৫ মে, ২০২৫ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৬ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১

অস্তিত সংকটে সামাজিক বনায়নঃ নেপথ্যে উখিয়ার ৩৩টি অবৈধ স’মিল!


জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকায় উখিয়ায় প্রতিযোগিতা মূলক গড়ে উঠেছে ৩৩টি অবৈধ স’মিল। আর এসব স’মিল গুলো গিলে খাচ্ছে সামাজিক বনায়নের গাছ। ধ্বংসের ধার প্রান্তে পৌঁছেছে। বলতে গেলে উখিয়া অবৈধ স’মিলের শহর পরিণত হলেও বনবিভাগ রয়েছে এখনো ঘুমে এমন অভিযোগ সচেতন মহলের।
দায়িত্বশীল সূত্রে প্রকাশ, সরকারী নির্দেশকে অমান্য করে কোন প্রকার অনুমতি না নিয়েই উপজেলার রতœাপালং, হলদিয়াপালং, রাজাপালং, জালিয়াপালং ও পালংখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ৩৩টির মত স’মিল। বনবিভাগকে ম্যানেজ করে সংঘবদ্ধ পাচারকারীরা এসব অবৈধ স’মিলে হাজার হাজার ঘনফুট গাছ চিরাই করে যাচ্ছে। ফলে সামাজিক বনায়নের অস্তিত সংকটের পাশা-পাশি পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকার কথা জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, প্রতিদিন কোথাও না কোথাও নতুন নতুন স’মিল স্থাপিত হচ্ছে। বলতে গেলে উখিয়ার প্রতিটি ইউনিয়নে ৫ থেকে ৮টি অবৈধ স’মিল বসানো হয়েছে। যার একটিরও বৈধ কাগজ পত্র কিংবা লাইসেন্স নেই। সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের ছত্রছায়ায় এসব অবৈধ স’মিল গড়ে উঠেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, উখিয়া বনবিভাগের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদেরকে মাসিক ও সাপ্তাহিক মাসোহারা বা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে অবৈধ স’মিল গুলো বসানো হয়েছে। ফলে দীর্ঘ এক বছর ধরে বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন রহস্যজনক ভাবে স’মিল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে না এমন অভিযোগ সচেতন নাগরিক সমাজের।
এদিকে উপজেলার রতœাপালং ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি স’মিল বসানো হয়েছে। ভালুকিয়া সড়কে পাশা-পাশি ২টি ও রতœাপালং গ্রামে ৪টি স’মিল বসানোর ঘটনা নিয়ে পরিবেশ বাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হতভম্ব হয়ে পড়েছেন। তাদের প্রশ্ন প্রশাসন ও বনবিভাগের নাগের ডগায় কি করে এসব অবৈধ স’মিল বসানো সম্ভব হয়েছে। আর কেন বা স’মিলে উচ্ছেদ অভিযান হচ্ছে না।
শুধু তাই নয়, উখিয়া সদর, টাইপালং, কুতুপালং, ফলিয়াপাড়া, হাজী পাড়া, বালুখালী, থাইংখালী, পালংখালী, মরিচ্যা, সোনারপাড়া, জালিয়াপালং, রুমখাঁবাজারসহ বিভিন্ন গ্রামে ৩৩টির মত অবৈধ স’মিল স্থাপিত হয়েছে। সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিদিন এসব স’মিলে হাজার হাজার ঘনফুট অবৈধ গাছ চিরাই করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ পাচারকারীরা উক্ত স’মিল গুলোকে অবৈধ কাঠের ডিপো হিসাবে ব্যবহার করে থাকে। তারা আরও জানান, রতœাপালং, রাজাপালং, ভালুকিয়া, ইনানী, জালিয়াপালং ও উখিয়ার বনাঞ্চলে বনায়নকৃত সামাজিক বনায়নের কচিকাঁচা গাছ নির্বিচারে কর্তন করে স’মিলে নিয়ে আসা হচ্ছে। এর ফলে দিন দিন সামাজিক বনায়নের গাছ উজাড় হওয়ার পথে। এভাবে চলতে থাকলে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশা-পাশি সামাজিক বনায়ন অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। বলতে গেলে সামাজিক বনায়নের গাছ ঘিলে খাচ্ছে অবৈধ এ স’মিল গুলো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে জেলা ট্রাষ্কফোর্স কমিটি ও উপজেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় একাধিকবার উত্থাপন করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন কোন অদৃশ্য কিংবা কালো হাতের ইশারায় উখিয়ায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাকি প্রশাসন মোটা অংকের বিনিময়ে ম্যানেজ হয়ে রহস্যজনক ভূমিকায় স’মিল উচ্ছেদ করছে না বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় বনকর্মকর্তার নিকট দাবী জানিয়েছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।