৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ৫ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  অপহরণের ৯ ঘন্টা পর অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার স্কুলছাত্র   ●  শাহপরীর দ্বীপে ‘পর্যটন স্পট’ গড়তে চায় সরকার, পরিদর্শনে পর্যটন উপদেষ্টা   ●  ইসিএ এলাকায় নির্মিত স্থাপনা সরাতে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের মাইকিং   ●  চকরিয়ায় বনের জমিতে বিএনপি নেতাদের পশুর হাট   ●  গলায় ওড়না পেঁচিয়ে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী’র আত্নহত্যা   ●  যারা ক্লাসে ৭০% উপস্থিত থাকবে না তাদের পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেওয়া হবে না- শাহাজাহান চৌধুরী   ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।

সমুদ্র সৈকতে জাহাজ ভাসা উৎসব সম্প্রীতির সেতুবন্ধন

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় কল্প জাহাজ ভাসা উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা। এই উৎসবকে ঘিরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সম্প্রীতির সেতুবন্ধন তৈরি হয়।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) শহরের বৌদ্ধ মন্দিরস্থ ক্যাং পাড়াবাসী, রাখাইন শিক্ষার্থী ও বড়বাজার রাখাইন একতা সংঘের উদ্যোগে ৩টি দৃষ্টিনন্দন কল্পজাহাজ নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রায় রঙ-বেরঙের পোশাক পরিধান করে হাজার রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেয়। এসময় কল্প জাহাজ নিয়ে ঢাক-ডোল ও বাজনা বাজিয়ে নেঁচে গেয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠে সবাই।
শোভাযাত্রা দেখতে প্রধান সড়কের দু’পাশে অসংখ্য উৎসুক জনতা ভীড় করে। প্রায় ১ ঘন্টা পর কল্প জাহাজ নিয়ে শোভাযাত্রার ইতি ঘটে সৈকতের কবিতা চত্বর পয়েন্টে এসে। এসম সৈকতের বালিয়াড়িতে হাজার হাজার নর-নারীর সম্মিলন। জাহাজভাসা উৎসবের আনন্দে সামিল হয়েছে ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজনও। এ যেন এক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।
পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাগরের উত্তার ঢেউয়ের সাথে ভাসানো হয় কাঙ্খিত কল্প জাহাজ। ঢেউয়ের তালে তালে ভাসছে বাঁশ, বেত, কাঠ, রঙ্গিন কাগজ দিয়ে অপূর্ব কারুকাজে তৈরী নান্দনিক কল্প জাহাজ। যা নজর কাড়ে সবার। কক্সবাজার শহর ছাড়া চৌফলদন্ডী, খুরুশকুল, হারবাং, টেকনাফ ও চকরিয়াতেও এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
কক্সবাজার রাখাইন একতা সংঘের সভাপতি উসেন থোয়েন (উসেনমি বাবু) বলেন, ‘আজ থেকে দুইশ বছর আগে মিয়ানমারে মুরহন ঘা নামক স্থানে একটি নদীতে মংরাজ ম্রাজংব্রান প্রথম এ উৎসবেরর আয়োজন করেন। প্রবারণা পূর্ণিমার একসাথে মিলিত হবার জন্য এ আয়োজন চলতো। সেখান থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারেও এ উৎসবের প্রচলন হয়। যা আজ অবদি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবার প্রবারণায় রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য বিশেষভাবে প্রার্থনা করেছে।
কক্সবাজার সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ক্যথিং অং ও সাবেক সাংসদ অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন জানান, ‘আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্নিমা পর্যন্ত তিনমাস বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বর্ষাব্রত পালন করেন। এ সময় বৌদ্ধ দায়ক-দায়িকারা প্রতি অমাবস্যা, পূর্ণিমা ও অষ্টমী তিথিতে অষ্টশীল পালন করেন। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তিনমাস ব্যাপী বর্ষাব্রত পালন কালে সদ্ধর্ম্ম বিষয়ক লেখাপড়া, গবেষনা ও জ্ঞান আহরন করেন। বর্ষাব্রত পালনের শেষ দিন আশ্বিনী পূর্ণিমাকেই বলা হয় প্রবারণা পূর্ণিমা।
প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে এক মাসব্যাপী কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান পালন করা হবে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।