২৭ জুলাই, ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২০ মহর্‌রম, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কলেজছাত্র মুরাদ হত্যা মামলার আসামি রহিম কারাগারে   ●  আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির প্রতিবাদে কক্সবাজার ছাত্রলীগের সমাবেশ   ●  স্বেচ্ছাসেবী কাজে বিশেষ অবদানের জন্য হাসিঘর ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা প্রদান    ●  চতুর্থবারের মতো শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট নির্বাচিত হলেন রোবায়েত   ●  সেন্টমার্টিনে ২ বিজিপি সদস্যসহ ৩৩ রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২   ●  উখিয়ায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি; কাঁচা ঘরবাড়ি, গ্রামীণ সড়ক লন্ডভন্ড   ●  উখিয়ায় কৃষি বিভাগের প্রণোদনা পেলেন ১৮০০ কৃষক /কৃষাণী   ●  আরসার জোন ও কিলিংগ্রুপ কমান্ডার আটক ৩   ●  পটিয়া প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠিত

খুটাখালী রাবারড্যাম পানি ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম বোরো চাষীরা সেচ সংকটে

oniyom
চকরিয়ার খুটাখালী (রাবারড্যাম) ছড়া পানি ব্যবস্থাপনায় চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সমিতির কতিপয় নেতাদের যোগসাজশে সেলু মেশিন সিন্ডিকেট বোরো চাষীদের কাছ থেকে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ায় সংশ্ল্ষ্টি চাষীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন। চলতি বোরো চাষীদের সেচ বাবদ (পানি খরচ) কানি প্রতি ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা আদায় করলেও ঠিকমতো সেচ দেয়া হচ্ছেনা বলে জানান কৃষকরা। তারা মেশিন সুবিধাভোগীদের কারনে চলতি বোরো চাষে আশানুরূপ ফলন নিয়েও আশংকা করছেন।
ইউনিয়নের পশ্চিম বিল, হাফেজ খানা দক্ষিণ বিল, উত্তর পাড়া কান্তুবিলের চাষী শাহাব উদ্দিন, জাফর আলম, আবদুর রহিম, মোহাম্মদ আলীর অভিযোগ খুটাখালী ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির কতিপয় নেতাদের যোগসাজশে স্থানীয় সেলু মেশিন সিন্ডিকেট চাষীদের কাছ থেকে সেচ বাবদ পানি খরচের নামে গলাকাটা বাণিজ্য করছে। রাবারড্যাম সংশ্লিষ্টরা মোটা অংকের টাকা নিয়ে সেলু মেশিন সিন্ডিকেটের কাছে লীজ দিয়ে চাষীদের বারোটা বাজাচ্ছে। তারা আরো জানায় রাবার ড্যামের কয়েকশ মিটারের মধ্যে প্রায় ১২ টি সেলু মেশিন বসানো হয়েছে। তাদের সাথে খুটাখালী ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির নেতাদের রয়েছে সখ্যতা। তারা নামে মাত্র কানি প্রতি ৫ শ টাকা নেয়ার কথা বললেও সেলু মেশিন মালিকরা নিচ্ছে আড়াই হাজার টাকা। যার কারণে উল্লেখিত ২ হাজার একর জমির প্রায় শতাধিক চাষী চরম বেকায়দায় পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানায় রাবারড্যাম ফুলিয়ে যতটুকু পানি ধরে রাখা উচিত ততটুকু রাখা হচ্ছে না। ড্যামের এক শ্রেণীর অসাধু নেতা-কর্মকর্তা সেলু মেশিন মালিকদের আতাঁত করে ইচ্ছে করে পানি কম রাখা হয়েছে। যার কারণে এসব বিলের অধিকাংশ নাশি নালা দিয়ে পানি চালাচল করে না। সপ্তাহে মাত্র একদিন সেচ সুবিধা দিলেও তা নিয়মিত নয়। মূলত এ সিন্ডিকেট মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে একাধিক সেলু মেশিন বসিয়ে কৃষক মারার ফাঁদ বসিয়েছে।
সূত্র জানায় প্রায় ১০/১২টি মেশিনের মালিকরাও রাবারড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সদস্য হওয়ায় তাদের কাছে চাষীরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। তারা চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও সমবায় কর্মকর্তার সরজমিন এলাকা পরিদর্শন পূর্বক জড়িত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।