৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  আরসা প্রধান আতাউল্লাহসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা   ●  কক্সবাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৮ ডাকাত আটক   ●  হলফনামা বিশ্লেষণ: ৫ বছরে এমপি আশেকের সম্পদ বেড়েছে ২ কোটি টাকার কাছা-কাছি   ●  ২১ দিন বন্ধের পর মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে এল পন্যবাহি চারটি ট্রলার   ●  মহেশখালীতে সাবেক ইউপি সদস্যেকে পিটিয়ে হত্যা   ●  ভ্রাতৃঘাতি দেশপ্রেমহীন রোহিঙ্গা আরসা-আরএসও প্রসঙ্গে; এডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর   ●  কক্সবাজারে রেল : শুরুতেই ইজিবাইক চালকদের দৌরাত্ম্য ২০ টাকা ভাড়া রাতা-রাতি ৫০ টাকা!   ●  মাদক কারবারিদের হুমকির আতঙ্কে ইউপি সদস্য কামালের সংবাদ সম্মেলন   ●  সালাহউদ্দিন সিআইপি ও এমপি জাফরকে আদালতে তলব   ●  কক্সবাজার-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এমপি জাফর আলম

৯৯ ব্রাইডাল হাউসে ভাড়াটিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল মামলায় ৩জন কারাগারে

বার্তা পরিবেশক:

কক্সবাজার শহরে আলোচিত কলাতলী ৯৯ ব্রাইডাল হাউসের মালিকের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ভাড়াটিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক দখল, ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে ক্ষতিগ্রস্ত ভাড়াটিয়া নুরুল কবির পাশা’র দায়েরকৃত মামলায় ৩জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। (যার সিআর মামলা নং- ৫৭৮/২০২১ইং।
আদালত সুত্রে জানা যায়, আজ সোমবার এ মামলার পলাতক আসামীরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবুল মনসুর জামিন বাতিল করে প্রধান আসামী ঈদগাঁও উপজেলার পশ্চিম পোকখালীর মোঃ হোসেনের ছেলে এরশাদ হোসেন নুর(৩৫), ৩ নং আসামি শহরের টেকপাড়ার হাজী আনোয়ার হোসেনের ছেলে ফয়সাল(৩৫) ও মোঃ হোসেনের ছেলে সোয়েব নুরকে(২২) জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ওসময় এ মামলার ২ নং পলাতক আসামী ৯৯ ব্রাইডাল হাউসের মালিক পশ্চিম টেকপাড়ায় বসবাসকারী আলহাজ্ব নুর আহমদের ছেলে আনোয়ার হোসেনকে(৫৯) ৫শ টাকা বন্ডে বয়স বিবেচনায় জামিন দেন আদালত।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, বিগত ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রথম দফা এবং একইদিন রাত ১১টায় দ্বিতীয় দফা রাত আড়াইটায় তৃতীয় দফায় ৯৯ ব্রাইডাল হাউসের মালিক উক্ত মামলার আসামি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অন্যান্য আসামি সহ ২০/৩০জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে ৯৯ কটেজের বৈধ ভাড়াটিয়া নুরুল কবির পাশাকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করতে হামলা, লুটপাট এবং ব্যাপকভাবে ভাংচুর চালায়। সেসময় খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক এসআই বিপ্লবের একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে সন্ত্রাসীরা আবারও হানা দেয় কটেজটি দখলে নিতে। ওসময় সন্ত্রাসীকে একের পর এক ফাঁকা গুলি বর্ষন করে কটেজটি দখলে নেয়। সেসময় কটেজে অবস্থানরত পর্যটককে মারধর ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। আশপাশের পর্যটকসহ ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়।

ঘটনার নেতৃত্বদানকারী হাজি আনোয়ার হোসেনসহ সন্ত্রাসীরা কটেজে ব্যাপক ভাংচুর এবং মূল্যবান আসবাবপত্র লুটপাট করে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এ মামলার স্বাক্ষী মিম আক্তারকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার কাছ থেকে তার শরীর পরিহিত থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসব সন্ত্রাসীরা কটেজের ম্যানেজার ও কর্মচারীকেও মারধর করে। তাদের কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং কটেজের ক্যাশ টেবিল ভেঙে নগদ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা।

মামলার বাদি নুরুল কবির পাশা জানান, ঘটনায় দিন হাজি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে আমার কটেজ দখল করে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করে আসছে। তারা কটেজ ভাড়া বাবদ আমার জামানতের ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করার জন্য এসব ঘটনা সংঘটিত করছে। ঘটনার সকল সিসিটিভির ফুটেজ আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। আমাকে হত্যার পরিকল্পনাও করেছে বহুবার। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।