আবু সায়েম, কক্সবাজারঃ মাদকবিরোধী অভিযানে যোগউপযোগী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দীন খন্দকার। সরকারের মাদকবিরোধী যে জিরো টলারেন্স সে নীতিকে বাস্তবে রুপ দিতে রাত দিন পরিশ্রম করছেন সদর মডেল থানার ওসি ও তারঁ চৌকস টিম। ফরিদ উদ্দীন খন্দকার সদর মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় ২ বছরের কাছাকাছি। কিন্তু দায়িত্ব পালনের এ সময়ে তিনি সদর মডেল থানা এর আওতাভুক্ত এলাকাসমূহ মাদক নির্মূল, অস্ত্র উদ্ধারে ব্যাপক ভূমিকা, পর্যটনদের নিরাপত্তা প্রদানে পুলিশিং কার্যক্রমে তরান্বিত , শহরের ঝুকিঁপূর্ণ যেসব এলাকায় চুরি ছিনতাই সংগঠিত হয়, সে সকল গুরুত্বপূর্ণ স্পটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন, পর্যটক এবং স্থানীয় জনগণ এরবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সারারাত পুলিশি গাড়ি টহল সহ নিরাপত্তার চাদরে আচ্ছাদিত করতে কাজ করছেন একাগ্রচিত্বে। অবিচল আছেন সততা ও ন্যায় নীতিকথায়। সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়,বয়স্ক এক মহিলা বসে আছেন থানা কম্পাউন্ডের এক কোণে।থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যাচ্ছেন নামাজে। হঠাৎ কম্পাউন্ডের এক কোণায় দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে এক অভাবী মহিলা অঝুর নয়নে কান্না করছেন । নাম তারঁ রাবেয়া খাতুন , বয়স ৭০ ছুঁই ছুঁই। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার হঠাৎ নজরে আসে ঐ মহিলা । কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে কি সমস্যা? তখন ভদ্র মহিলাটি বললেন, ৪ সন্তানকে পড়ালেখা করে মানুষ করেছি, কিন্তু আজ তারা আমার কোন খবর নিচ্ছে না। দায়িত্ব পালনও করছে না। মনযোগ সহকারে কথাগুলো শুনে মহিলাটিকে আশস্ত করেন এবং তৎক্ষনাৎ মহিলাটিকে তার সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেনএবং দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশের এসআইকে সকল কার্যক্রম, সম্পাদনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। ওসির এমন কার্যক্রম দেখে মহিলাটি খুশিতে আতœহারা হয়ে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন। ঠিক তেমনি প্রাত্যহিক মানবিক এবং সেবামূলক সেবা প্রদান করে আসছেন বহুগুণে গুণান্বিত বর্তমান ওসি ফরিদ উদ্দীন খন্দকার।যা সত্যি অবিস্মরণীয় এবং মানবজাতির জন্য শিক্ষার অনন্য নিদর্শন। হাজার বাধাঁকে মোকাবেলা করে ঝুকিঁ নিয়ে নিজের পেশাদারিত্বকে সর্বোচ্চঠুকু দিয়ে কাজ করছেন মানবতার সেবায়। অনেকেই পুলিশের কার্যক্রমকে খারাপের চোখে দেখে। আমরা বলি দোষে গুণে মানুষ। প্রত্যেকটি মানুষের মানবিক গুণবালি ও অমানবিক কার্যক্রম ও থাকে। আজ যদি আমরা পুলিশের সে ভালো কাজগুলোকে উৎসাহ দিতাম এবং লালন করতাম তাহলে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ উপহার দিতে পারতাম। তারই ধারাবাহিকতায় ন্যায় নীতিকথা ও আদর্শে অবিচল থেকে মানুষকে প্রাত্যহিক সেবা প্রদান করে আসছেন দক্ষ ওঅভিজ্ঞ অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও তারঁ টিম । সুযোগ্য পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসাইন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইকবাল হোসাইন, সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদিবুল ইসলামের এর দিকনির্দেশনা বাস্তবে রুপ দান এবং সদর মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা খায়রুজ্জামান এবং অপারেশন্স অফিসার মোহাঃ ইয়াছিনের সহযোগিতায় কক্সবাজার সদর মডেল থানা আজ অন্যান্য থাানার রুল মডেল। কমে গেছে আগের চেয়ে মাদক,অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ কর্মকতাদের