১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২ পৌষ, ১৪৩২ | ২৫ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের

অনুপ্রবেশকালে শতাধিক রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি

কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া থেকে শতাধিক রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত নাফ নদীর শূন্যরেখায় রোহিঙ্গাবাহী তিনটি নৌকা ও উখিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৭৪ রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হয়।

কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, ভোররাত থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত উখিয়ার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ৭৪ জন রোহিঙ্গাকে স্বদেশে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবির সদস্যরা। এর মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ২৪ নারী ও ৩৯ জন শিশু রয়েছে। এরা প্রত্যেকেই সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছিল। এ নিয়ে চলতি মাসের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪১৯ জন নারী, পুরুষ ও শিশুদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিজিবির ওই কর্মকর্তা।

এদিকে, বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু জার আল জাহিদ জানান, নাফ নদীর একটি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গাবাহী তিনটি নৌকা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় জলসীমার শূন্যরেখায় এদের ফেরত পাঠানো হয়। প্রতিটি নৌকায় ১০ থেকে ১২ জন রোহিঙ্গা ছিল। সে হিসাবে ওই নৌকায় ৩৬ জন রোহিঙ্গা ছিল বলে ধারণা করছেন বিজিবির ওই কর্মকর্তা। এ নিয়ে ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত টেকনাফে নাফ নদীর জলসীমানায় অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে রোহিঙ্গাবাহী ২৩২টি নৌকা ফেরত পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের ভেতরে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েককটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্ত পুলিশের ৯ সদস্য নিহত হয়। সেই হামলার জন্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করে আসছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর থেকে তাদের ওপর নির্যাতন শুরু হলে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।