, ডিসি আলী ইমাম মজুমদার, পুলিশ সুপারসহ অন্যান্যরা।

আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, এই সংবাদটি সম্পূর্ণ মনগড়া, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, ষড়যন্ত্রমূলক ও শত্রুতামুলক। একই ভাবে জেলা আওয়ামী লীগের মে দিবসের আলোচনা সভায় ‘ম্যারিজ ডে’ পালন নিউজটিও ছিলো এর অংশ। ‘ম্যারিজ ডে’ পালন নিয়ে আমি একটু বলতে চাই। ওইদিন ছিলো আমার বিবাহ বার্ষিকী। আমরা প্রতিবছর ঘটা করে বিবাহ বার্ষিকী পালন করি। এর অংশ হিসেবে ওইদিনও বিবাহ বার্ষিকীর প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। বিকালে আমার আত্মীয়-স্বজন নিয়ে অনুষ্ঠান করা কাজ চলছিল। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান আমাকে ফোন দেন। ফোন দিয়ে তিনি আমাকে মে দিবসের সভায় আসতে বলেন। ওনাকে আমি আমার বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানের কথা জানাই। তিনি বললেন, ‘আমাদের জন্য কেক নিয়ে আসো।’ তখন আমি একটি কেক নিয়ে ওই সভায় সভায় উপস্থিত হই। সেখানে থাকা সভাপতি সিরাজুল মোস্তফাসহ অন্যান্যরা মজা করে কেকটি কাটেন। এটা নিছক আনন্দ। সেটা আমার ‘ম্যারেজ ডে’ ছিলো না। ম্যারেজ ডে হলে ব্যানার থাকতো। বা আরো কিছু আয়োজন থাকতো। এছাড়াও আমিতো এটাকে সেভাবে নিইনি। নিলে আমি ছবি তোলে নিজেই প্রচার করতাম। কিন্তু কে বা কারা ছবি তোলে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে এর দায় আমি কেন নিবো?
এখানে প্রতিবেদক সম্পূর্ণ ভুল জায়গায় ছিলো। কেননা তিনি প্রথমত সম্পূর্ণ ভুল ও মিথ্যা কতগুলো বিষয় টেনে সংবাদ পরিবেশন করেছেন। তার চেয়ে জঘন্য বিষয় হলো, তিনি আমার কোনো ধরণের বক্তব্য নেননি। সাংবাদিকতার নীতিমালা না মেনে সম্পূর্ণ মনগড়াভাবে সংবাদ দুটি পরিবেশন করেছেন। এতে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয়, প্রকাশিত সংবাদগুলো ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আগামীতে এই ধরণের মনগড়া সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। যদি এরকম মানহানিকর করা হয় তাহলে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।

প্রতিবাদকারী
বদরুল হাসান মিলকী
পরিচালক, হোটেল সী ওয়েলকাম ও সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।