২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ১৪ আশ্বিন, ১৪৩০ | ১৩ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজারে ডিএনসির অভিযান ইয়াবাসহ একজন গ্রেফতার, প্রাইভেটকার জব্দ   ●  বিট কর্মকর্তা জহিরুলের সফল অস্ত্রোপচার, এখনো জ্ঞান ফিরেনি   ●  রামুতে দখলবাজদের হামলার ঘটনায় মামলা, শঙ্কামুক্ত নয় জহিরুল   ●  সাবেক এমপি এড. খালেকুজ্জামানের ২৩ তম শাহাদত বার্ষিকী আজ   ●  ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী আবু সুফিয়ানের হামলায় উখিয়ায় সংবাদকর্মী আহত   ●  প্রিয়তোষ পাল পিন্টু দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন   ●  এমপি কমলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন   ●  চকরিয়ায় হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ একজন আটক, মাইক্রোবাস জব্দ   ●  ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবার অবলম্বন পল্লী চিকিৎসক’-জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান   ●  ‘প্রয়োজনে কালো গাউন ছেড়ে রোড লেভেলে যেতে হবে’

বাকঁখালী নদীর সব অবৈধ দখলদারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত উচ্ছেদের দাবী

index
বাকঁখালী নদীর সব অবৈধ দখলদারদের জেলা প্রশাসন কর্তৃক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এবং এসব দখলদারদের দ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্ছেদের আবেদন জানিয়ে লিখিত পত্র দিয়েছে কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ। গতকাল ৮ মার্চ জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেনের হাতে এ পত্রটি তোলেদেন পরিষদের নের্তৃবৃন্দ। জেলা প্রশাসক আবেদনটি গ্রহণ করে জরুরী ভিত্তিতে বাকঁখালী নদীতে সব দখলদারদের তালিকা তৈরী করে জেলা প্রশাসক কার্যলায়ে জমাদেয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশদেন।
লিখিত এ পত্রে বলা হয়েছে, বাকঁখালী হচ্ছে কক্সবাজার জেলার প্রধান নদী। এ নদীর উপর অন্তত ৭ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। এ ছাড়া বিভিন্ন ভাবে আরো কয়েক লাখ মানুষ নির্ভরশীল। তাই সাধারণ জনগণের স্বার্থে যে কোন ভাবে এ নদীটি রক্ষা করা প্রয়োজন। অথচ জনগুরুত্বপুর্ণ বাকঁখালী নদীটি অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলছে কতিপয় প্রভাবশালী। আবার অনেকেই নদী ভরাট করে আবাসন প্লট তৈরী করে বিক্রি করছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে নদীটি রক্ষায় গত বছর হাইকোর্টে একটি মামলা দয়ের করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি  ( বেলা )। তারই প্রেক্ষিতে আদালত বাকঁখালী নদীর সীমানা নির্ধারণ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও বর্জ্য ফেলা বন্ধসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়ে একটি রুল জারি করে। কিন্তু আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন কর্তৃক অবৈধ দখলদারদের তালিকায় অধিকাংশ প্রভাবশালী দখলদার রহস্যজনক কারণে বাদ পড়ে গেছে। এতে ভবিষ্যতে বাদ পড়া দখলদারদের উচ্ছে করা কঠিন হয়ে পড়বে। অথচ বাদ পড়া এসব দখলদারদের অনেকেই ইতিপুর্বে উপকুলীয় বন বিভাগের তৈরী করা তালিকায় স্থান পেয়েছে। তাই কক্সবাজারের ঐকিহ্যবাহী বাকঁখালী নদী রক্ষার স্বার্থে সব দখলদারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের উচ্ছেদ করার দাবী জানিয়েছে কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ। পরিষদের পক্ষে পত্র প্রদান করেন কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল মামুন, কক্সবাজার রিপোটার্স ইউনিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাংলার সম্পাদক চঞ্চল দাশ গুপ্ত। এসময় জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ফাইল ছবি

 

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।