১৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ২৮ কার্তিক, ১৪৩১ | ১০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়   ●  কক্সবাজার সমবায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে কবির, আফসেল ও রাশেলকে প্রতিনিধি মনোনয়ন।

সিটি নির্বাচন: ভিন্ন কৌশলে এগুচ্ছে বিএনপি

 সিটি নির্বাচন: ভিন্ন কৌশলে এগুচ্ছে বিএনপি
ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে ভিন্ন কৌশলে এগুচ্ছে বিএনপি।
নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি সরাসরি দল সমর্থিত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবে কিংবা সমমনা জনপ্রিয় কোনো প্রার্থীদেরকেও সমর্থন দিতে পারে।

আর এ লক্ষ্যে সমমনা বিশিষ্ট নাগরিকদের সামনে রেখে একটি  নির্বাচনী ‘মঞ্চ’ তৈরির পরিকল্পনা করছে বলেও  একটি সুত্রে জানা গেছে।

সুত্রটি জানায়, বিশিষ্ট নাগরিকদের সমন্বয়ে ‘মঞ্চ’ তৈরি এবং এর নাম ঠিক করার জন্য দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এমাজউদ্দীন আহমদ ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

এ জন্য মঙ্গলবার বিএনপি মনা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করা হবে।

বিএনপি নেতারা জানান, চট্টগ্রাম ও ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে রোববার পর্যন্ত বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বা ২০ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি।

তবে জোটের কয়েকটি শরিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের যোগাযোগ হয়েছে।

নির্বাচনে যাওয়া না-যাওয়া নিয়ে বিএনপির ভেতরে এবং জোটের শরিকদের মধ্যে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত রয়েছে। তবে বেশির ভাগ নেতা নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে মত দিলেও মাঠে কতটা ভূমিকা রাখা যাবে, প্রার্থীরা ঠিকমতো গণসংযোগ করতে পারবেন কি না, নেতা-কর্মীদের মামলা-মোকদ্দমাগুলোর কী হবে, এসব বিষয়ে নানা প্রশ্ন ও সংশয় রয়েছে।

আর বর্তমান পরিস্থিতি লক্ষ্য করে বিএনপি নির্বাচন কমিশনে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর এবং চিঠি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। ওই চিঠিতে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা, প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নামে থাকা মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার, হয়রানি না করা এবং মাঠে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হবে।

এসব বিষয়ে কমিশনের আশ্বাস পেলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং নির্বাচনী মাঠে নামবে বিএনপি।

সুত্রটি আরো জানায়, নির্বাচন কমিশনকে আরও একটি বিষয়ে অভিযোগ করে প্রতিকার চাইবে বিএনপি। তা হচ্ছে, আগে অবিভক্ত সিটি করপোরেশন থাকায় মেয়র প্রার্থীরা যে কোনো এলাকার ভোটার হয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে পারতেন। এবার সিটি উত্তর-দক্ষিণে ভাগ হওয়ায় মেয়র প্রার্থীরা পছন্দের এলাকায় প্রার্থী হতে পারছেন না। এই আইনটি শিথিল করা কিংবা পছন্দের এলাকায় ভোটার তালিকায় নাম স্থানান্তরের সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানানো হতে পারে।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র আরো জানায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর মেয়র প্রার্থী হওয়া অনেকটাই নিশ্চিত। তবে নাগরিক ঐক্য ইতিমধ্যে এই এলাকা থেকে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব কিছুটা অপ্রস্তুত।

বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের ভাবনায় ছিল মিন্টুকে উত্তরে, আর মান্নাকে দক্ষিণে সমর্থন করা হবে। কিন্তু দুজনেই উত্তরের ভোটার হওয়ায় তা আর সম্ভব হচ্ছে না।

এই অবস্থায় কে, কাকে ছাড় দেবে এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি মিন্টুর বিষয়টি ছাড় দেবে না বলেই দলে আলোচনা হয়েছে।

সুত্র আরো জানায়, ঢাকা দক্ষিণে মনমতো প্রার্থী পাচ্ছে না বিএনপি। পছন্দের প্রার্থীদের মধ্যে মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকত উল্লা, রুহুল কবির রিজভী আহমেদের নাম ছিল। এর মধ্যে মির্জা আব্বাস ছাড়া অন্যরা দক্ষিণের ভোটার নন। আর মির্জা আব্বাস একটি মামলায় দ-িত। এজন্য তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।

আর পুরান ঢাকার বাসিন্দা আইনজীবী তুহিন মালিককে মেয়র পদে সমর্থন দেওয়ার কথা ভাবা হয়। কিন্তু রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা মাথায় নিয়ে তিনি বিদেশে আছেন। তাঁর বিষয়টিও প্রায় বাতিলের খাতায় চলে গেছে।

এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির ৭১ জন এবং উত্তরে ২৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

অপর দিকে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আ জ ম নাছির। কিন্তু বিএনপি এখনো প্রার্থী ঠিক করতে পারেনি। সম্ভাব্য পছন্দের প্রার্থীদের কেউ কেউ প্রার্থী হতে চাইছেন না। আবার অনেকে নিজে আগ্রহী হলেও দল ভরসা পাচ্ছে না।

আর চট্টগ্রাম সিটিতে নির্বাচন করার জন্য নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দুই দফায় ফোন করেন চেয়ারপারসন। এতে তিনি মৌন সম্মতিও দেন। কিন্তু পরে দলের নীতিনির্ধারকদের তিনটি কারণ দেখিয়ে তিনি পিছু হটেন।

কারণগুলো হচ্ছে, তিনি জাতীয় রাজনীতি করতে চান, পূর্ণ মন্ত্রীও ছিলেন। আর চট্টগ্রামের মেয়র পদটি প্রতিমন্ত্রী মর্যাদার। আর তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্য সব ঢাকা কেন্দ্রিক। যে কারণে তাঁকে ঢাকায় থাকতে হয়।

আর শীর্ষ নেতৃত্বের মনোভাবের পর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিকল্প হিসেবে দলের সাবেক সাংসদ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম ও তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী আবদুস সালামের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছে।

অপরদিকে বর্তমান মেয়র মনজুর আলমকে সমর্থন দিলে  তিনি নির্বাচন করতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিএনপি’র স্থানীয় নেতাদের বড় একটি অংশ বর্তমান মেয়র মন্জুর আলমকে আবারও প্রার্থী করার পক্ষে রয়েছেন।

অপর সুত্র জানায়, চট্টগ্রামে বিএনপি-জামায়াতের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী এলাকাছাড়া। ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধ ও হরতালে এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। আর গ্রেফতার ভয়ে তারা আত্মগোপনে চলে গেছেন। ফলে আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের সম্ভাব্য অনেক কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আর চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৭৭টি মামলার ফাঁদে পড়েছে বিএনপি-জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মী। এসব মামলায় গ্রেফতার এড়াতে বিএনপির শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মীরাও এলাকা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ফলে তারা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কিংবা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।

– See more at: http://www.sheershanewsbd.com/2015/03/24/73768#sthash.doVcsMnE.dpuf

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।