২৭ জুলাই, ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২০ মহর্‌রম, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কলেজছাত্র মুরাদ হত্যা মামলার আসামি রহিম কারাগারে   ●  আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির প্রতিবাদে কক্সবাজার ছাত্রলীগের সমাবেশ   ●  স্বেচ্ছাসেবী কাজে বিশেষ অবদানের জন্য হাসিঘর ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা প্রদান    ●  চতুর্থবারের মতো শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট নির্বাচিত হলেন রোবায়েত   ●  সেন্টমার্টিনে ২ বিজিপি সদস্যসহ ৩৩ রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২   ●  উখিয়ায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি; কাঁচা ঘরবাড়ি, গ্রামীণ সড়ক লন্ডভন্ড   ●  উখিয়ায় কৃষি বিভাগের প্রণোদনা পেলেন ১৮০০ কৃষক /কৃষাণী   ●  আরসার জোন ও কিলিংগ্রুপ কমান্ডার আটক ৩   ●  পটিয়া প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠিত

‘বিজিবি সদস্য অপহরণ জাতির জন্য লজ্জার’

80393_asf

বিজিবি সদস্য নায়েক আবদুর রাজ্জাককে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা গোটা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে বিজিবি নায়েক রাজ্জাককে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমান সীমান্তরক্ষী বাহিনী। পরে তার প্যান্ট খুলে লুঙ্গি ও হাতকড়া পরিয়ে রেখেছে তারা। এখন পর্যন্ত বিজিবি সদস্যকে সরকার উদ্ধার করতে পারেনি। এ ঘটনা দেখে লজ্জায় আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যায়। অবিলম্বে তাকে ফিরিয়ে আনতে জোরদার তৎপরতা চালানো ও মায়ানমারকে সতর্ক করে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। শনিবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে আসাদুজ্জামান রিপন একথা বলেন। বিজিবি মহাপরিচালকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিরোধী দলের আন্দোলন দমনের সময় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ গর্ব করে বলেছিলেন, আমাদেরকে অস্ত্র দেয়া হয় কেন? এগুলো ব্যবহার করার জন্য। আমরাও বিশ্বাস করি বিজিবির অস্ত্র আইন সম্মতভাবে ব্যবহার করার জন্যই। কিন্তু সীমান্ত রক্ষায় দায়িত্ব পালনের সময় অস্ত্র থাকার পরও বিজিবি সদস্য অপহৃত হয়ে যায়। আমি প্রশ্ন করতে চাই- তখন তিনি অস্ত্র দিয়ে কি করেন। বিএনপির মুখপাত্র অভিযোগ করেন, এই বাহিনীর দায়িত্ব বিরোধী দলের আন্দোলন দমানোর জন্য নয়, তাদের দায়িত্ব সীমান্ত রক্ষা করা। বিজিবিকে যথাযথভাবে সরকার ব্যবহার করছে না। এমন অপমানজনকভাবে কোন বিদেশী রাষ্ট্র বিজিবি সদস্যদের তুলে না নিতে পারে এজন্য সরকারকে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ দলের নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে রিপন বলেন, আমরা আশা করেছিলাম রমাজানের আগে মির্জা আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর রায়, রিজভী আহমেদসহ নেতাদের মুক্তি দেয়া হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা এখনো কারাগারে। সৌহার্দ ও বন্ধুত্বপূর্ণ রাজনীতির সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে এই রমাজানেই তাদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। বাণিজ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন রমজানের আগে দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। কিন্তু বরাবরের মতো এবারেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। রমজান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। তিনি বলেন, অবিলম্বে ভেজাল বিরোধী অভিযান জোরদার করে নিত্যপ্রয়োনীয় জিনিসের দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসবে। সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বন-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কর্ণেল শাহজাহান মিলন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মাসুদ আহমেদ তালুকদার, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন ও মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।