৩১ মার্চ, ২০২৩ | ১৭ চৈত্র, ১৪২৯ | ৮ রমজান, ১৪৪৪


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ পাকা স্থাপনা ধ্বংস করলো বনবিভাগ; ৫০ একর বনভূমি দখলমুক্ত   ●  সাগরে ১০টি বস্তায় মিলল ৭ লাখ ইয়াবা   ●  উখিয়ায় কলেজ ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪   ●  মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি কক্সবাজার জেলা কারাগারের বিনম্র শ্রদ্ধা   ●  উখিয়ায় মাটি ভর্তি ডাম্পার আটক   ●  কক্সবাজারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত   ●  স্বাধীনতা দিবসে মরিচ্যা উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি উন্মোচন   ●  পানেরছড়ায় পাহাড় ও গাছ কাটার হিড়িক, নিরব বন বিভাগ   ●  চকরিয়ায় গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় এমপি জাফর আলম   ●  চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের ইফতার মাহফিল-আলোচনা সভায় এমপি জাফর

শুণ্য থেকে হঠৎ কোটিপতি হোয়াইক্যং’র বিকাশ আলম

বিশেষ প্রতিবেদক:

বছর দশেক আগেও জেলে জীবন কাটিয়েছেন। কিন্তু বছর ঘুরতেই এখন কোটিপতির খাতায় নাম লিখিয়েছেন কক্সবাজারের টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের হোয়াইক্যং বাজারপাড়া এলাকার বাসিন্দা তৈয়ং গোলাম’র ছেলে মো.আলম (৪১)। এলাকায় পরিচিত বিকাশ আলম হিসেবে। শুণ্য থেকে হঠাৎ করে কোটিপতি হওয়া নিয়ে নানা রহস্যের কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জেলে থাকা অবস্থায় মানবপাচার শুরু করেন আলম। এরপর মিয়ানমারের সাথে ইয়াবা ব্যবসায় সম্পৃক্ত হন তিনি। ২০১০ সালে মিয়ানমারের দুই নাগরিক আটক হওয়ার ঘটনায় তাকে পলাতক আসামী দেখিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। যা টেকনাফ থানার এফআইআর নং-১৬। পরবর্তীতে জিআর-৩৭১/১০ হয়ে আদালতে বিচারাধীন রয়েছেন। এরপর আর পিছনে ফিরে থাকতে হয়নি। দিন দিন চক্রহারে বাড়তে থাকে তার সম্পদ।
অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য মতে, বর্তমানে তার রয়েছে অর্ধকোটি টাকা মূল্যের দুটি মাটি কাটার এক্সেবেটর। প্রায় ৬০ লাখ টাকা মূল্যের চারটি ডাম্পার। ৮ লাখ টাকা মূল্যের আধুনিক দুটি মোটরসাইকেল। হোয়াইক্যং স্টেশনে কোটি টাকা মূল্যের দুই খন্ড জমি।

মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়। ২০১৯ সালে ২ জানুয়ারি অস্ত্র আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় তিনি আটক হয়েছিলেন তিনি। যা নিয়ে টেকনাফ থানা এফআইআর ১/১।

এছাড়া পিসিপিআর পর্যালোচনা করে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনের ধারায় ২০১৯ সালে ২ জানুয়ারি মামলা দায়ের হয়। যা টেকনাফ থানায় এফআইআর নং ২/২। ২০১১ সালে ১৩ নভেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারায় মামলা হয়। যা থানার এফআইআর নং-১৭ (জিআর ৫১৩/১১ নং)। ২০১৮ সালের ১০ মে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ধারায় টেকনাফ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। যার নং ২৫/২৪১। ২০১০ সালে ১৬ নভেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারায় টেকনাফ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। যার জিআর নং ৩৭১/১০।এব্যাপারে অভিযুক্ত মো. আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।