৪ জুন, ২০২৩ | ২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ | ১৪ জিলকদ, ১৪৪৪


শিরোনাম
  ●  জাতীয় শ্রমিক লীগ চকরিয়ার ফাসিয়াখালী ইউনিয়ন শাখার কর্মী সভায় এমপি জাফর আলম   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এমপি জাফর আলম   ●  স্কাউটসসের নিয়ন্ত্রণ জামায়াত-শিবিরের হাতে যাচ্ছে কিনা কঠোর নজরদারি করতে হবে- এমপি জাফর   ●  সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আলেম-ওলেমাদের এগিয়ে আসতে হবে-এমপি জাফর   ●  ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বর্তমান উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে   ●  আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীর সমর্থককে জরিমানা ও মুচলেকা আদায়   ●  পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল শিশু তৌকির   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে কুপিয়ে হত্যা   ●  শাহপুরী হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ একজন গ্রেফতার   ●  কক্সবাজারে রেডিও সৈকত এর ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

লিংকরোডে পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণ; বনবিভাগের ভূমিকা রহস্যজনক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজার লিংকরোড স্টেশনের রাস্তার দক্ষিণ পাশে বিশাল পাহাড় কেটে অনুমোদনহীনভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন লিয়াকত আলী নামের এক ব্যক্তি। দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকা রাস্তার দক্ষিণ পাশের পাহাড় কেটে পাহাড়ের মাটি রাস্তার উত্তর পাশের নিচু জমি ভরাট করে তাতে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। অন্যদিকে রাস্তার দক্ষিণ পাশে পাহাড় কাটা অংশে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করে আসছেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকবার অভিযোগ দেয়ার পরও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানিয়েছেন, দক্ষিণ মহুরি পাড়ার মৃত জহুর আহমদের পুত্র লিয়াকত আলী লিংক রোড স্টেশনের দক্ষিণ পাশের পাহাড়টি দীর্ঘদিন ধরে কেটে আসছেন। পাহাড় কেটে সেখানে অনুমোদনহীনভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নির্মাণাধীন বহুতল ভবনটি ইতিমধ্যেই ঝুঁকি তৈরি করেছে। যেকোন সময় সেখানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে প্রাণহানি ঘটতে পারে। প্রায় প্রতিরাতে সেখানে পাহাড় কেটে রাস্তার উত্তর পাশে মাটি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পাহাড় কাটা মাটি নিয়ে কৃষি জমি ভরাট করা হচ্ছে।

এপ্রসঙ্গে জানতে চাইলে লিংকরোড বনবিট কর্মকর্তা সোহেল হোসেন দাবি করেন, আমি দেড় মাস আগে এই স্টেশনে যোগদান করেছি। অনেক আগে থেকে তাদের দখলে থাকা জায়গাতে বহুতল ভবন নির্মান করতেছে। ভবন দেখলে বুঝতে পারবেন কতো পুরাতন জায়গা। তবুও তিনি এই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে দাবি করেন।

অন্যদিকে অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় লিয়াকত আলী বনবিভাগকে ম্যানেজ করে বহুতল ভবন নির্মানের কাজ চালিয়ে আসছে।

এ বিষয়ে গত ৬ এপ্রিল এলাকাবাসী পাহাড় খেকো লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নকশা অনুমোদন ছাড়া পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধ করে তা উচ্ছেদের জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বরাবরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি দ্রুত তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।