২৭ মার্চ, ২০২৩ | ১৩ চৈত্র, ১৪২৯ | ৪ রমজান, ১৪৪৪


শিরোনাম
  ●  মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি কক্সবাজার জেলা কারাগারের বিনম্র শ্রদ্ধা   ●  উখিয়ায় মাটি ভর্তি ডাম্পার আটক   ●  কক্সবাজারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত   ●  স্বাধীনতা দিবসে মরিচ্যা উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি উন্মোচন   ●  পানেরছড়ায় পাহাড় ও গাছ কাটার হিড়িক, নিরব বন বিভাগ   ●  চকরিয়ায় গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় এমপি জাফর আলম   ●  চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের ইফতার মাহফিল-আলোচনা সভায় এমপি জাফর   ●  খুটাখালী ইউনিয়ন আ.লীগের ইফতার মাহফিল, আলোচনা সভায় এমপি জাফর   ●  বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনাই ইসলামের প্রচার-প্রসারে গুরুদায়িত্ব পালন করছেন   ●  বাঁকখালী নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে কউক ও বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান বরাবরে বাপার স্মারকলিপি

রমজান ইবাদতের মাস

প্রেমময়ের সান্নিধ্য লাভের অবারিত সুযোগ নিয়ে আসে রমজান। এ মাসে খোদার রহমতের ফল্গুধারায় মুমিন-মুত্তাকির অন্তর সিক্ত হয়। মানবগ্রহে সাম্য, সম্প্রীতি, সহানুভূতি ও সহমর্মিতার ঐশী আবহ তৈরি করে সিয়াম। সিয়াম সাধনায় মাটির মানুষ পরিণত হন সোনার মানুষে। শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও আপন প্রভুর সামনে সিজদাবনত হওয়ার, দোয়া, তাসবিহ-তাহলিল, তাওবা ইস্তিগফার করার সুযোগ তৈরি করে দেয়।

এ মাসে আল্লাহর কাছে সব রকমের ইবাদতের গুরুত্ব অনেক বেশি। হাদিসে এ মাসে ইবাদতের গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে এভাবে :

ক. এ মাসে একটি ওমরাহ করলে একটি হজ আদায়ের সওয়াব হয় এবং তা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে হজ আদায়ের মর্যাদা রাখে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘রমজান মাসে ওমরাহ করা আমার সঙ্গে হজ আদায় করার সমতুল্য’। [বুখারি : ১৮৬৩]।

খ. রমজানে ইবাদতে রাত জাগরণের ফজিলত বিশেষভাবে বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে নেকির প্রত্যাশায় রমজানের রাত জাগরণ করবে তার অতীতের গুনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হবে।’ [বুখারি : ৩৭; মুসলিম : ৭৬০]।

গ. রমজানের শেষ দশকে রাসূলুল্লাহ (সা.) বিশেষভাবে ইবাদতে মনোনিবেশ করতেন। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে বেশি বেশি ইবাদতে মনোনিবেশ করতেন, যতটা তিনি অন্য দিনগুলোতে করতেন না।’ [মুসলিম : ১১৭৫]।

ঘ. হজরত আয়েশা (রা.) থেকে আরও বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, ‘রমজানের শেষ দশক এলে রাসূলুল্লাহ (সা.) তার লুঙ্গি শক্ত করে বাঁধতেন এবং তিনি এর রাতগুলোতে নিজে জাগতেন আর পরিবারকেও জাগাতেন।’ [বুখারি : ২০২৪]।

ঙ. রাসূল (সা.) বলেন, ‘এটা ধৈর্যের মাস। আর ধৈর্যের প্রতিদান জান্নাত। এটা সমবেদনার মাস। এ মাসে মুমিনের রিজিক বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। যে ব্যক্তি তার অধীনের কাজের ভার লাঘব করবে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন।’ [বায়হাকি]।

চ. প্রিয় নবি (সা.) বলেন, ‘হে লোকজন, এ মাসে চারটি জিনিসের ওপর খুব গুরুত্ব দাও এবং বেশি বেশি করে কর। ১. কালিমা তাইয়্যেবা-‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’। ২. ইস্তিগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা। ৩. জান্নাত চাওয়া। ৪. জাহান্নাম থেকে মুক্তি কামনা করা। [মেশকাত : ১/১৭৪, বায়হাকি, শুয়াবুল ইমান ৩/৩০৫]।

সুতরাং পবিত্র এ মাসটিতে সিয়াম পালনের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক খোদার ধ্যানে নিমগ্ন থাকা, রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগি করা, সিজদাবনত থাকা এবং যথাসাধ্য কুরআন তিলাওয়াত ও বুঝে বুঝে কুরআন পড়া সব মুসলমানের কর্তব্য। যাতে রাসূল (সা.)-এর আদর্শ অনুযায়ী রমজান মাস কাটাতে পারি এবং আল্লাহতায়ালার নিয়ামত ও হেদায়েত থেকে আমরা পূর্ণরূপে লাভবান হতে পারি। আল্লাহতায়ালা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।

লেখক : অধ্যক্ষ, দারুল উলুম ঢাকা, মিরপুর ১৩

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।