৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজারে রেল : শুরুতেই ইজিবাইক চালকদের দৌরাত্ম্য ২০ টাকা ভাড়া রাতা-রাতি ৫০ টাকা!   ●  মাদক কারবারিদের হুমকির আতঙ্কে ইউপি সদস্য কামালের সংবাদ সম্মেলন   ●  সালাহউদ্দিন সিআইপি ও এমপি জাফরকে আদালতে তলব   ●  কক্সবাজার-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এমপি জাফর আলম   ●  ‘দিনে আত্মগোপনে, রাতে অস্ত্রের মহড়া বালু-পাহাড় খেকো তাহেরের!   ●  বিপুল ভোটে আবারও এমপি নির্বাচিত হয়ে কক্সবাজার-১ আসন শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়া হবে   ●  আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী-সমর্থকদের ব্যাপক বিক্ষোভ, স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা   ●  এইচএসসিতে শতভাগ পাশে আবারো জেলায় শ্রেষ্ঠ রামু ক্যান্টনমেন্ট কলেজ   ●  রামুতে বালু-পাহাড় খেকো আবু তাহেরের ডেরায় যৌথ অভিযান   ●  টেকনাফে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ৫৮ রোহিঙ্গা উদ্ধার : ৪ পাচারকারী আটক

নিখোঁজের সাড়ে পাঁচ মাসেও খোঁজ মিলেনি রুপনের

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারের ঈদগাঁওর শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি মহেশখালী যাবার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে নিখোঁজ হওয়ার সাড়ে ৫ মাসেও খোঁজ মিলেনি দু’সন্তানের জনক এক যুবকের। তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে টানা কয়েক বছর চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চলতি বছরের ২৫ মার্চ সকাল ৬টা হতে নিখোঁজের পর তাকে খুঁজে পেতে ঈদগাঁওর প্রতিটি এলাকা, মহেশখালীসহ পুরো জেলায় বিচরণ করছেন তার স্ত্রী। স্বামীকে খুঁজে না পেয়ে দু’সন্তানসহ মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন স্ত্রী লাকী দে।
নিখোঁজ রুপন কান্তি দে (৩০) মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা দক্ষিণ হিন্দু পাড়ার কালু রাম দে’র ছেলে। তিনি বিগত বছর পাঁচেক সময় হতে ঈদগাঁওর জালালাবাদ হিন্দু পাড়ায় শ্বশুর হৃদয় রঞ্জন দে’র বাড়িতে স্ত্রী ও দু’সন্তান নিয়ে বাস করতেন।
রুপনের সম্মন্ধি ঈদগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রতন কান্তি দে জানান, বিগত ৯ বছর আগে আমার ছোট বোন লাকীর সাথে পারিবারিক ভাবে রুপনের বিয়ে হয়। সংসারে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। বড় সন্তান দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে, ছোটটার বয়স এক বছর। রাজমিস্ত্রির কাজ করা রুপন বিয়ের কয়েক বছর পর তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তখন থেকে ঢাকার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইউনিটের অধ্যাপক ডা. শাহ আলমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। অসুস্থার কারণে কাজ করতে না পারায় স্ত্রী-সন্তানসহ তাকে আমাদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। নিয়মিত ওষুধ সেবন করলে তিনি স্বাভাবিক থাকেন।
মাস্টার রতন আরো জানান, গত ২৫ মার্চ বাড়ির সবাইকে বলে মহেশখালী যাবার জন্য সকাল ৬টার দিকে বের হয় রুপম। মহেশখালী পৌঁছে মোবাইল করার কথা ছিল। কিন্তু বিকেল পর্যন্তও কল না আসায় মহেশখালী বাবার বাড়িতে ফোন করা হয়। তারা জানায় রুপন সেখানে যায়নি। এরপর পুরো বৃহত্তর ঈদগাঁওতে মাইকিং করা হয়। এভাবে ১১দিন মহেশখালীসহ পুরো কক্সবাজার তন্নতন্ন করে খোঁজার পরও না পেয়ে ৫ এপ্রিল ঈদগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করে স্ত্রী লাকী দে (১৬৭/২০২২)। রুপনের ছবিসহ বিভিন্ন এলাকায় লিফলেটও সাঁটানো হয়েছে।
কিন্তু এখনো রুপনের খোঁজ মিলেনি। মাঝখানে এক জায়গায় তাকে দেখা গেছে জানার পর সেখানেও খোঁজ করে ব্যর্থ হয় আমরা। প্রেসক্রিপশন মতে ওষুধ না খেলে রুপন অপ্রকৃতস্থ হয়ে যায়। আমাদের শংকা নিয়মিত ওষুধ খাওয়া মিস হওয়ায় সে বাড়ি চিনতে পারছে না।
ঈদগাঁও থানার ওসি আবদুল হালিম বলেন, জিডি পেয়ে আমাদের মতো করে অনেক খুঁজে দেখেছি; এখনো পায়নি। তবে, প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।