১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১ পৌষ, ১৪৩২ | ২৪ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের

উখিয়ায় অবৈধ মোটরসাইকেলের ছড়াছড়ি : ব্যবহৃত হচ্ছে অপরাধে


উখিয়ায় অবৈধ মোটরসাইকেলের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে একদিকে অপরাধ প্রবণতা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি অপরদিকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে। অনৈতিক কাজে ব্যবহৃত এসব মোটরসাইকেল ধরপাকড় শুরু হওয়ার আগেই অভিযানের খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ার কারণে এসব অবৈধ মোটরসাইকেল ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। এছাড়াও অবৈধ যানবাহন আটকের নামে বাণিজ্যের ও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক, উপসড়ক, আনাচে-কানাচের সড়কে চলাচল করছে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে আনা হয় চোরাই মোটরসাইকেল। এছাড়াও বিভিন্ন শো-রুম থেকে কেনা মোটর সাইকেল গুলোর অধিকাংশই লাইসেন্স নেই। প্রতিনিয়ত ইয়াবা থেকে শুরু করে মাদক সরবরাহের নিরাপদ যানবাহন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এইসব মোটরসাইকেল। এদিকে নিবন্ধনহীন চালকদের কারণে স্কুল , কলেজ ও মাদ্রাসাগামী নারী শিক্ষার্থীদের কে ইভটিজিংয়ের কবলেও পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে এলাকায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতিসহ সড়ক দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন।
কয়েকজন অবৈধ চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভারতের সীমান্ত দিয়ে আসা মোটরসাইকেলের দাম প্রচলিত বাজারমুল্যের চেয়েও অর্ধেক কম মুল্যে পাওয়া যায়। দ্রুতগতির এইসব গাড়ি সব বয়সের মানুষের চাহিদার শীর্ষে থাকে। আইনী কোন ঝামেলা পোহাতে হয়না বলে এসব চোরাই গাড়ি স্বাভাবিক গাড়ির মতোই ক্রয় করা যায়।
সুত্রে জানা গেছে, উখিয়ায় প্রায় তিন হাজারের মত মোটরসাইকেলের মধ্যে হাজারের অধিক গাড়ীর কোন কাগজপত্র নেই। এসব অবৈধ ইজি বাইকগুলো মেরিন ড্রাইভ সড়কসহ বিভিন্ন পথে বিভিন্ন জাতের মাদকদ্রব্য পাচার করছে। চোরাই কিংবা রেজিষ্ট্রেশন বিহীন কোন মোটরসাইকেল আটক করা হলেই নেতাদের তদবির বেড়ে যায়। কতিপয় নেতাদের বাড়াবাড়ির কারণে অনেক সময় অবৈধ মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান কিংবা আটক করা সম্ভব হয় না।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আবু সাঈদ ছুটিতে দেশের বাড়িতে আছেন বলে কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি।
অতিশীঘ্রই অবৈধ মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আগামীতে অপরাধ, সড়ক দুর্ঘটনা ও চোরাচালানের মাত্রা বেড়ে যাবে বলে এলাকার সচেতন মহলের অভিমত।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।