৩১ মার্চ, ২০২৩ | ১৭ চৈত্র, ১৪২৯ | ৮ রমজান, ১৪৪৪


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ পাকা স্থাপনা ধ্বংস করলো বনবিভাগ; ৫০ একর বনভূমি দখলমুক্ত   ●  সাগরে ১০টি বস্তায় মিলল ৭ লাখ ইয়াবা   ●  উখিয়ায় কলেজ ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪   ●  মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি কক্সবাজার জেলা কারাগারের বিনম্র শ্রদ্ধা   ●  উখিয়ায় মাটি ভর্তি ডাম্পার আটক   ●  কক্সবাজারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত   ●  স্বাধীনতা দিবসে মরিচ্যা উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি উন্মোচন   ●  পানেরছড়ায় পাহাড় ও গাছ কাটার হিড়িক, নিরব বন বিভাগ   ●  চকরিয়ায় গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় এমপি জাফর আলম   ●  চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের ইফতার মাহফিল-আলোচনা সভায় এমপি জাফর

ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশী আসকারা পেয়ে বেপরোয়া ইউছুফ

বিশেষ প্রতিবেদক:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু উত্তর পাড়া এলাকার বদিউর রহমানের ছেলে ইউছুফ আলী। দীর্ঘদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি, ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্র, উখিয়া ও টেকনাফে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে এবং সোর্স পরিচয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে।বর্তমানে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন ইউছুফ আলী।
ক্লাস ফাইভ পাস না করা ইউছুফ কখনো নিজেকে পুলিশ কখনোবা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রতিনিয়ত উখিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি ও মাদকের কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এসব কর্মকাণ্ডে প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাও জড়িত আছেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রে জানা যায়, ইউছুফের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় তিনটি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় দুটি মাদক কারবার ও চোরাচালানের মামলা রয়েছে। এর মধ্যে উখিয়া থানায় ২০২১ সালের ১৬ মার্চ তারিখে (এফআইআর নং–২৬/১৭৯) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। এ ছাড়া ২০১৪ সালের ১৪ নভেম্বর (জিআর নং–৩৪০/১৪) এবং ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর (এফআইআর নং–২০/৬০৭) উখিয়া থানায় আরও দুটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। বাকি দুটি নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ২০০৭ সালের ৮ মার্চ তারিখে (জিআরনং–৪২/০৭) বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং ২০১৫ সালের ২২ জুন (জিআর নং–১৩৮/১৫) তারিখে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউছুফ অনেকদিন ধরে নিজ এলাকার (তুমব্রু) বাইরে। তার এলাকায় সাধারাণ মানুষ তাকে যেতে দেন না। চাঁদাবাজির জন্য নিজ এলাকায় তিনি একাধিকবার মার খেয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রশাসনের সোর্স পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও সীমান্তে চোরাচালানে লিপ্ত থাকার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছেও পিটুনি খেয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানায়। মূলত এরপর থেকেই এলাকার বাইরে থাকেন ইউছুফ। তার দালালির কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে তাকে এলাকা ছাড়া করে।

জানা গেছে, ইউছুফের রয়েছে একাধিক স্ত্রী। বর্তমানে এক রোহিঙ্গা মেয়েকে বিয়ে করে উখিয়ার কুতুপালংয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকছেন। ওই রোহিঙ্গা মেয়ে তার তৃতীয় স্ত্রী। তার দ্বিতীয় স্ত্রীও রোহিঙ্গা। তিনি বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৭-এ অবস্থান করছেন বলে জানা যায়৷ তার প্রথম স্ত্রী তাদের বড় ছেলেকে নিয়ে বর্তমানে চট্রগ্রামে থাকছেন।

উখিয়ার কুতুপালং স্টেশনে ইউছুফের একাধিক দোকান আছে বলে সূত্রে জানা গেছে। চাঁদাবাজি, হয়রানি ও মানুষকে জিম্মি করে ইউছুফ এখন কোটি টাকার মালিক। একাধিক ব্যাংকের একাধিক অ্যাকাউন্টে তার টাকা জমা হয়। প্রশাসন এসব খতিয়ে দেখলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ইউছুফ নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করেন।

তার এসব কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টান্টু শাহা জানিয়েছেন, পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির বিষয়টি তার জানা নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, ইউছুফ পুলিশের কেউ নন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

সূত্র জানায়, ইউছুফ আলী ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশেরও দালালি করে থাকেন। দালালি এবং মানুষকে ব্ল্যাক-মেইল করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এই ইউছুফ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন যানবাহনের চালকও তার বিরুদ্ধে ‘হয়রানির’ অভিযোগ করেছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।