১৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ২৯ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২১ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান

পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে ঘরমুখী ভোটাররা

কক্সবাজারসময় ডেস্কঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র বাকী কিছু সময়। এরইমধ্যে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে ঘরমুখী হচ্ছে ময়মনসিংহ-৯ নান্দাইল আসনের ভোটাররা। নান্দাইল উপজেলার অন্যতম চৌপথ নান্দাইল চৌরাস্তা মোড়ে মোড়ে দেখা যাচ্ছে দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন পেশা কর্মীজীবি ও শ্রমজীবি নারী-পুরুষ ভোটারগণ ভোট প্রদানের জন্য স্ব-স্ব গ্রামে ফিরে যাচ্ছে।

প্রতিবারই জনগণ নির্বাচন এলেই উৎসবমুখর পরিবেশে নিজ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য চলে আসে নিজগৃহে। গ্রামের হাটবাজারের চায়ের স্টলগুলোতে চলে নির্বাচনের প্রার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা ও সমালোচনা।

ময়মনসিংহ-৯ আসনে মহাজোট মনোনীত নৌকার প্রার্থী মো. আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষ প্রার্থী সাবেক সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা খুররম খান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখার প্রার্থী মুফতি সাইদুর রহমান ও জাকের পার্টির মনোনীত গোলাপ ফুল প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সাধারণ ভোটারগণ এই চার প্রার্থীকে বিভিন্ন মাপকাঠিতে ওজন করে তারা পছন্দের প্রার্থী বেছে নিয়ে তাদের মূল্যবান ভোট প্রদান করবেন। তবে ব্যাপক প্রচারণা নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনায় এগিয়ে আছেন ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রার্থী মো. আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন।

এমপি তুহিন উপজেলা আওয়ামী লীগ দলের কোন্দল মিটিয়ে সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও ২০৪১ সালের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে নৌকার জনসভা, উঠান বেঠক ও গণসংযোগ করেছেন। তিনি আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকা মার্কা প্রতীকের জয়ের শতভাগ আশাবাদী।

অপরদিকে চারবারের সাবেক সাংসদ প্রবীণ রাজনীতিবিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা খুররম খান চৌধুরী ধানের শীষের তেমন প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে যেতে না পারলেও জনগণের প্রতি তাঁর আস্থা রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের একের পর এক ৮টি মিথ্যা মামলায় তার দলের ৫ শতাধিক নেতাকর্মীদের হয়রানি সহ গ্রেফতার আতঙ্কে থাকায় ও বিএনপি’র প্রচার-প্রচারণার কাজে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্থ ও বিএনপি অফিস ভাংচুর করায় ধানের শীষের প্রচারণা ঢিলেঢালায় শেষ হয়েছে। তবে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে গণতন্ত্র রক্ষায় ধানের শীষের জয় নিশ্চিতে তিনি নান্দাইলবাসীর প্রতি গভীর আস্থাশীল।

এছাড়া প্রধান দুটি বিরোধী দলের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর হাত পাখা ও জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকও জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করছে।

এদিকে জনসাধারণের মনে তাদের নিরাপত্তা ও দেশের চলমান অগ্রগতি, যুলুম-অত্যাচার ও নিপীড়নের কথা চিন্তা করে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে প্রস্তুত। তবে সুষ্ঠ ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন তথা নির্বাচনের দিন নিরপত্তায় ভোট দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে জনমনে এখনও সংশয় রয়েছে।

ভোট প্রদানের বিষয়ে ব্যবসায়ী স্বপন বলেন, আমার ভোট আমি দেবো যাকে মন চায় তাকে দিবো, কাহারো জোরে বা চাপে নয়।

রিক্সচালক হালিম বলেন, আমরা গরীব মানুষ আমরা রাজনীতি বুঝি না শুধু জানি ভোট দিতে হবে তবে নির্বাচনের দিন কোন গোলমাল না হয় তবে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে দিব।

অপরদিকে চিকিৎসক শাহজাহান বলেন, ভোট দেওয়ার একটি রাষ্ট্রীয় অধিকার। দেশের নাগরিক হিসাবে ভোট প্রদান করতে হবে তাই পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিবো ঠিক করে রেখেছি। তবে সবদলের নির্বাচনী ইমেজ দেখা যায়নি। নির্বাচনের দিন যাতে কোন সহিংসতা না হয় সে লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা পালনের সহযোগীতা কামনা করছে সাধারণ জনগণ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।