অপরাধ কমাতে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজারে যা আছে তা অন্য জেলাতে নেই। কিন্তু কিছু ছোটখাটো সমস্যা অসংখ্য সম্ভাবনাকে ঢেকে রেখেছে। আমাদের সচেতনতার পাশাপাশি সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে হবে।
ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশান-ইপসার ‘কমিউনিটি কমিউনিকেশন স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ফর সোশ্যাল এ্যাওয়ারনেস’ প্রকল্পের উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
ডয়েচে ভেলে একাডেমির সহযোগিতায় বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজার অরুণোদয় স্কুলের সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, সমুদ্র সৈকতের অঢেল সম্পদ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। কক্সবাজারে যে সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে তাতে দেশের অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি বদলে যাবে।
তিনি বলেন, সামাজিক অসঙ্গতি ও অপরাধ নির্মূলে সামাজিক সচেতনতা দরকার। অধিকাংশ মানুষের মাঝে ন্যায়বোধ ও সচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে সমস্যার সমাধান হবে।
এগিয়ে যেতে হলে নতুন প্রজন্মকে নীতি নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের শিক্ষার গুরুত্ব দেন জেলা প্রশাসক।
তিনি বলেন, এখানে সমস্যা আছে, ঠিক। কিন্তু সমস্যাগুলো ছোটভাবে দেখে সম্ভাবনাসমূহ বড় করে উপস্থাপন করা প্রয়োজন।
সামাজিক অনাচার, অপরাধগুলোকে প্রতিরোধ করতে নৈতিকতাকে আরো বেশি বলিয়ান করা দরকার। মূল্যবোধের বিষয়গুলো বেশি বেশি চর্চা করতে হবে।
ইপসার আঞ্চলিক প্রধান ও উপ-পরিচালক খালেদা বেগমের সভাপতিত্বে প্রকল্প উদ্বোধনীতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ মাহবুবর রহমান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপ-পরিচালক মোঃ সহীদ উল্লাহ।
বক্তব্য দেন ডয়েচে ভেলে একাডেমির কো-প্রজেক্ট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম খান।
ইপসার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ফোকাল পার্সন মোঃ হারুন, কর্মকর্তা আবিদুর রহমান, রজত বড়ুয়া রিকু, স্বস্তিকা সেন গুপ্তসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুভেচ্ছা স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইপসার ফোকাল পার্সন যীশু বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে ‘কমিউনিটি কমিউনিকেশন স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ফর সোশ্যাল এ্যাওয়ারনেস’ প্রকল্প স্মারকে স্বাক্ষর করেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন।
এরপর প্রকল্পের বিস্তারিত উপস্থাপন করেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক শিহাব জিসান।
তিনি জানান, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের বস্তুনিষ্ঠ ও সমাজকল্যাণমূলক সংবাদ পরিবেশনের দক্ষতা বৃদ্ধি, যুবকদের প্রশিক্ষণ বিশেষ করে যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি, জীবন মান বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ প্রদান, সচেতনতা তৈরী এবং ব্যাপক গণসচেতনতার জন্য সমাজ উন্নয়নমূলক বিভিন্ন ইস্যুর উপর বিষয়ভিত্তিক নাটিকা, কথিকা, গল্পভিত্তিক আলোচনা তৈরী ও প্রচার করা।
২০২০ সালের জুন মাস থেকে উখিয়ার রাজাপালং, পালংখালীভিত্তিক প্রকল্পটি শুরু হয়েছে। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ মেয়াদ শেষ হবে।
স্থানীয় পর্যায়ে রেডিওতে প্রচারের জন্য নির্মিত হয়েছে ‘পালংয়ের হথা।’ যাতে রয়েছে ৪০ টি পর্ব।
প্রকল্প উদ্বোধনীতে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক, পেশাজীবি ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।