কক্সবাজারসময় ডেস্কঃ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকাভুক্ত মাদক বিক্রেতা ও ইয়াবার গডফাদার হিসেবে পরিচিত হাজী সাইফুল করিম পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ফখরুজ্জামান বলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের কেরুনতলী এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ শুক্রবার (৩১ মে) সকালে বলেন, পলাতক সাইফুলকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ বেশ কিছু তথ্য পায়। পুলিশ জানতে পারে, কয়েক দিন আগে ইয়াবার একটি বড় চালান ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে মিয়ানমার থেকে এনে টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমানাপ্রাচীরের শেষপ্রান্তে নাফ নদের পাড়ে মজুদ করা হয়েছে।
এ তথ্যের ভিত্তিতে ইয়াবা উদ্ধারের জন্য গতকাল রাতে পুলিশ ওই স্থানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সাইফুলের সহযোগী অস্ত্রধারী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে।
এতে ঘটনাস্থলে উপপরিদর্শক (এসআই) রাসেল আহমেদ, কনস্টেবল ইমাম হোসেন, সোলেমান আহত হন।
ওসি আরও দাবি করেন, তখন আত্মরক্ষার্থে পুলিশও ৫২টি গুলি করে। একপর্যায়ে আটক সাইফুল গুলিবিদ্ধ হন। গোলাগুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে পুলিশ গুলি করা বন্ধ করে। একপর্যায়ে অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি করতে করতে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকায় তল্লাশি করে আসামিদের ফেলে যাওয়া নয়টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ৪২টি শটগানের তাজা কার্তুজ, ৩৩টি কার্তুজের খোসা ও এক লাখ ইয়াবা পাওয়া যায়।
গুলিবিদ্ধ সাইফুল করিম ও আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ভোররাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সাইফুল করিমকে মৃত ঘোষণা করেন বলে দাবি করেন ওসি।
তিনি আরও জানান, সাইফুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আজকের ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওসি।
পুলিশের দাবি, নিহত সাইফুল ইসলাম ওরফে হাজি সাইফুল করিম (৪৫) টেকনাফ উপজেলার শিলবুনিয়াপাড়ার বাসিন্দা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সব গোয়েন্দা সংস্থার তালিকার প্রধান ইয়াবা গডফাদার এবং দেশের এক নম্বর মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় বেশ কিছু মাদক মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পলাতক ছিলেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।