২২ মার্চ, ২০২৩ | ৮ চৈত্র, ১৪২৯ | ২৯ শাবান, ১৪৪৪


শিরোনাম
  ●  যাত্রীবেশে ইয়াবা পাচারকালে রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানায় আটক ১   ●  উখিয়ায় অভিযোগকারীদের উল্টো চিঠি ইস্যু করে অভিযুক্ত শিক্ষা অফিসার!   ●  উখিয়ার বরণ্য রাজনৈতিক মৌলভী আবদুল হকের ১৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী ২০ মার্চ   ●  বৈরী আবহাওয়া : সেন্টমার্টিনগামি জাহাজ চলাচল বন্ধ   ●  চকরিয়ার দুটি বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন এমপি জাফর আলম   ●  রামুতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর সমাবেশে বক্তারা বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালির আস্থা ও বিশ্বাসের ঠিকানা   ●  চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালিত   ●  জন্মদিনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ এমপি জাফরের   ●  কক্সবাজার জেলা কারাগারে দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন   ●  এমপি জাফরের কাছ থেকে শেখ রাসেল স্কুলের শিক্ষার্থীরা পেল স্মার্ট ব্যাগ ও শিক্ষা উপকরণ

ঘুমধুম সীমান্তের ইয়াবার জম পুলিশ কর্মকর্তা এরশাদ:৬ মাসে ২কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ,আটক ডজন

বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ীদের কঠোর হস্তে দমন করার জন্য হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কে মাথায় রেখে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাধীন ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির আইসি,  মাদক, ইয়াবা ও সীমান্তের এপার -ওপারের অপরাধীদের আতংক এরশাদুল্লাহ (ইয়াবার জম খ্যাত)  ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্ত এলাকাকে ইয়াবা ও মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে বলে জানা যায়। আইসি এরশাদুল হক ইয়াবা ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। এ লক্ষ্যে পুরোদস্তুর সময় ব্যয় করছেন মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া ঘুমধুমের সর্বত ইয়াবা কারবারীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। ইয়াবা গডফাদাররা আতংকে দিনাতিপাত করছে বলে জানা যায়। এসব ইয়াবা কারবারী ও মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক সেবীরা রয়েছে আত্মগোপনে। প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে অনেকেই যাযাবর জীবনযাপন করারও খবর রয়েছে। এসব ইয়াবা গডফাদাররা গ্রেপ্তার এড়াতে বর্তমানে এলাকা ছেড়ে অন্যত্রে পাড়ি জমিয়েছে বলে এলাকায় চাউর হয়েছে। জানা গেছে থাইংখালী রহমতেরবিল গ্রামের সোলতান আহম্মদের ছেলে ইয়াবা ডন জামাল উদ্দিন প্রকাশ দাড়ী জামাল, যার গ্রেপ্তার পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসবে ইয়াবা পাচার ও কারবারের চাঞ্চল্যকর তথ্য।সে বর্তমানে গ্রেপ্তার এড়াতে রহমতের বিল এলাকার সীমান্তের মৎস্য ঘেরে রাত্রি যাপন করে থাকে বলে জানা গেছে। তার চেইন অব কমান্ড কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা নিয়ন্ত্রক জিয়াবুল হক প্রকাশ ইয়াবা জিয়াবুল, যার গ্রেপ্তারে বেরিয়ে আসবে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ ভিত্তিক হত্যাকান্ড সহ নানা অজনা কাহিনী। জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি গ্রামের ইসলাম মিয়ার ছেলে শামশুল আলম সোহাগ প্রকাশ ইয়াবা সোহাগ, সে বর্তমানে মানব পাচারের কালো টাকার পাহাড় দিয়ে সাগর পথে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা পাচার করছে বলেও জানা যায়। ঘুমধুম বেতবনিয়া এলাকার ইয়াবা ব্যবসা ও ইয়াবা কারবারীদের পরোক্ষ মদদদাতা কামাল মেম্বার, তুমব্রু জলপাইতলী এলাকার লেইংঙ্গা মমতাজের ছেলে ইমাম হোসেন, একই এলাকার ছৈয়দ আলমের ছেলে জসিম উদ্দিন, সাইফুদ্দিন, ভাইদের ইয়াবা ব্যবসার সহযোগী, মিয়ানমার ভিত্তিক চোরাই পণ্য সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য ,ভুয়াঁ ভিসার দালাল, প্রতারক জহির আহমদ, ইয়াবা জয়নাল, টিএন্ডটি লম্বাঘোনা নামক এলাকার মৃত ফকির আহম্মদের ছেলে মাহমুদুল করিম খোকা ,তার এক বড় ভাই, বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা  কুতুপালংয়ের ইয়াবা মিজান,জনৈক আকবর, উখিয়ার হিজলিয়া তেলীপাড়া এলাকার বাবুল আলম, তার চেইন অব কমান্ড একই গ্রামের মন্সুর আলীর ছেলে আকতার মিয়া, বর্তমানে বাবুল আলম পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে তার চেইন অব কমান্ডকে ইয়াবার কালো টাকার পাহাড় দিয়ে লম্বা ঘোনা নামক এলাকার গভীর জঙ্গলে নির্মাণ করে দিয়েছে আলিশান বাড়ী। উক্ত বাড়ীতেই বাবুল আলম আত্নগোপনে লোকচক্ষুর আড়াঁলে থাকে  বলে জানা যায়। একই এলাকার আলী আহম্মদের ছেলে ইয়াবা মোকতার প্রকাশ সিএনজি মোকতার সে সম্প্রতি কোটবাজার থেকে ইয়াবা সহ উখিয়া থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছিল, সাদৃকাটা এলাকার আলম ড্রাইভার, তেলী পাড়া এলাকার জলুর ছেলে নুরু, হিজলিয়া এলাকার ঠান্ডামিয়ার ছেলে খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া, ঘিলাতলী এলাকার মুবিন, উখিয়া দারোগা বাজারের উত্তম বিশ্বাস, সিকদারবিল ভুইয়া পাড়া এলাকার সাহাব উদ্দিন, সহ গডফাদাররা গ্রেপ্তার এড়াতে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের কর্তা বাবু ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ছত্রছায়ায় রয়েছে। কারন উক্ত কথিত রাজনৈতিক কর্তা বাবুরা দীর্ঘ দিন ধরে উক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কে লালন করার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগীতা , প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে মদদ দিয়ে আসছিল বলেও জানা যায়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে স্থানীয় সুবিধা ভোগী নেতারা তাদের সুবিধা ভোগ করতে না পেরে তারা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে সমন্বয় করে কোটি টাকার মিশন নিয়ে সীমান্তের মাদক মুক্ত সমাজ গঠন কল্পে নিয়োজিত সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আতংক ফাঁড়ির ইনচার্জ এরশাদুল্লাহ সহ কর্মকর্তাদের অন্যত্রে বদলীর জন্য জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানা গেছে। তবে সম্প্রতি ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়িতে এরশাদুল্লাহ নামক এক পুলিশ কর্মকর্তা ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসাবে যোগদান করার পর থেকে সাড়াশি অভিযানের ফলে বর্তমানে সীমান্তের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নিস্ক্রিয়তার উপক্রম দেখা দিয়েছে বলেও জানা যায়। ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের ইনচার্জ, চৌকস পুলিশ অফিসার এরশাদ উল্লাহ দায়ীত্ব পালন কালে সময়ে অন্তত ২ কোটি টাকার ইয়াবা ও হরেক রকম মাদক আটক করতে সক্ষম হয়। আটক করা হয় জলপাইতলীর তয়াবা ছৈয়দ নুর, মিয়ানমারের ইয়াবা জিয়াবুলের সহযোগী নুরুল ইসলাম, আমির হোসেন সহ ডজনাধিক ইয়াবা সম্রাটদের। জব্দ করা হয় বহু মোটর যান। ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা ইয়াবা ডন ও তাদের আস্তানায় প্রতিনিয়ত হানা দিচ্ছে সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা এরশাদ উল্লাহর পুলিশী দল। ফলে ঘুমধুম -তুমব্রু, পার্শ্ববর্তী উখিয়ার কুতুপালং, থাইংখালী, বালুখালী, পালংখালী সীমান্তেও সমানতালে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি খালেদ সরওয়ার হারেজ বলেন, আইসি এরশাদ উল্লাহ যোগদানের পর থেকে ঘুমধুম এলাকা ইয়াবা, মাদক ও অপরাধ মুক্ত রয়েছে। ঘুমধুম কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহজাহান বলেন, ঘুমধুম এখন শান্তির জনপদ।  এলাকার সচেতন মহলের দাবী, দেশের ছাত্র ও যুবসমাজ ধ্বংসকারী মরণ নেশা ইয়াবা ও মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে হলে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দেখা মাত্র গুলি করতে হবে। অন্যথায় এ ইয়াবা ব্যবসা কখনো বন্ধ করা সম্ভব নয়। আর এতে আইনশৃংখলা বাহিনী কে আরো কঠোর হতে হবে বলে তারা মনে করেন। এ ব্যাপারে ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ এরশাদুল্লাহ বলেন, আমি যত দিন ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত থাকব, সীমান্তের সুন্দর মনোরম পরিবেশ , ইয়াবা ও মাদক মুক্ত থাকবে। ইয়াবার মরণ ঘাতক নেশার কবল থেকে পরিবার, সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্র গঠনে সহায়ক ভুমিকা পালন করবো।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।