২৭ জুলাই, ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২০ মহর্‌রম, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কলেজছাত্র মুরাদ হত্যা মামলার আসামি রহিম কারাগারে   ●  আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির প্রতিবাদে কক্সবাজার ছাত্রলীগের সমাবেশ   ●  স্বেচ্ছাসেবী কাজে বিশেষ অবদানের জন্য হাসিঘর ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা প্রদান    ●  চতুর্থবারের মতো শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট নির্বাচিত হলেন রোবায়েত   ●  সেন্টমার্টিনে ২ বিজিপি সদস্যসহ ৩৩ রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২   ●  উখিয়ায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি; কাঁচা ঘরবাড়ি, গ্রামীণ সড়ক লন্ডভন্ড   ●  উখিয়ায় কৃষি বিভাগের প্রণোদনা পেলেন ১৮০০ কৃষক /কৃষাণী   ●  আরসার জোন ও কিলিংগ্রুপ কমান্ডার আটক ৩   ●  পটিয়া প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠিত

মহেশখালী প্রধান সড়কে যানবাহন থেকে মাসে লাখ টাকার চাঁদাবাজি

Durniti
মহেশখালী প্রধান সড়কে কল্যানের নামে টুকেনের মাধ্যমে চলছে চাঁদাবাজির মহোৎসব। জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা অটোরিক্স টেম্পু পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি-১৪৯১) নাম ভাঙ্গিয়ে উত্তর মহেশখালীর কালারমারছড়া বাজারে মাসে লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি চলছে। এ সড়কে শ্রমিক ইউনিয়নের কোন ঘোষিত কমিটি না থাকলেও অঘোষিত ভাবে উত্তর মহেশখালীর শ্রমিকদের সভাপতি দাবী করে ইউনুছ ও পুরো মহেশখালীর সভাপতি দাবীদার লুৎপুর রহমানের নেতৃত্বে গাড়ী লাইনের একাংশের লাইন্সম্যান শাহাদাত কবিরকে দিয়ে চাঁদাবাজি চালাচ্ছেন। তবে তারা গাড়ী লাইনের একাংশের ছোট কাঠেও দায়িত্বে রয়েছে বলে একটি সূত্রে নিশ্চিত করেছে। টাকা না দিলে তাদের সাথে দ্বীপের শীর্ষ সন্ত্রাসী কালাজাহাঙ্গীরের মাধ্যমে অটোরিক্স ও টমটম সিএনজি শ্রমিকদের ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানিয় লোকজন ও শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন। উল্লোখিত যুবকদের নেতৃত্বে কালারমারছড়া বাজারে মহেশখালী সিএনজি অটোরিক্স ও টমটম চালকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক হুমকি ধমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করছে প্রতিনিয়িত। বাদশাহ নামে এক শ্রমিক জানান, ইউনুছ গাড়ীর লাইন আনা ও শিয়ার দেওয়ার নামে আমার কাছ থেকে প্রতারনা করে ৮ হাজার টাকা নিয়েছেন। বদরখালী ব্রীজের সহকারী লাইন্সম্যান মামুন জানান আমার থেকে ৪ হাজার টাকা নিয়েছেন। মাতারবাড়ীর লাইন্সম্যান রশিদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছে বলে তিনি জানান। কিন্তু এখন টাকা ও লাইনের কোন হদিস নেই বলেও জানান তারা। কালারমারছড়া বাজারে টুকেনের মাধ্যমে প্রতিটি সিএনজি থেকে ২০ টাকা, টমটম থেকে ১০ টাকা করে দৈনিক হারে চাঁদা আদায় করছে তারা। টাকা না দিলে সিএনজি চালকদের মারধর করা হয়। এমনকি পেশী শক্তির জোরে গাড়ী আটকে রাখা হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের কল্যাণ চুরি করে ইউনুছ চাঁদা আদায় করে আসতেছে দীর্ঘদীন যাবত বলে অভিযোগ উঠেছে। আর আদৌ চাঁদাবাজি বন্ধ হবে কিনা কেউ বলতে পারতেছেনা। সিএনজি গাড়ী চালক ভুট্টু জানান, মহেশখালীতে প্রায় ২ শতাধিক সিএনজি অটোক্সি রয়েছে। এসব অটোরিক্স চকরিয়া হয়ে বদরখালী থেকে কালারমারছড়া পার হলেই ২০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। তারা স্থানিয় পুলিশকে ম্যানেজ করে চাঁদা আদায় করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের হাতে প্রতিদিন সিএনজি, মাহিন্দ্রা অটোরিক্স শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এদিকে অভিযোগ উঠেছে ইউনুছ দেশের বিভিন্ন গাড়ী চোর সিন্ডিকেটের সাথে দহরম মহরম সম্পর্ক রেখে চোরাইকৃত সিএনজি গাড়ী বিক্রি করেতেছে একপক্ষকাল ধরে। চোরাই গাড়ী বিক্রির সময় চকরিয়া সিএনজি লাইনের সহ-সভাপতি রহিম ও মুন তাকে হাতে নাতে গাড়ীসহ আটক করে বলে অভিযোগ রয়েছে। কালারমারছড়া বাজারে শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার হলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বদরখালী ব্রীজে চাঁদা আদায় করছে বলেও মিথ্যা সংবাদ হচ্ছে। তাদের হাত থেকে শ্রমিকদের উদ্ধার করার অনুরোধ জানান শ্রমিকরা। এসব অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে ইউনুছের সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। কক্সবাজার জেলা সিএনজি অটোরিক্সসা টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জিন্নাত আলী দৈনিক আমাদের কক্সবাজার বলেন, কক্সবাজার শ্রমিক ইউনিয়নের নাম ভাঙ্গিয়ে মহেশখালীর কালারমারছড়া সড়কে কল্যানের নামে গাড়ী থেকে একটি সিন্ডিকেট যে টাকা নিচ্ছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। আর যারা আমাদের সংগঠনের বৈধ রিসিভ দিয়ে কল্যাণ নিচ্ছে তারা বৈধ। ###

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।