২৯ মার্চ, ২০২৩ | ১৫ চৈত্র, ১৪২৯ | ৬ রমজান, ১৪৪৪


শিরোনাম
  ●  সাগরে ১০টি বস্তায় মিলল ৭ লাখ ইয়াবা   ●  উখিয়ায় কলেজ ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪   ●  মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি কক্সবাজার জেলা কারাগারের বিনম্র শ্রদ্ধা   ●  উখিয়ায় মাটি ভর্তি ডাম্পার আটক   ●  কক্সবাজারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত   ●  স্বাধীনতা দিবসে মরিচ্যা উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি উন্মোচন   ●  পানেরছড়ায় পাহাড় ও গাছ কাটার হিড়িক, নিরব বন বিভাগ   ●  চকরিয়ায় গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় এমপি জাফর আলম   ●  চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের ইফতার মাহফিল-আলোচনা সভায় এমপি জাফর   ●  খুটাখালী ইউনিয়ন আ.লীগের ইফতার মাহফিল, আলোচনা সভায় এমপি জাফর

জলদস্যুতার ভয়ে সাগরে যাচ্ছেনা উপকুলীয় এলাকার জেলেরা

index

মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেল এ কোস্টগার্ড় স্থাপন করার দাবী জেলেদের। জলদস্যুতার ভয়ে সাগরে মাছ আহরণ করতে যাচ্ছেনা মহেশখালীসহ উপকুলীয় এলাকার জেলেরা। জলদস্যুদের আক্রমনে নিরাপত্তাহীনতায় মৎস্যজীবি পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশোয় ঝুঁকছে জেলেরা। মহেশখালীর উপকুলের জেলেদের দাবী সোনাদিয়া এলাকায় কোস্টগার্ড় স্থাপন করার। উপকুলীয় এলাকা বদরখালী কোস্টগাড ও ককসবাজার সদর এলাকায় কোষ্টগার্ড এষ্ঠেশন রয়েছে। জেলেরা জানিয়েছেন সোনাদিয়াতে কোষ্টগাড স্থাপন করা হলে অনেক জেলে সাগরে মাছ আহরণ করে নিরাপদে কুলে ফিরে আসতে পারবে। সোনাদিয়াকে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষনার কারনে এ এলাকায় কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা এলাকা দিয়ে ২টি বড়ব্রীজ নির্মাণ করা হলেও সড়ক ২টির সাথে সংযুক্ত সড়ক এর উন্নয়ন না হওয়ার কারনে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন সোনাদিয়া এলাকায় দ্রুত যাতায়াতকরা সম্ভব হয়না। ফলে জলদস্যুরা পারপেয়ে যায়। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ বিভিন্ন সময়ে জেলেরা দূর্ঘটনায় আক্রান্ত হওয়ার সংবাদে পুলিশ প্রশাসন দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেনা।এখন কোন ট্রলারকে জলদস্যুরা জিম্মি কিংবা অপহরণ করলে মোবাইল এর মাধ্যমে দ্রুত খবর ছড়িয়ে পড়ে। খবর দ্রুরুত ছড়িয়ে পড়লেও সুদুর বদরখালী অথবা কক্সবাজার সদর থেকে দায়িত্ব প্রাপ্ত কোস্টগার্ড় ঘটনাস্থলে পৌছতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। একারনে পেশাদার জলদস্যুরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় । গত এক মাসের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি জলদস্যুতার ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় প্রশাসনে জরুরী হস্তক্ষেপ সম্ভব হয়নি। জলদস্যুতার পাশাপাশি এ দ্বীপটি সাগরপথে মালেশিয়ায় মানব পাচারের অন্যতম ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবেও পরিচিত। এসব অপকর্ম নিয়ন্ত্রনে সোনাদিয়া চ্যানেলে কোস্টগার্ড়ষ্টেশন স্থাপন করার দাবী জানিয়েছে মৎস্যজীবি ও জেলেরা।
৬মে সকাল ৭টার সময় সোনাদিয়া এলাকায় যৌথবাহীনি ও মহেশখালী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে, জলদস্যু ও মানবপাচারকারি দালাল চক্রের আস্তানা থেকে ৬জন কে সন্ধহভাজন আটক করে থানায় নিয়ে আসে। থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায় আটককৃদদের বিরোদ্ধে মানব পাচার ও জলদস্যুতার সংশ্লিষ্টতা পাওয়াগেলে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ওই অভিযানে উত্তেজিত জনতা বেশ কয়েকটি চিহ্নিত জলদস্যুর বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। মহেশখালী থানার ওসি মো:আলমগীর হোসেন বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ার কারনে পুলিশের অভিযান দ্রুত বাস্তায়ন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সোনাদিয়া এলাকায় জলদস্যুতা ও মানবপাচার রোধে সড়ক যোগায্গোা এর উন্নয়ন করাহলে এবং নৌ-পথে প্রশাসনিক নজরদারী বাড়ালে ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা পেলে অনেক আংশে কমে আসবে অপরাধ প্রবনতা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।