৮ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৩ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৬ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

অর্থ সংগ্রহে ইয়াবা ও মানব পাচার করছে জঙ্গিরা

সংগঠন চালানোর অর্থ জোগাড় করতে ইয়াবা ও মানব পাচারে জড়িয়ে পড়েছে জঙ্গিরা। সংগঠনের অর্থ জোগাড় করতে টেকনাফ ও কক্সবাজার অঞ্চলে মিয়ানমারভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) একাধিক গ্রুপ ইয়াবা ও মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত। এ ধরনের একটি গ্রুপের সন্ধান মিলেছে বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনুসন্ধানে।

এ গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন আরএসও নেতা ও রোহিঙ্গা নাগরিক মুহিবুল্লাহ মাঝি। র‌্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মানব ও ইয়াবা পাচারের বিভিন্ন অভিযানে রোহিঙ্গা নাগরিক গ্রেফতার করা হলেও কখনো আরএসও নেতা-কর্মী গ্রেফতার করা হয়নি। যদিও তাদের মানব ও ইয়াবা পাচারে সংশ্লিষ্ট হওয়ার বিষয়টা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিষয়টি এখন নজরে এলো। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। ’

টেকনাফ থানার ওসি মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘টেকনাফে ইয়াবা ও মানব পাচারে জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে মুহিবুল্লাহ নামে একাধিক ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের প্রায় প্রত্যেকের মা-বাবার নাম একই হওয়ায় শনাক্তকরণ কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে কোন মুহিবুল্লাহর সঙ্গে আরএসওর যোগাযোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করতে এরই মধ্যে একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ’

জঙ্গিবাদ গবেষক ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব হাসান রফিক বলেন, ‘আগে যেভাবে জঙ্গিবাদ বিস্তারের জন্য বিদেশ থেকে অর্থ আসত, এখন সরকারের কড়াকড়ির কারণে সেভাবে আসছে না।

তাই জঙ্গিরা স্থানীয়ভাবে অর্থ সংগ্রহ করার বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে অর্থ সংগ্রহ করার প্রচেষ্টা হিসেবে জঙ্গিরা ইয়াবা ও মানব পাচার করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ইয়াবা পাচার এবং মালয়েশিয়ায় মানব পাচারে জড়িয়ে পড়েছে মিয়ানমারভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আরএসওর একাধিক গ্রুপ।

এ গ্রুপগুলোর মধ্যে ইয়াবা ও মানব পাচারে একটির নেতৃত্বে রয়েছেন জঙ্গি সংগঠন আরএসও নেতা টেকনাফ সদরের মুহিবুল্লাহ মাঝি। গ্রুপ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন তার দুই সন্তান, শ্যালকসহ কয়েকজন নিকটাত্মীয়।

গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে রয়েছেন তার শ্যালক হাবুল্লাহ মাঝি। মিয়ানমার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে টেকনাফ পর্যন্ত নিয়ে আসার দায়িত্বে রয়েছেন আরএসও নেতা ও রোহিঙ্গা নাগরিক করিম উল্লাহ।

পাচারের দায়িত্বে রয়েছেন সানা উল্লাহ ড্রাইভার। রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের অবৈধ পথে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর দায়িত্বে রয়েছেন মুহিবুল্লাহ মাঝির দুই সন্তান ফয়সাল ও সাদেক।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।