![](https://www.coxsbazarshomoy.com/wp-content/uploads/2022/10/37FCC283-EC7D-4388-A28F-5B7A6AD478C6.jpeg)
(ছবি-চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ।)
নিজস্ব প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজের’ গভর্নিং বডি’র সভাপতি পদ পেতে অনার্স পাশের সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী। কিন্তু বিধি বাম..। জাল সার্টিফিকেট দিয়ে সভাপতির পদ ভাগিয়ে নিলেও দীর্ঘদিন স্থায়ীত্ব হলো না। তার সার্টিফিকেট জাল প্রমাণীত হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। গেল ১৬ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে অব্যহিত দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। ভাইস-চ্যান্সেলর এর অনুমোদনক্রমে তাকে সরিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি হিসেবে মনোনয় দেয়া হয়। ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এ কমিটি কলেজের পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা সুলতানা বলেন, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া সাঈদী সাহেবের সার্টিফিকেট যাচাই করেছি। দেখা গেছে তার দেয়া সার্টিফিকেট জাল। তাই তাকে সরিয়ে ইউএনওকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তবে, কমিটির সভাপতি হতে সার্টিফিকেট জমা দেননি বলে দাবি করেছেন সাঈদী।
গেল ১৬ অক্টোবর ইস্যুকৃত (আইএনএসও২-৩/০০১৪১/২০১৭/৪৪১৩/ ৫৫৯৪০) আদেশে জানা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের গভর্নিং বডি (সংশোধিত) সংবিধি ২০১৯ এর ৭নং ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী’র মনোনয়ন পরিবর্তন করে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মনোনয়ন দেয়া হলো। এ কমিটি ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত নিয়মিত গভর্নিং বডি গঠনের কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যানকে সভাপতি করার আগে আমি সভাপতি ছিলাম। কি কারণে আমাকে বাদ দিয়ে সাঈদী সাহেবকে সভাপতি করেছে আবার কি কারণে বাদ দিয়েছে তা আমি জানি না। তবে সার্টিফিকেট নিয়ে কি ঝামেলা সেটি শোনতে পাচ্ছি।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত জফলুল করিম সাঈদী বলেন, যা কিছু হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। আমাকে যখন কমিটির সভাপতি করা হয় তখন কেউ আমার কাছে সার্টিফিকেট চাইনি। আমিও সার্টিফিকেট দিইনি। আমার কাছে সার্টিফিকেট খোঁজলে আমি এইচএসসি পাশের সার্টিফিকেট দিতাম। আমার হলফনামায়ও এইচএসসির সার্টিফিকেট দিয়েছে। আমি শুধু মাত্র একজন এমপির ডিও লেটার দিয়েছি।
তিনি বলেন, সভাপতির পদটি প্রতিযোগিতা করে নিতে চাইনা। এটি আমার জন্য বোঝা হয়ে গেছে। যতদিন দায়িত্বে ছিলাম কলেজের উন্নয়ন করেছি। এখন যারা দায়িত্ব নিবে হয়তো তারা উন্নয়ন করবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।