৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৬ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের   ●  উখিয়ায় প্রায় ৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ বাহক আটক, অধরা মাদক সম্রাট ছোটন ও মামুন   ●  ১৩ নভেম্বরকে ঘিরে কক্সবাজারে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে মিয়ানমারের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মিয়ানমারের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মায়ো মিয়ান্ট থানকে তার সরকারের কাছে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়ার বার্তা পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি একথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ তার দেশের ভেতরে রোহিঙ্গ মুসলিমদের একের পর এক দলবদ্ধ আগমনের চাপ বহন করছে।’

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন। খবর বাসসের

প্রায় ৩৪ হাজার নিবন্ধিত শরণার্থী স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রায় দুই লাখ অনিবন্ধিত মিয়ানমারের নাগরিকও অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে বাস করছে। এর বাইরে প্রায় ৭৬ হাজার রোহিঙ্গা ২০১৬ সালের অক্টোবরের পরে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে এবং এটা এদেশের জন্য বড় বোঝা। এই শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া নিয়ে উভয় দেশের আলাপ-আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন।’

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সর্বদা তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরকারের ওপর গুরুত্ব দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘দু’দেশের সম্পর্কের মূলে রয়েছে ভৌগোলিক নৈকট্য, বহু শতাব্দীর অভিন্ন ইতিহাস গাঁথা এবং সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মিল।’

বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রশ্নে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রয়েছে। বাংলাদেশ সশস্ত্র গ্রুপ অথবা বিদ্রোহীদের কোন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে তার মাটি ব্যবহার করতে দেবে না। আমরা জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং অপর দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে অবিচল।’

রাষ্ট্রপতি দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বেসরকারি ও সরকারি পর্যায়ে সফর বিনিময়ের ব্যবস্থার প্রয়োজনীতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ভবিষ্যতে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

এসময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।