আজ চট্টগ্রাম বন্দর দিবস। ১৩০ বছর আগে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় এই দিনে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল দেশের এই প্রধান সমুদ্র বন্দর। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ)।
ইংরেজ শাসনের প্রথম দিকে ইংরেজ ও দেশীয় ব্যবসায়ীরা বার্ষিক এক টাকা সেলামির বিনিময়ে নিজ ব্যয়ে কর্ণফুলি নদীতে কাঠের জেটি নির্মাণ করেন। পরে ১৮৬০ খৃষ্টাব্দে প্রথম দুটি অস্থায়ী জেটি নির্মিত হয়।
১৮৭৭ খৃষ্টাব্দে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার গঠিত হয়। ১৮৮৮ খৃষ্টাব্দে চট্টগ্রাম বন্দরে দুটি মুরিং জেটি নির্মিত হয়। ১৮৮৮ খৃষ্টাব্দের ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার কার্যকর হয়।
এরপর ১৮৯৯-১৯১০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার ও আসাম বেংগল রেলওয়ে যুক্তভাবে চারটি স্থায়ী জেটি নির্মাণ করে । ১৯১০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে রেলওয়ে সংযোগ সাধিত হয়। ১৯২৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরকে মেজর পোর্ট ঘোষণা করা হয়।
১৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবার চট্টগ্রাম বন্দরে দুই দিনব্যাপী ‘পোর্ট এক্সপো’ আয়োজন করা হয়েছে। এতে বন্দরের সব স্টেকহোল্ডারসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে বন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বন্দরে যন্ত্রপাতি সরবরাহকারীরা এক্সপোতে অংশগ্রহণ করবে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের কাছাকাছি হলেও চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবৃদ্ধি ১৬ শতাংশের বেশি। ব্যাপক চাহিদার জোগান দেয়ার জন্য বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় নতুন মাত্রা পেয়েছে।
সিপিএ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে বন্দরে বিশাল এক কর্মক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। এখানে যারা চাকরি করতে চান, তাদেরকেও এক্সপোতে ধারণা দেয়া হবে। বিশ্বে চট্টগ্রাম বন্দরকে নতুন করে উপস্থাপনের জন্য এক্সপো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।