১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২৩ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ

বাকঁখালী নদীর সব অবৈধ দখলদারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত উচ্ছেদের দাবী

index
বাকঁখালী নদীর সব অবৈধ দখলদারদের জেলা প্রশাসন কর্তৃক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এবং এসব দখলদারদের দ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্ছেদের আবেদন জানিয়ে লিখিত পত্র দিয়েছে কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ। গতকাল ৮ মার্চ জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেনের হাতে এ পত্রটি তোলেদেন পরিষদের নের্তৃবৃন্দ। জেলা প্রশাসক আবেদনটি গ্রহণ করে জরুরী ভিত্তিতে বাকঁখালী নদীতে সব দখলদারদের তালিকা তৈরী করে জেলা প্রশাসক কার্যলায়ে জমাদেয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশদেন।
লিখিত এ পত্রে বলা হয়েছে, বাকঁখালী হচ্ছে কক্সবাজার জেলার প্রধান নদী। এ নদীর উপর অন্তত ৭ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। এ ছাড়া বিভিন্ন ভাবে আরো কয়েক লাখ মানুষ নির্ভরশীল। তাই সাধারণ জনগণের স্বার্থে যে কোন ভাবে এ নদীটি রক্ষা করা প্রয়োজন। অথচ জনগুরুত্বপুর্ণ বাকঁখালী নদীটি অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলছে কতিপয় প্রভাবশালী। আবার অনেকেই নদী ভরাট করে আবাসন প্লট তৈরী করে বিক্রি করছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে নদীটি রক্ষায় গত বছর হাইকোর্টে একটি মামলা দয়ের করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি  ( বেলা )। তারই প্রেক্ষিতে আদালত বাকঁখালী নদীর সীমানা নির্ধারণ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও বর্জ্য ফেলা বন্ধসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়ে একটি রুল জারি করে। কিন্তু আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন কর্তৃক অবৈধ দখলদারদের তালিকায় অধিকাংশ প্রভাবশালী দখলদার রহস্যজনক কারণে বাদ পড়ে গেছে। এতে ভবিষ্যতে বাদ পড়া দখলদারদের উচ্ছে করা কঠিন হয়ে পড়বে। অথচ বাদ পড়া এসব দখলদারদের অনেকেই ইতিপুর্বে উপকুলীয় বন বিভাগের তৈরী করা তালিকায় স্থান পেয়েছে। তাই কক্সবাজারের ঐকিহ্যবাহী বাকঁখালী নদী রক্ষার স্বার্থে সব দখলদারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের উচ্ছেদ করার দাবী জানিয়েছে কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ। পরিষদের পক্ষে পত্র প্রদান করেন কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল মামুন, কক্সবাজার রিপোটার্স ইউনিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাংলার সম্পাদক চঞ্চল দাশ গুপ্ত। এসময় জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ফাইল ছবি

 

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।