১৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ২৮ কার্তিক, ১৪৩১ | ১০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়   ●  কক্সবাজার সমবায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে কবির, আফসেল ও রাশেলকে প্রতিনিধি মনোনয়ন।

‘ধ্বংস নয়, শান্তি চাই’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিছু লোকের জন্য বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে, কারো মুখাপেক্ষা হতে হবে, দেশ পিছিয়ে যাবে এটা আমরা চাই না। এ জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় দেশবাসীর সহযোগিতা চাই।
বুধবার (২৫ মার্চ’২০১৫) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াতের চলমান কর্মসূচি ও সহিংসতার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধ্বংস নয়, আমরা শান্তি চাই, উন্নয়ন চাই। জঙ্গিবাদ নয়, শান্তিপূর্ণ দেশ চাই। বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্ব সভায় শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে আমরা তা ধরে রাখতে চাই। আমরা পিছিয়ে যেতে চাই না। ২০২১ সালে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে গড়তে চাই। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আসুন আমরা সকলে মিলে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করি।
শেখ হাসিনা বলেন, এদেশের স্বাধীনতা আমরা এনেছি, এদেশকে বিশ্ব সভায় মর্যাদার আসনে বসানো এটাই আমাদের লক্ষ্যে। আমরা সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। কারো মুখাপেক্ষী নয়, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াবো।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের সহিংসতার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালের নির্বাচন ঠেকানোর জন্য বিএনপি-জামায়াত জ্বালাও পোড়াও করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেছিলো। কিন্তু দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকায় তারা সফল হয়নি।
তিনি বলেন, একটি বছর শান্তিপূর্ণভাবে আমরা দেশ পরিচালনা করেছি। দেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে অনেক এগিয়েছে। আমরা যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি ঠিক সে সময় এই জানুয়ারি মাস থেকে তারা আবার জ্বালাও পোড়াও  শুরু করেছে। কিন্তু কার স্বার্থে তারা মানুষ পুড়িয়ে মারছে। আজকে আকাশে বাতাসে পোড়া লাশের গন্ধ।
খালেদা জিয়ার প্রতি প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কেন এই অবস্থা হবে। রাজনীতিতে কেউ ভুল করলে তার খেসারত কেন জনগণকে দিতে হবে? মানুষের ওপর জুলুম অত্যাচার এটা সহ্য করা যায় না। অনেক ধৈয্য ধরে আমরা এসব মোকাবেলা করছি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ হবে। কিন্তু মানুষের ওপর যে অত্যাচার হচ্ছে তা কোন ভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয়।
স্বাধীনতা বিরোধীদের স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে অতীতে এ পুরস্কারকে কলঙ্কিত করা হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রী, এমপি, উপদেষ্টা বানানো হয়েছিলো। যে গণতন্ত্রের জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে সে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।
এ সময় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ মন্ত্রি পরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কুটনৈতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এবার সাতজনকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার প্রাপ্ত ও মরণোত্তর পুরস্কার প্রাপ্তদের স্বজনদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য শাহ এ এম এস কিবরিয়া, প্রয়াত কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী ও শহীদ মামুন মাহমুদ, সাহিত্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সংস্কৃতিতে চলচ্চিত্র অভিনেতা আব্দুর রাজ্জাক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে ড. মোহাম্মদ হোসেন মন্ডল এবং সাংবাদিকতায় প্রয়াত সন্তোষ গুপ্তকে(মরণোত্তর) এ পুরস্কার দেয়া হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।