১৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ২৮ কার্তিক, ১৪৩১ | ১০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়   ●  কক্সবাজার সমবায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে কবির, আফসেল ও রাশেলকে প্রতিনিধি মনোনয়ন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় ১০ নেতা কারাগারে, বাকিরা ফেরার

বিএনপির কেন্দ্রীয় ১০ নেতা কারাগারে, বাকিরা ফেরার

২০ দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলছে। শুক্র ও শনিবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ৫ দিনই হরতাল দেওয়া হচ্ছে। পুলিশি নির্যাতন ও গ্রেফতারের ভয়ে মাঠে নেই এ জোট কিংবা বিএনপির কোনো নেতা। এরই মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন বিএনপির শীর্ষ ১০ নেতা। অন্য শীর্ষ নেতাদের অধিকাংশই ফেরার। আর গত ১০ মার্চ রাতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ ‘নিখোঁজ’ হন। এখনও তার খোঁজ মেলেনি।

কারাগারে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১০ কেন্দ্রীয় নেতা। কারাগারে থাকা নেতাদের বিভিন্ন মামলায় টানা ২৭ দিন থেকে শুরু করে নানা মেয়াদে বার বার রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে পাঁচ থেকে দশটি মামলাও দেওয়া হয়েছে। জামিন যোগ্য ধারা থাকা সত্ত্বেও জামিন পাচ্ছেন না কেন্দ্রীয় নেতারা। আসামি পক্ষের আইনজীবীদের দাবি- সরকার গায়ের জোরে নেতাদের কারাগারে আটক করে রেখেছেন এবং অবৈধভাবে তাদের বার বার রিমান্ডে দিয়ে অত্যাচার করছেন।

কেন্দ্রীয় নেতাদের আইনজীবী এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া দ্য রিপোর্টকে বলেন, বর্তমান সরকার বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করছে। মামলার এজাহারে নাম না থাকা সত্ত্বেও তাদের একের পর এক মামলায় গ্রেফতার দেখাচ্ছেন এবং জামিনযোগ্য মামলা সত্ত্বেও তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না।

সানাউল্লাহ আরও বলেন, নেতাদের অযথা হয়রানি করার জন্য বার বার রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করা হচ্ছে। সরকারের অমানবিক অত্যাচারের কারণে বাকি নেতারা পলাতক রয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু দ্য রিপোর্টকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা দেওয়া হয়েছে তা আইনসঙ্গত।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর : গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর তাকে দুই মামলায় আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। ২৭ জানুয়ারি পল্টন থানার গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম আলী মাসুদ সেখ তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৩ ফেব্রুয়ারি মতিঝিল থানার বিস্ফোরণ মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম এমদাদুল হক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শামসুজ্জামান দুদু : গত ১১ জানুয়ারি মিরপুর এলাকা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদুকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর তাকে ৪ মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ড দেন আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

১২ জানুয়ারি মিরপুর থানার মামলায় ৫ দিনের, ২৮ জানুয়ারি দুই দিন, ২ ফেব্রুয়ারি তাকে ৪ দিনের এবং সর্বশেষ ৮ ফেব্রুয়ারি দুদুর বিরুদ্ধে ফের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

শমসের মবিন চৌধুরী : গত ৮ জানুয়ারি রাত সোয়া ১১টার দিকে বনানীর ওল্ড ডিওএইচএসের বাসা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীকে আটক করে ডিবি পুলিশ। আটকের পর তাকে দুই মামলায় নয় দিনের রিমান্ড দেন আদালত। বর্মতানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন। ৯ জানুয়ারি শাহবাগ থানার মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড ও ৮ ফেব্রুয়ারি চকবাজার থানার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ড দেন আদালত।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর একটি বাসা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আটক করে ডিবি পুলিশ। আটকের পর দুই মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন। ২৬ ডিসেম্বর শাহবাগ থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৩০ ডিসেম্বর তুরাগ থানার মামলায় দুই দিনের রিমান্ড দেন আদালত।

মোসাদ্দেক আলী ফালু : বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুকে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের সামনে থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। আটকের পর তাকে ৩ মামলায় ১৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন। ২ ফেব্রুয়ারি খিলগাঁও থানার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি বাড্ডা থানার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি মিরপুর থানার ঢাকা মহানগর হাকিম তারেক মঈনুল ইসলাম ভুইয়া ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রুহুল কবির রিজভী : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গত ৩০ জানুয়ারি রাত পৌনে ৩টার দিকে রাজধানীর গুলশানের পার্ক রোডের একটি বাসা থেকে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদস্যরা আটক করে। আটকের পর হতে হত্যা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পৃথক আট মামলায় টানা ২৭ দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

৪ মার্চ মিরপুর থানার দুই দিনের রিমান্ড দেন আদালত। ২৭ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় ৪ দিনের, ২৩ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২০ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থানায় করা মামলায় ২ দিনের, ১৬ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় তিন দিনের, ১০ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় ৫ দিনের, ৪ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় পাঁচ দিনের, ১ ফেব্রুয়ারি বাড্ডা থানার মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড দেন আদালত।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল : গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর রাতে লালমাটিয়ার বাসা থেকেযুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আটক করে পুলিশ। ২৮ ডিসেম্বর তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

মেজর হানিফ (অব.): গত ২১ ফেব্রুয়ারিবিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর হানিফকে (অব.) বনানী ডিওএইচএস থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটকের পর ঐদিনই মিরপুর থানার মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড দেন আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

মো. শাহজাহান : গত ১২ জানুয়ারি গুলশানের ইলাম এলাকা থেকে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মো. শাহজাহানকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ড দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

বেলাল আহমেদ : গত ১২ জানুয়ারি গুলশানের ইলমা এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ড দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

সূত্র- দ্য রিপোর্ট

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।