২৭ জুলাই, ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২০ মহর্‌রম, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কলেজছাত্র মুরাদ হত্যা মামলার আসামি রহিম কারাগারে   ●  আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির প্রতিবাদে কক্সবাজার ছাত্রলীগের সমাবেশ   ●  স্বেচ্ছাসেবী কাজে বিশেষ অবদানের জন্য হাসিঘর ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা প্রদান    ●  চতুর্থবারের মতো শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট নির্বাচিত হলেন রোবায়েত   ●  সেন্টমার্টিনে ২ বিজিপি সদস্যসহ ৩৩ রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২   ●  উখিয়ায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি; কাঁচা ঘরবাড়ি, গ্রামীণ সড়ক লন্ডভন্ড   ●  উখিয়ায় কৃষি বিভাগের প্রণোদনা পেলেন ১৮০০ কৃষক /কৃষাণী   ●  আরসার জোন ও কিলিংগ্রুপ কমান্ডার আটক ৩   ●  পটিয়া প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠিত

ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক গেইটের সেই কটেজ গুলোর অনৈতিক ব্যবসা

55555

চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক গেইটের কটেজ গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে অনৈতিক ব্যবসা। পুলিশ প্রশাসনের একাধিক অভিযানের পরও কটেজের লোকজন বহিরাগত নারীদের জড়ো করে দিব্যি চালাচ্ছেন এ ব্যবসা। অনৈতিক এ ব্যবসা অব্যাহত থাকায় এলাকার সামাজিক পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। প্রতিনিয়ত নানাভাবে বিপদগামী হচ্ছে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় কটেজ গুলোর অবৈধ ব্যবস্থা বন্ধের মাধ্যমে এলাকার শান্তিপুর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে দুইমাস আগে এলাকাবাসি লিখিত অভিযোগ করেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ সুপারের কাছে অভিযান করার পরও বর্তমানে এসব কটেজে অব্যাহত রয়েছে রমরমা অনৈতিক বাণিজ্য। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, কটেজ মালিক নিত্যদিন প্রকাশ্য দিবালোকে সমাজ বিরুধী কাজটি করে আসলেও তাদের গ্রেফতার কিংবা কটেজ গুলো বন্ধে প্রশাসনের বাঁধা কোথায়। তাঁরা কি প্রশাসনের চেয়ে বেশি শক্তিশালী!। অভিযোগ আছে, থানা পুলিশ এসব কটেজে অনেকবার অভিযান পরিচালনা করলেও একবারও কটেজের কোন মালিক গ্রেফতার হয়নি। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে এ যাবত থানায় কোন মামলাও হয়নি।
স্থানীয় সুত্র জানায়, সাফারি পার্ক গেইটে ছাবের আহমদ ত্রি-স্টার, আবছারের সাফারি টু স্টার, কুতুবউদ্দিন, জসিম উদ্দিন ও কাইছারের মাসুমা ভিলা রকির রোজ গার্ডেন ও লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা মোস্তাক আহমদের মেরিডিয়ান গেষ্ট হাউজ নামে এসব কটেজ সমুহ পরিচালনা করছেন
অপরদিকে, সাফারি পার্ক গেইটের কটেজ গুলোর পাশাপাশি মালুমঘাট ষ্টেশনের আবাসিক হোটেল নজরুল বোডিং, ভাই ভাই বোর্ডি, রেন্ট গেষ্ট হাউজ, আজিজ বোর্ডিং ও মুজিব বোডিংয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এ অনৈতিক ব্যবসা। থানা পুলিশ এসব আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ইতোপুর্বে বিপুল নারী পুরুষকে আটক করে। তারপরও থেকে এসব আবাসিক হোটেলে রমরমা বাণিজ্য।
জানতে চাইলে এলাকার অনেকে বলেন, সাফারি পার্কের পাশে একটি কলেজসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্টান রয়েছে। পার্কের গেইটে অবস্থিত এসব কটেজে চলমান নোংরা কার্যক্রমের কারনে একদিকে সামাজিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে স্কুল-কলেজ-মাদারাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীরা নানাভাবে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। তাই এ কারনে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে এসব কটেজ বন্ধে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে দুই মাস আগে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও কটেজ সমুহে আগের অবস্থা বিদ্যামান রয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।