নিজস্ব প্রতিবেদক, রামু
বন্ধন অটুট থাকবে আজীবন বন্ধুত্বে। বিশ্বাসী ও পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের এমন দৃঢ় প্রত্যয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে খিজারীয়ান ৮৬’র বন্ধু সম্মিলন। গত রবিবার ও সোমবার (২২-২৩ মে) দুই দিনব্যাপী আবেগময় স্মৃতি রোমন্থনের এ বন্ধু সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয় কক্সবাজারের ইনানীর তারাকা হোটেল রয়েল টিউলিপে।
‘সতত সুন্দরে অন্তর ছুঁই, প্রীতির বাঁধনে বন্ধু তুই’ এ প্রতিপাদ্যে বন্ধুত্বের আড্ডা, প্রাণখোলা উচ্ছ্বাস, অব্যক্ত আবেগ-ভালোবাসা, নানন্দিকতায় খোঁচাখুঁচিতে শেষ হয় খিজারীয়ান ৮৬’র বন্ধু সম্মিলন। শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ১৯৮৬ ব্যাচের বন্ধু সম্মিলন ছিলো তীব্র আবেগ ও ভালোবাসায় পরিপূর্ণ।
রবিবার রাতে রয়েল টিউলিপ সুইমিংপুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত বন্ধু সম্মিলনের বন্ধু সংলাপ, সাংস্কৃতিক ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, খিজারীয়ান ৮৬’র সভাপতি খালেদ শহীদ।
বন্ধু সম্মিলন উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক কক্সবাজার জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য নুরুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বন্ধু সংলাপে অনুভূতি ব্যক্ত করেন, খিজারীয়ান ৮৬’র নির্বাহী সদস্য কক্সবাজার-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জোয়ারিয়ানালা এইচ এম সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজিজুল হক সিকদার, খিজারীয়ান ৮৬’র সাধারণ সম্পাদক ও গর্জনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন বড়ুয়া, বন্ধু সম্মিলন উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব ও কক্সবাজার জেলা পোল্ট্রি মালিক সমিতির উপদেষ্টা মো. নজিবুল আলম, দোছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাত শর্মা, পানেরছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন আহমদ, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ কক্সবাজার জেলা সভাপতি খালেদ নেওয়াজ আবু, রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন, রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. সাহাব উদ্দিন, গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কাসেম ও অসিত পাল, রামু উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি কিশোর কুমার বৈদ্য ময়না, ব্যবসায়ী সাহেদ সরওয়ার, দুলাল বড়ুয়া, ফজলুল করিম, আইনজীবী সহকারী রূপন শর্মা, প্রবাসী মীর কাশেম, জয়নাল আবেদিন, সমাজসেবী সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
বন্ধু সংলাপের বক্তব্যে খিজারীয়ান ৮৬’র সদস্যরা বলেন, আত্মার সঙ্গে আত্মার শক্তিশালী বন্ধন হলো বন্ধু। বন্ধুত্ব যতই পুরোনো হয়, ততই উৎকৃষ্ট ও দৃঢ় হয়। বন্ধুত্ব বিশ্বাসী ও মজবুত একটি সম্পর্ক। যে সম্পর্কে কখনো লাভ ক্ষতি বিচার্য হয় না। মনের সব লুকানো আস্থা ও বিশ্বাসে গড়ে উঠে বন্ধুত্ব। সেই বিশ্বাসী সম্পর্কে খিজারীয়ান ৮৬’র এই বন্ধু সম্মিলন।
স্মৃতিময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে, খিজারীয়ান ৮৬’র বন্ধু, বন্ধু পত্নী ও তাদের প্রজন্ম সন্তানরা। র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানে বিজয়ী হিসেবে রূপন শর্মা প্রথম পুরস্কার ওভেন, স্বপন বড়ুয়া দ্বিতীয় পুরস্কার ওয়াশিং মেশিন, মীর কাশেম তৃতীয় পুরস্কার স্টেন ইলেক্ট্রনিক ফ্যান পেয়ে যান। এ ছাড়াও আরও ৭২জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
খিজারীয়ান ৮৬’র বন্ধুদের নিয়মিত ফেসবুক গ্রুপ যোগাযোগে প্রতিটি মূহুর্তকে আরও সামনে নিয়ে আসতে উদ্যোগি ভূমিকা রাখাতে হবে জানান বন্ধুরা। বন্ধুত্বের সেতুবন্ধনকে বহুমুখী করে তোলতে, গঠিত হয় বন্ধু পত্নীদের নিয়ে একটি কমিটি। বন্ধু পত্নীদের যোগাযোগ সহজতর করতে এ কমিটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এ কমিটিতে শাপলা বড়ুয়া সভাপতি ও শাপলা দে সাধারণ সম্পাদক, সাফিয়া ফারজানা রাফি সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হয়। এ কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারির দায়িত্ব পালন করবেন, ছৈয়দা সেলিনা সরওয়ার। খিজারীয়ান ৮৬’র প্রজন্ম সন্তানদের নিয়ে আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়। খিজারীয়ান ৮৬’র বন্ধু পত্নী ও প্রজন্ম সন্তান নিয়ে দুটি কমিটি গঠনে কার্যকরি ভূমিকা পালন করেন, খিজারীয়ান ৮৬’র বন্ধু সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি।
স্কুলজীবনে বন্ধুদের দুষ্টমি, হাসি-ঠাট্টার উচ্ছাস, আড্ডা, খেলাধুলার সময় রোমন্থনে বন্ধু সম্মিলনে কেটেছে খিজারীয়ান ৮৬’র বন্ধুদের দুইটি দিন। বিশ্বাস-ভালোবাসা ও পারস্পরিক আত্মার দৃঢ়তায় স্কুলজীবনের এই বন্ধুত্ব অটুট থাকে আজীবন। এ প্রত্যয়ে দীর্ঘ আড্ডা, হাসি–ঠাট্টার ইতি টেনে সোমবার সন্ধ্যায় নিজগৃহে ফিরে খিজারীয়ান ৮৬’র সদস্যরা। দুই দিন খিজারীয়ান ৮৬’র বন্ধুদের আন্তরিকপূর্ণ উচ্ছ্বাস ও আড্ডায় হাসি–ঠাট্টায় মেতে উঠে বন্ধু পত্নীরাও। রয়েল টিউলিপের সুইমিংপুল, সী পার্ল ওয়াটার পার্ক ও পাটোয়ার টেক সমুদ্র সৈকত ভ্রমণে প্রাণবন্ত উৎসবে মেতে উঠে খিজারীয়ান ৮৬’র প্রজন্ম সন্তানরাও।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।