২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ৯ আশ্বিন, ১৪৩০ | ৮ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবার অবলম্বন পল্লী চিকিৎসক’-জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান   ●  ‘প্রয়োজনে কালো গাউন ছেড়ে রোড লেভেলে যেতে হবে’   ●  তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ করেছেন শেখ হাসিনা: কউক চেয়ারম্যান   ●  এরশাদ সরকার আমল ছিল দেশের স্বর্ণযুগ-সাবেক সাংসদ ইলিয়াছ   ●  পরিবেশ রক্ষায় শেখ হাসিনার উদ্যোগ বিশ্বে প্রশংসনীয় : মোঃ নজিবুল ইসলাম   ●  রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাইলট-প্রকল্প মিয়ানমার-চীনের শুভঙ্করীর ফাঁকি!   ●  কক্সবাজারে ‘জয় কারাতে একাডেমী’ ‘অদ্রিতা পালদের বেড়েছে আত্মবিশ্বাস ও শক্তি’   ●  রামুতে বনবিভাগের অভিযানে পানির পাম্প জব্দ   ●  সীমান্তে গরু চোরাকারবারীদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনা হবে-ডিসি মুহম্মদ শাহীন ইমরান   ●  ১১ জেলার এসপিদের নিয়ে কক্সবাজারে গুরুত্ববহ সভা করলেন ডিআইজি নুরেআলম মিনা

প্রয়াত প্রফেসর সাইফুদ্দিন পুত্র মুশফিক গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে  

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুশফিকুর রহমান অসময়েই হারিয়েছেন পিতাকে। জেএসসি পরীক্ষাচলাকীন সময়ে হঠাৎ শিক্ষক পিতা প্রফেসর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে আল্লাহ পরপারের বাসিন্দা করেন। কিন্তু কঠিন সময়ে বাবাকে হারিয়ে সৃষ্টি হওয়া শুণ্যতা দমাতে পারেনি মশিফিককে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে মুশফিক।
মুশফিকুর রহমান চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল হতে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৩০০ নাম্বারে ১২২৭ নাম্বার পেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
কক্সবাজারের চকরিয়ার শাহারবিল মাইজঘোনা এলাকার বাসিন্দা ও কক্সবাজার সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক প্রধান প্রফেসর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ছেলে মুশফিকুর রহমান তার বাবাকে হারান ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট। তখন তিনি (মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন) চট্টগ্রাম সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এদিন ভোরে হঠাৎ তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দু’ছেলে দু’মেয়েসজ পরিবারকে অসহায় করে পরপারের বাসিন্দা হন। বাবাকে হারানোর বছরই (২০১৬) মুশফিক চট্টগ্রাম বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে জিপিএ-৫সহ বৃত্তি পেয়ে জেএসসি পাশ করে। আর এবার চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল হতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সব বিষয়ে এ-প্লাস নিয়ে ১২২৭ নম্বর পেয়ে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ২০১৩ সালে কক্সবাজারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে জিপিএ-৫সহ বৃত্তি নিয়ে পিএসসি পাশ করে মুশফিক। মুশফিকের দাদা মাস্টার জিন্নাত আলী মাইজঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
তার (মুশফিকের) বড় বোন জান্নাতুল মাওয়া জেরিন ২০১৭ সালে বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসসি উত্তীর্ণ হয়ে এবার চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। ছোট বোন তানহা তাজরিয়া ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আর সবার ছোট মশিউর রহমান আরাফ চট্টগ্রাম বাকলিয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে মুশফিকুর রহমান বলে, বাবা অন্য শিক্ষার্থীদের মতো আমাদেরও শিক্ষক এবং পথ প্রদর্শক ছিলেন। কিন্তু অসময়ে তাকে আল্লাহ আমাদের কাছ থেকে নিয়ে গেছেন। চারপাশ এখন বড় শূণ্য লাগে। বাবা মারাযাবার পর আমার মা এশরাক জাহান জেসমিন আমাদের গতি যেন স্লত না হয় সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। বাবার শুন্যতার মাঝে মায়ের সেই প্রচেষ্ঠার ফসল আমার গোল্ডেন জিপিএ-৫। মায়ের কামনা বাবার যোগ্য উত্তরসূরী হয়ে উঠা। এ সফলতার জন্য সবার দোয়া চাচ্ছি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।