৪ জুন, ২০২৩ | ২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ | ১৪ জিলকদ, ১৪৪৪


শিরোনাম
  ●  বিশ্ব পরিবেশ দিবস সোমবার; জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নানা কর্মসূচী   ●  জাতীয় শ্রমিক লীগ চকরিয়ার ফাসিয়াখালী ইউনিয়ন শাখার কর্মী সভায় এমপি জাফর আলম   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এমপি জাফর আলম   ●  স্কাউটসসের নিয়ন্ত্রণ জামায়াত-শিবিরের হাতে যাচ্ছে কিনা কঠোর নজরদারি করতে হবে- এমপি জাফর   ●  সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আলেম-ওলেমাদের এগিয়ে আসতে হবে-এমপি জাফর   ●  ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বর্তমান উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে   ●  আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীর সমর্থককে জরিমানা ও মুচলেকা আদায়   ●  পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল শিশু তৌকির   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে কুপিয়ে হত্যা   ●  শাহপুরী হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ একজন গ্রেফতার

পেকুয়ায় ভূমি অফিসের কর্মচারীর শাস্তি চেয়ে কাফনের কাপড় পরে মুবিনুল

নিজস্ব প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের প্রধান সহকারী তপন কান্তি পালের শাস্তি চেয়ে কাফনের কাপড় পরে শহীদ মিনারে অনশনে বসেছেন মুবিনুল হক (৫৫) নামের এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা থেকে পেকুয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই অনশনে বসেন তিনি।
মুবিনুল পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব বাইম্যাখালী গ্রামের মৃত বরকত আলীর ছেলে।
গতকাল শুক্রবার পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজ মাঠে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে অনশন করছেন মুবিনুল। তবে তাঁর সঙ্গে কেউ নেই। তিনি একাই একটি ব্যানার টাঙিয়ে ও কাফনের কাপড় পরে তিনি বসে আছেন।
মুবিনুল হকের দাবি, উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের প্রধান সহকারী তপন কান্তি পাল তাঁর ফাইল আটকিয়ে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। ইতিমধ্যে তিনি এক লাখ টাকা দিয়েছেনও। বাকি এক লাখ টাকা না দিলে তাঁর খতিয়ান কর্তন করার হুমকি দেন তপন।
‘বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন ধরে অনেক সাংবাদিকের কাছে গিয়েছি। কেউ কেউ লিখলেও বেশিরভাগ সাংবাদিক নিরব থেকেছেন। কোনো উপায় না দেখে অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি’-বলেন মুবিনুল।
মুবিনুল হক বলেন, তাঁর অংশের জমি নিয়ে বোনদের আপত্তি ছিল। শুনানি শেষে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম সেই আপত্তি খারিজ করে দেন। খারিজ আদেশের সার্টিফাইড কপি নেওয়ার জন্য পেকুয়া ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী তপন কান্তি পালের কাছে গেলে তিনি দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এই টাকা না দিলে তাঁর খতিয়ান কর্তন করে বোনদের নামে খতিয়ান সৃজন করে দেয়ার হুমকি দেন।
মুবিনুল বলেন, এই একটি বিষয় নিয়ে ভূমি অফিসে গত এক বছর ধরে অনেক হয়রানির শিকার হয়েছি। ভূমি অফিস যখনই খোলা থাকে আমি উপস্থিত থাকতাম। সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে সেটার প্রমাণ পাওয়া যাবে। মুবিনুল বলেন, তপনকে এ বিষয়ে এক লাখ টাকা দিয়েছি। কিন্তু বাকি এক লাখের জন্য তিনি আপত্তি খারিজের সার্টিফাইড কপির ফাইল আটকিয়ে রেখেছেন।
ঘুষ দাবি ও অনশনের বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত তপন কান্তি পালের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
এ প্রসঙ্গে পেকুয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তপনের বিষয়ে মুবিনুল হক লিখিত কোনো অভিযোগ আমাকে দেননি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুবিনুল পেকুয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন করছেন এমন একটি ভিডিও দেখেছি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।