স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক ও একটি অনলাইন নিউজপোর্টালে গত ৪ এপ্রিল প্রকাশিত ‘মিল্কির ভয়াবহ প্রতারণা, আমেরিকা প্রবাসীর পাঁচ কোটি টাকা ঝুঁকিতে’ শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। সংবাদে উল্লেখিত তথ্যের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য ভুল তথ্য দিয়ে পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের আশ্রয় নিয়েছে মাত্র। এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদে আমাকে জড়িয়ে নানা কুৎসা রটানো হয়েছে। আমার সম্পর্কে কাল্পনিক সব মন্তব্য করা হয়েছে। এছাড়াও সংবাদে আমি ভয়াবহ প্রতারণা করছি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত কথিত আমেরিকা প্রবাসী মোহাম্মদ শেহাব উল্লাহই প্রকৃত প্রতারক ও জালিয়াত। কলাতলীর সৈকত আবাসিক এলাকা প্লট-২২ এ অবস্থিত আমার মায়ের নামীয় সী ওয়েলকাম রিসোর্টটি হোটেল ব্যবসা করার জন্য মোহাম্মদ শেহাব উল্লাহ গংকে চুক্তিতে ভাড়া দেন আমার মা রোকেয়া বেগম। ওই চুক্তিতে হোটেল ব্যবসা ছাড়া অন্যকোন ব্যবসা না করার বিষয়ে ষ্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু শেহাব উল্লাহ ওই চুক্তি ভঙ্গ করে হোটেলটি ভাড়া নেয়ার কয়েক মাস পর থেকেই নানা অপব্যবসা শুরু করে। হোটেলের নিচতলায় সরকারের অনুমোদনহীন ও অবৈধ বিদেশি যৌন উত্তেজক বিভিন্ন প্রকার ওষুধের গোডাউন গড়ে তুলে। চিকিৎসার নামে ওই ওষুধ বিক্রি করে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা শুরু করেন তিনি। এছাড়াও হোটেলে এক প্রকার পতিতাবৃত্তি শুরু করে। যা হোটেলটি ভাড়া দেওয়ার সময়ের চুক্তিতে উল্লেখ নেই। আমি স্ব-পরিবারের হোটেলের ৭ম তলায় বসবাস করি। তাই ওই বিষয় গুলো দেখে আমি খুবই মর্মাহত ও বিস্মিত হই। কারণ কলাতলী এলাকা পরিচ্ছন্ন হোটেল হিসেবে সী-ওয়েলকাম রিসোর্টের একটি সুনাম রয়েছে। শেহাব উল্লাহ’র এসব অপকর্মের কারণে দিনদিন হোটেলের সুনাম ক্ষুন্ন হতে থাকে। তাই বাধ্য হয়ে গত ২১ মার্চ হোটেলে এসব অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করার জন্য পুলিশ বরাবরে একটি অভিযোগ করি। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১ এপ্রিল কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে হোটেলের নিচতলা থেকে বিপুল পরিমাণ অনুমোদনহীন অবৈধ ওষুধ জব্দ করে। এসময় এই অবৈধকাজে জড়িত শেহাব উল্লাহ’র তিন সহযোগিকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় পরে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. নাজির হোসেন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মূলহোতা শেহাব উল্লাহ সহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় তিনজন জেলে থাকলেও মুলহোতা শেহাব উল্লাহ বর্তমানে পলাতক।
কিন্তু ওই ঘটনার পর হঠাৎ কয়েকটি পত্রিকায় প্রতারক শেহাব উল্লাহ’র সাফাই গেয়ে আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ভুয়া, মানহানিকর ও উদ্ভট সংবাদ প্রকাশ করছে। এতে আমি অত্যন্ত বিস্মিত। অপকর্মের বিরুদ্ধে আইনি প্রতিকার চেয়েছি মাত্র। এতে অন্যকোন উদ্দেশ্য থাকার প্রশ্নই উঠেনা। কারণ এটি কলাতলী এলাকার মধ্যে নামকরা একটি হোটেল। তাই হোটেলটিকে অপকর্মের হাত থেকে বাঁচিয়েছি। বরং শেহাব উল্লাহই আমার মায়ের সাথে প্রতারণা করেছে। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল হোটেলটি পুরোপুরি হাতিয়ে নেয়া। এ লক্ষ্যে ওই প্রতারক শেহাব উল্লাহ তাঁর নামে কক্সবাজার পৌরসভা থেকে ওই হোটেলের ট্রেড লাইন্সেস তৈরী করে। কিন্তু হোটেলের প্রকৃত ট্রেড লাইন্সেস আমার মায়ের নামে। সে প্রতারণা করার জন্য জালিয়াত করে গোপনে পৌরসভা থেকে তাঁর নামে ২০১৭ সালের ট্রেড লাইন্সেস তৈরী করে। এছাড়া শেহাব উল্লাহ কোটি কোটি টাকার হুন্ডি লেনদেন করে। বিষয়টি ইতোমধ্যে এনবিআরের নজরেও এসেছে। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারী কোম্পানী গঞ্জ শাখার (সার্কেল ২২) সহকারি কর কমিশনার মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে শেহাব উল্লাহ’র আয়কর সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে নথি তলব করা হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদের মধ্যে আমাকে জড়িয়ে কুৎসা রটানো হয়েছে। আমি নাকি এক কালে শিবির করেছিলাম। এটি সম্পূর্ণ বানোয়াট তথ্য। ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়েই আমার রাজনৈতিক জীবনে পদার্পন। ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগের জন্য আমার সব ক্ষেত্রে ত্যাগের কথা আওয়ামী পরিবারের সবারই জানা। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অর্জন হিসেবে বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হয়েছি। দীর্ঘ এই সময়ে কখনোই ক্ষমতার করিনি এবং ভবিষ্যতেও করবনা। তাছাড়া আমি সম্ভ্রান্ত ও উচ্চশিক্ষিত পরিবারের সন্তান। আমার বাবার রেখে যাওয়া সম্পদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আজ আমি একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। এটা সবারই জানা। মূলত; প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করার জন্য শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। ওই উদ্ভট সংবাদে আমার মানহানি হয়েছে। তাই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে এধরণের মিথ্যাচার ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারি,
বদরুল হাসান মিল্কি,
ম্যানেজিং ডিরেক্টর,
সী ওয়েলকাম রিসোর্ট, কলাতলী, কক্সবাজার।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।