২৭ জুলাই, ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২০ মহর্‌রম, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কলেজছাত্র মুরাদ হত্যা মামলার আসামি রহিম কারাগারে   ●  আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির প্রতিবাদে কক্সবাজার ছাত্রলীগের সমাবেশ   ●  স্বেচ্ছাসেবী কাজে বিশেষ অবদানের জন্য হাসিঘর ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা প্রদান    ●  চতুর্থবারের মতো শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট নির্বাচিত হলেন রোবায়েত   ●  সেন্টমার্টিনে ২ বিজিপি সদস্যসহ ৩৩ রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২   ●  উখিয়ায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি; কাঁচা ঘরবাড়ি, গ্রামীণ সড়ক লন্ডভন্ড   ●  উখিয়ায় কৃষি বিভাগের প্রণোদনা পেলেন ১৮০০ কৃষক /কৃষাণী   ●  আরসার জোন ও কিলিংগ্রুপ কমান্ডার আটক ৩   ●  পটিয়া প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠিত

কে এই ইউসুফ? দালালি করে বনে গেছেন ‘পুলিশের কামাইন্না পুত’

শরীফ আজাদ,উখিয়া

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু উত্তর পাড়া এলাকার বদিউর রহমানের ছেলে ইউছুফ আলী নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রতিনিয়ত উখিয়ার প্রধান সড়ক টিভি টাওয়ার সংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজি ও হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষ ও যাত্রীদের।

অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ‘ইউছুফ পুলিশের কামাইন্না পুত, পুলিশের পালক পুয়া (স্থানীয় ভাষা)। আর সাধারণ জনসাধারণের জন্য এক বিষফোঁড়ার নাম।’

তার কাছে হয়রানির শিকার হওয়া অনেকেই বলেন, তার হুমকি-ধমকি ওসি-অ্যাডিসনাল এসপির চেয়েও মারাত্মক।

চাঁদাবাজে অভিযুক্ত এই ইউসুফ আবার তার ফেসবুক প্রোফাইলে নিজেকে সাংবাদিক হিসেবেও উপস্থাপন করেন। তার ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি ট্রু কলার (মোবাইল অ্যাপ)–এর মাধ্যমে যাচাই করলে সেখানে ‘পুলিশ’ বলে পরিচয়ে উল্লেখ করেছেন নিজেকে।

স্থানীয় একজন গণমাধ্যমকর্মী অভিযোগ করে বলেন, ইউছুফ নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের ঘুম হারাম করেছেন। তাকে তার চাহিদা মতো টাকা না দিলে নিরিহ মানুষকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসায় এবং বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেবে বলে হুমকি-ধমকি দেয়। কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশকে ব্যবহার করে ধরে নিয়ে যায়। তার হাত লম্বা হওয়ার ফলে গণমাধ্যমকর্মী হয়েও চুপ করে থাকতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ইউছুফ নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করেন। তিনি প্রতিদিন রাস্তায় চেক করার নামে মানুষকে হয়রানি করেন। যার ফলে মানুষ উখিয়া থানা পুলিশের বদনাম করছে।

তার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করলে সেখানে ভুক্তভোগীদের মন্তব্য দেখা যায়। সকলে তাকে পুলিশের দালাল, চাঁদাবাজ ও ধান্ধাবাজ বলে মন্তব্য করেন।

তার এসব কর্মকাণ্ডের বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টান্টু শাহা বলেন, পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির বিষয়টি তার জানা নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সূত্র জানায়, ইউছুফ আলী ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের দালালিও করে থাকেন। দালালি এবং মানুষকে ব্লেক মেইল করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এই ইউছুফ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন যানবাহনের চালক তার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করেছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।