৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ১৫ আশ্বিন, ১৪৩০ | ১৪ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজারে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চ্যানেল আই এর বর্ষপূর্তি উদযাপন   ●  ফেভারিট চকরিয়া কে হারিয়ে মহেশখালী চ্যাম্পিয়ন   ●  মহেশখালী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে ভিটেমাটি দিয়েও চাকুরির প্রতিশ্রুতি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি   ●  উখিয়ার হলদিয়ায় ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম সিকদারের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালিত   ●  সেন্টমার্টিনের উপর পর্যটন নির্ভরতা কমানোর পরামর্শ দিলেন এমপি আশেক   ●  কক্সবাজারে ডিএনসির অভিযান ইয়াবাসহ একজন গ্রেফতার, প্রাইভেটকার জব্দ   ●  বিট কর্মকর্তা জহিরুলের সফল অস্ত্রোপচার, এখনো জ্ঞান ফিরেনি   ●  রামুতে দখলবাজদের হামলার ঘটনায় মামলা, শঙ্কামুক্ত নয় জহিরুল   ●  সাবেক এমপি এড. খালেকুজ্জামানের ২৩ তম শাহাদত বার্ষিকী আজ   ●  ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী আবু সুফিয়ানের হামলায় উখিয়ায় সংবাদকর্মী আহত

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ জাতিসংঘ

মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের গণহত্যা রোধে আন্তর্জাতিক বিচারক আদালতে (আইসিজে) যে রায় দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে দেশটির ওপর চাপ প্রয়োগে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক গোপন বৈঠক শেষে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, আইসিজেতে যে রায় দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে কোনো প্রকার সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কূটনৈতিক কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরাকে জানান, গোপন ওই বৈঠকে মিয়ানমারের সহযোগী চীন, ভিয়েতনাম ও আসিয়ানের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো এর বিরোধিতা করেছে।

এদিকে বৈঠকের পর নিরাপত্তা পরিষদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা (ইইউ) যৌথ এক বিবৃতিতে জানান, মিয়ানমারকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে কাজ করতে হবে এবং আইসিজিতে যে নির্দেশনা দিয়েছে তা মেনে চলতে হবে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই পরিস্থিতি মিয়ানমারকে তৈরি করতে হবে।

ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম এবং এস্তোনিয়ার কাউন্সিলররা ও পোল্যান্ডের সাবেক কাউন্সিলর মিয়ানমারে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।

ইইউ সদস্যরা আরও বলেন, রাখাইন, কাচিন ও শান রাজ্যে দ্বন্দ্বের মূল কারণগুলো মিয়ানমারকেই সমাধান করতে হবে। হিউম্যান রাইটস ও মানবিক আইন লঙ্ঘনের অপরাধীদের জবাবদিহিতা আন্তর্জাতিক আইনের একটি প্রয়োজনীয় অঙ্গ।

২০১৭ সালের আগস্টের পর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন নিপীড়নে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাড়ে সাত লাখ সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা। বর্তমানে বাংলাদেশে দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

জাতিসংঘের এক তদন্তে সন্দেহ করা হয়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া তদন্তকারীরা এটিকে গণহত্যা হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।