২৭ জুলাই, ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২০ মহর্‌রম, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কলেজছাত্র মুরাদ হত্যা মামলার আসামি রহিম কারাগারে   ●  আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির প্রতিবাদে কক্সবাজার ছাত্রলীগের সমাবেশ   ●  স্বেচ্ছাসেবী কাজে বিশেষ অবদানের জন্য হাসিঘর ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা প্রদান    ●  চতুর্থবারের মতো শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট নির্বাচিত হলেন রোবায়েত   ●  সেন্টমার্টিনে ২ বিজিপি সদস্যসহ ৩৩ রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২   ●  উখিয়ায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি; কাঁচা ঘরবাড়ি, গ্রামীণ সড়ক লন্ডভন্ড   ●  উখিয়ায় কৃষি বিভাগের প্রণোদনা পেলেন ১৮০০ কৃষক /কৃষাণী   ●  আরসার জোন ও কিলিংগ্রুপ কমান্ডার আটক ৩   ●  পটিয়া প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠিত

গর্ভবতী সন্তানের পিতৃ স্বীকৃতি চাইতে গিয়ে হামলার শিকার : হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

frjrfjrj
টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে এক দরিদ্র পরিবারের মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সতীত্ব হরণ করে সর্বশান্ত হবার পর এবার গর্ভের ৭মাসের অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয় আদায় করতে গিয়েই হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসাধীন যুবতী এই ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের আন্তরিক সহায়তা কামনা করেছে।
৮মার্চ দুপুর ১২টারদিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত হোয়াইক্যং নয়াপাড়ার অতি দরিদ্র পরিবারের মৃত নুর মোহাম্মদের কন্যা ছমিরা আক্তার (১৬) ও তার মামা নুর হোছনের সঙ্গে আলাপকালে বেরিয়ে আসে এক লম্পটের লালসার শিকার হয়ে গর্ভের সন্তানের  পিতৃ পরিচয় আদায় করতে যাওয়া নারীর উপর হামলার লোম-হর্ষক কাহিনী। ২০১৪ সালের জুন-জুলাইয়ে একই ইউনিয়নের ঝিমংখালীর মোহাম্মদের পুত্র আব্দুর রহিম (২৩) সঙ্গে দেখা স্বাক্ষাতে দু‘জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। এর পর্যায়ক্রমে দেখা-স্বাক্ষাত ও অভিসারের ফলে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ইতিমধ্যে দরিদ্র পরিবারের মেয়ে ছমিরা গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিয়ে করার জন্য আস্তে আস্তে প্রেমিক রহিমকে চাপ প্রয়োগ করে। প্রেমিক রহিম বিয়ের জন্য রাজি হলেও বাবা-মার ভয়ে মুখ খুলে কিছু বলতে পারতনা। ছমিরা শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে চাপ দিলে আব্দুর রহিম বলে তুমি রাতে আমার বাড়ি চলে যাবে। এরপর আমি তোমাকে বিয়ে করে গর্ভের সন্তানের পিতৃ পরিচয় দিয়ে তোমাকে কলংক মুক্ত করে স্বার্থক প্রেমের জয় গান গাইব। সমাজের চোখে কলংকিত হয়ে পড়া ছমিরা নিরুপায় হয়ে তার কথামত গত ৫ মার্চ রাতে রহিমের বাপের বাড়িতে চলে যায়। এমতাবস্থায় ছেলের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় বাড়ি হতে আব্দুর রহিমকে তাড়িয়ে দেয় এবং ছমিরাকে বাপের বাড়ি ফিরে আসতে চাপ প্রয়োগ করে। ছমিরা ফিরে না আসায় রহিমের পরিবারের লোকজন ব্যাপক মারধর করে জোর-পূর্বক তাড়িয়ে দেয়। আর্থিক সংকটের কারণে ২দিন যাবত চিকিৎসার জন্য আসতে পারেনি। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হলে জনৈক জালাল মুন্সীর নেতৃত্বে সামাজিকভাবে সালিশ হয়। অভিযুক্তরা না মানায় তা ভেস্তে যায়।
এরপর মামা নুর হোছনের সহায়তায় অপরের নিকট হতে টাকা ধার করে চিকিৎসার জন্য আসে। ডাক্তারী পরীক্ষায় বর্তমানে সে ৭ মাসের অন্তসত্তা এবং আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করে। সেখানে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার খরচ না থাকায় বর্তমানে বাড়িতে অবস্থান করছে। পরদিন চিকিৎসা নিতে যাওয়ার কথা রয়েছে। ছমিরা গর্ভের অনাগত ৭ মাসের সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও নিজের অধিকার আদায়ের জন্য সকলের আন্তরিক সহায়তা কামনা করেছেন।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত রহিমের নিকট বিষয়টি জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে মোবাইল যোগাযোগে না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া হয়নি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।