৩০ এপ্রিল, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার

আসুন মাদককে “না” বলি, মাদক মুক্ত সমাজ গড়ি

মাদককে না বলি, মাদককে প্রতিহত এবং প্রতিরোধ করি, মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবীদেরকে সামাজিক ভাবে বয়কট করি এবং মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ঠদের ঘৃণা করি। দেশের বাস্তবতায় মাদকের আগ্রাসন অভিশপ্তের ডালপালার বিস্তৃতি ঘটিয়েছে।

যে সন্তান পরিবারের আর্শীবাদ হতে পারতো, সমাজ এবং দেশের উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে ও দেশের গর্বে পরিণত হতে পারতো সেই সন্তান আজ মাদকের স্পর্শে, মাদকের করালগ্রাসে কেবল বিপদ সীমানায় পরিবারের বোঝা এবং দেশের অভিশাপে পরিণত হয়েছে। পরিবারের শান্তী নষ্ট করনের ক্ষেত্রে ও মাদকের অপ্রতিরোধ্য ভূমিকা বিশেষ ভাবে কার্যকর। মাদকের নীল ছোবলে দংশিত দেশের যুব সমাজের একটি বড় অংশ বিপদগামী।

বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের যুবক, বৃদ্ধ, বিশেষ করে তরুন-তরুনী অনেকে মরন নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। এক শ্রেণীর সমাজ বিরোধী, দেশোদ্রোহীরা কথিত সীমান্ত ঘাট গুলোর মাধ্যমে ইয়াবা ফেনসিডিল, মদ সহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে আর্থসামাজিক পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলেছে। যে হাত কর্মির হওয়ার কথা, যে হাত সৃষ্টিশীলতা এবং সমাজ উন্নয়নের ক্ষেত্র নিশ্চিত করনের কথা সেই হাতে মরন নেশা মাদক। সারা বাংলাদেশে মাদকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।

একশ্রেণীর সমাজ বিরোধীরা মাদক পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করে এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার করা হয়। মাদক সেবী এবং মাদক বিক্রেতারা কেবল সমাজের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তা নয় তারা পারিবারীক শান্তীও বিনষ্ট করেছে। অনেক বাবা, মা মাদক সেবী সন্তানের অত্যাচারে, অনাচারে এবং নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়ে নিজ সন্তানকে জেলখানায় বন্দী রাখার ব্যবস্থা করতেও কার্পন্য করেননি। মাদকের উপস্থিতি এবং মাদক গ্রহনে কেবল পরিবারের বা সমাজের শান্তী নষ্ট হচ্ছে তা নয় মাদক সেবী নিজেকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। মাদক গ্রহনের ফলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের অঙ্গ প্রতঙ্গ তার কার্যক্ষমতা হারাচ্ছে এবং অকালে মাদক সেবী মৃত্যু মুখে পতিত হচ্ছে। সব কিছুর উর্ধে শারিরীক সুস্থতা এবং বেঁচে থাকা, কিন্তু মাদক গ্রহণের ফলে অতি দ্রুত জীবনী শক্তি ক্ষয় হয় এবং মাদক সেবী শারিরীক সুস্থতা হারায়, মাদক সেবী, বিক্রেতাদেরকে কোন অবস্থাতেই ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

মাদকের সাথে সম্পর্কযুক্তদেরকে সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে। আইনের কঠোর এবং যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে পুলিশ প্রশাসনকে সহায়তা করতে হবে। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত কল্পে সরকার নতুন আইন প্রনয়ন করেছেন। আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত কল্পে জনসাধারণকে এগিয়ে আসতে হবে।

মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবী এবং তাদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয়দানকারী দেশ এবং জাতীর শত্র“ তাদের কে বয়কট করার পাশাপাশি তাদের সম্পর্কে আইন প্রয়োগ কারী সংস্থাকে অবহিত করতে হবে। মাদক মুক্ত সমাজ গড়ি, মাদককে না বলি, মাদককে ঘৃণা করি।

বাংলাদেশ পুলিশ নিরলসভাবে মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ এবং জনসাধারণ সমন্বয়ে সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে হবে।

শেখ মোঃ নজরুল ইসলাম
সহকারি উপ-পুলিশ পরিদর্শক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।