সফলতা, চুরি ছিনতাই রোধে সহায়তা, কক্সবাজার গ্যাং কালচার ও ইভটিজিং রোধে ব্যাপক ভূমিকা, জড়িতদের আইনের আওতায় আনা সহ, সর্বোপরি মডেল থানা উপহার দিতে যোগউপযোগী সিদ্ধান্ত বা¯তবায়ন করছেন থানায় কর্মরত অফিসাররা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, সদর মডেল থানার দাায়িত্বশীল এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বর্তমান সদর মডেল থানার পরিবেশ অত্যন্ত চমৎকার। প্রাত্যহিক অভিযানে সদর মডেল থানায় বিভিন্ন মামলার ৩০ থেকে ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। বর্তমান ওসি স্যার তদবিরকে মূল্যায়ন না করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন । স্যারের এ মহৎ কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা। কোন অফিসাররা যাতে মাদকের ব্যবসার সাতে জড়িত হতে না পারে , আইনবিরোধী ও দেশবিরোধী কোন কার্যক্রমে অংশীদার না হয় সেজন্য সদর সার্কেল স্যার ও ওসি স্যার সজাগ দৃষ্টি রেখে প্রতিনিয়ত সতর্ক করেন এবং ভালোভাবে খোজঁ খবর রাখেন। যাতে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সকল পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রুল কল করে পেশদারিত্বের সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
বর্তমান সদর মডেল থানার পরিবেশ এবং তারঁ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে সদর মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দীন খন্দকার পিপিএম (বার) জানান, দেশ সেবার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেছি। যোগদান করার পর থেকে মানব সেবায় নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করেছি। প্রত্যেক ব্যেিক মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। কার মৃত্যু কখন হবে কেউ জানেন না! সুতরাং প্রত্যেকটি মানুষের নৈতিক দায়িত্ব ইহকাল ও পরকালকে চিন্তা করে বাস্তবায়ন করতে হবে। বর্তমান সদর মডেল থানার পরিবেশ সম্পর্কে বলতে গেলে আসলে বর্তমানের পরিবেশ আমার সকল অফিসারের ত্যাগের বিনিময়ে বেশ চমৎকার । সুন্দর বাসযোগ্য মডেল থানা রুপান্তরে প্রত্যেকটি অফিসার পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করছেন। যা সত্যিই প্রশংসনীয় এবং অতুলনীয়। সদর মডেল থানার আওতাভুক্ত সকল এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বিরাজমান রাখতে প্রাত্যহিক অভিযান ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে থানার প্রাত্যহিক অভিযানে বিভিন্ন মামলার, দাগী , সাজাপ্রাপ্ত আসামী মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারসহ ৩০ থেকে ৪০ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হচ্ছি। আসামীদর কোন রকম তদবিরে ছাড় দেওয়া হয় না। তিনি আরো বলেন,লক্ষ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলতে গেলে একটা বিষয়কে প্রাধান্য দিতে হয় সেটা হচ্ছে , মাদকমুক্ত কক্সবাজার সদর মডেল থানা উপহার,বাসযোগ্য সুন্দর পর্যটন নগরী রুপান্তরে পুলিশী কার্যক্রমকে তরান্বিত ।
ইনশাআল্লাহ আমরা সে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি, জনগণের সার্বিক সহযোগিতা এবং দেশপ্রেম থাকলে কক্সবাজারের সুযোগ্য পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসাইন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইকবাল হোসাইন ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আদিবুল ইসলাম এর দিকনির্দেশনা বাস্তবায়ন করে বৈচিত্রায়ন সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছঁতে সক্ষম হবো এবং সকলের সহযোগিতায় উন্নত সোনার বাংলাদেশ গড়তে অংশীদার হতে পারবো।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।