২৭ জুলাই, ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২০ মহর্‌রম, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কলেজছাত্র মুরাদ হত্যা মামলার আসামি রহিম কারাগারে   ●  আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির প্রতিবাদে কক্সবাজার ছাত্রলীগের সমাবেশ   ●  স্বেচ্ছাসেবী কাজে বিশেষ অবদানের জন্য হাসিঘর ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা প্রদান    ●  চতুর্থবারের মতো শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট নির্বাচিত হলেন রোবায়েত   ●  সেন্টমার্টিনে ২ বিজিপি সদস্যসহ ৩৩ রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২   ●  উখিয়ায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি; কাঁচা ঘরবাড়ি, গ্রামীণ সড়ক লন্ডভন্ড   ●  উখিয়ায় কৃষি বিভাগের প্রণোদনা পেলেন ১৮০০ কৃষক /কৃষাণী   ●  আরসার জোন ও কিলিংগ্রুপ কমান্ডার আটক ৩   ●  পটিয়া প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠিত

টেকনাফে আলোচিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও ইয়াবা গডফাদার নুর মোহাম্মদ বন্দুক যুদ্ধে নিহত

হুমায়ুন রশিদ / জসিম উদ্দিন টিপু / মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম / গিয়াস উদ্দিন ভূলু : টেকনাফে আটক রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠনের স্বঘোষিত নেতা, পাহাড়ী জনপদের ত্রাস, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও ইয়াবা গডফাদার নুর মোহাম্মদকে নিয়ে বন্য আস্তানায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওসি তদন্তসহ ৩জন পুলিশ আহত হলেও ঘটনাস্থল হতে বিপূল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ নুর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ সুত্র জানায়, ১লা সেপ্টেম্বর (রবিবার) ভোর পৌনে ৬টারদিকে টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে বিশেষ পুলিশের দল ধৃত মৃত রোহিঙ্গা কালা মিয়ার পুত্র দূধর্ষ সন্ত্রাসী নুর মোহাম্মদ (৩৪) কে নিয়ে উপজেলার হ্নীলা জাদিমোরা ২৭নং ক্যাম্পের পাহাড়ী জনপদের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র ভান্ডার উদ্ধার অভিযানে যায়। এসময় রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠন এবং মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের স্বশস্ত্র সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে নুর মোহাম্মদকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহা (৩৬), কনস্টেবল আশেদুল (২১), অন্তর চৌধুরী (২১) আহত হয়।

এরপর পুলিশও আত্নরক্ষার্থে আধ ঘন্টাব্যাপী ৪০/৫০ রাউন্ড পাল্টা গুলিবর্ষণ করার পর হামলাকারীরা গভীর পাহাড়ের দিকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৪টি এলজি, ১টি থ্রি কোয়াটার, ১৮ রাউন্ড গুলি, ২০ রাউন্ড খালি খোসাসহ গুলিবিদ্ধ নুর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক নুর মোহাম্মদকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার খবর পেয়ে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানান, মোস্ট ওয়ানন্টেড একাধিক মামলার পলাতক আসামী ও যুবলীগ নেতা ওমর হত্যা মামলার আসামী নুর মোহাম্মদকে নিয়ে আস্তানায় অভিযানে গেলে তার বাহিনীর গুলিতে থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) সহ ৩জন আহত হয়। পুলিশও আতœরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। ঘটনাস্থল হতে উপরোক্ত অস্ত্রাদি ও গুলিবিদ্ধ নুর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মৃতদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী, মাদক কারবারী ও রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠনের স্বঘোষিত নেতা বন্দুক যুদ্ধের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় এলাকাবাসী স্বস্থির নিঃস্বাশ ফেলেছে। অনেকে মিষ্টি বিতরণ শুরু করেছে। এদিকে দীর্ঘদিন পর হলেও এই রোহিঙ্গা দূধর্ষ সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসায় সর্বস্তরের জনসাধারণের মনে পুলিশ সম্পর্কে থাকা ভ্রান্ত ধারণা পাল্টাচ্ছে। টেকনাফে মানুষের মনে নতুন করে আস্থা অর্জন করছে পুলিশ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।