২৭ জুলাই, ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২০ মহর্‌রম, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কলেজছাত্র মুরাদ হত্যা মামলার আসামি রহিম কারাগারে   ●  আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির প্রতিবাদে কক্সবাজার ছাত্রলীগের সমাবেশ   ●  স্বেচ্ছাসেবী কাজে বিশেষ অবদানের জন্য হাসিঘর ফাউন্ডেশনকে সম্মাননা প্রদান    ●  চতুর্থবারের মতো শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট নির্বাচিত হলেন রোবায়েত   ●  সেন্টমার্টিনে ২ বিজিপি সদস্যসহ ৩৩ রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২   ●  উখিয়ায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি; কাঁচা ঘরবাড়ি, গ্রামীণ সড়ক লন্ডভন্ড   ●  উখিয়ায় কৃষি বিভাগের প্রণোদনা পেলেন ১৮০০ কৃষক /কৃষাণী   ●  আরসার জোন ও কিলিংগ্রুপ কমান্ডার আটক ৩   ●  পটিয়া প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠিত

কিছুকিছু মানুষ জাতি হিসাবে আমাকে দিয়েছে সম্মান

Image-Japar
আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমাকে এলাকার লোকেরা কেউ বলত পুতু, কেউ বলত জাফর, কেউ বলত ইকবাল, আসল নাম হল মোহাম্মদ জাফর ইকবাল। সবাই আমাকে আদর করত, স্নেহ করত, টাকা দিত, কলা দিত, বিস্কুট দিত, লজেন্স দিত। যখন বড় হয়েছি এলাকাবাসী ডেকে নিয়ে বিভিন্ন সমিতি,কমিটি,প্রেসক্লব,লেখক পরিষদ,মসজিদ,এনজির সভাপতি সেক্রেটারী,উপদেষ্টা সমাজের সর্দার নির্বাচিত করে। তখন আমার সাথে ১০-২০জন সহযোগি থাকত। তখন আমার সাহস ছিল ছোট বেলা থেকে লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে দোকান সহ বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িত ছিলাম। একদিন আমার এক প্রতিবেশিকে অন্যায় ভাবে স্থানীয় পুলিশ মারপিট করেছে। তিনি আমাকে বলছে আমি শুনে রাগ হয়েগেছি একদিন ৪জন পুলিশ হেঁটে হেঁটে টহল দেওয়ার জন্য যাওয়ার পথে ধুমছাকাটা নামক স্থালে পৌছুলে তাদেরকে আটক করে গণধূলাই দিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে পুলিশ আমার জন্য একটি মামলা করেছে। এর কিছুদিন পরে ধুমছাকাটা বনবিট কর্মকর্তা কর্মচারী অফিসের পেছনে দুইটি গর্জন কাট ভোমরিয়াঘোনার লোককে বিক্রি করে ধুমছা কাটা এলাকার ১৫জন আসামী করে মামলা করা হয়। মামলা হওয়ার পরে আমার গং নিয়ে সকাল ৮টায় অফিসে তালা মেরে অফিসের সামনে যত সেগুন কাঠ ছিল তত কেটে ফেলেছে। তখন এক বিটকর্মচারী পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে গনধুলাই দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে ৩৫জনকে আসামী করে একটি পুলিশ মামলা আরেকটি বন মামলা করা হয়। ১নং আসামী আমাকে করা হয়েছে। এর আগে পুলিশকে অনেক সহযোগিতা করেছিলাম। একদিন ঈদগাঁওর প্রভাবশালী লুতু মিয়ার ছেলে আনোয়ার মিয়া রাত ১২টায় ধুমছাকাটা অফিসে গিয়ে বিটকর্মকর্তা কর্মচারীকে বেধে রেখে অস্ত্রগুলো কেড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা চিৎকার দিলে সাথে সাথে আমি গিয়ে অস্ত্রগুলো কেড়ে নিয়েছি। বনবিট কর্মকর্তা কর্মচারীকে অস্ত্র গুলো দিয়ে ফেলছি। তবে আনোয়ারের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল। পরে মামলার জন্য বন বিভাগ ধুমছাকাটা অফিসে তদন্ত এসে তখন আমার গং সহ অফিসে গিয়েছিলাম। আমি বলছি প্রতিনিয়ত ঈদগড়ের বাহিরে কাঠগুলো বিক্রি করে ধুমছাকাটা এলাকাবাসীর জন্য মামলা দেয়। এ কথা বলার সাথে সাথে রেঞ্জ কর্মকর্তা আমাকে বলছে আমাকে স্যার কেন বললিনা বেটা তখন আমি বলছি আমার জীবনে শিক্ষক ছাড়া কাউকে স্যার বলি নাই। বনের হনুমানকে আমি স্যার বলব কি? তখন বনকর্মচারী রেঞ্জকর্মকর্তাকে বললেন স্যার উনি একজন সম্মানি লোক। উনার ব্যাপারে এলাকাবাসী সহ সবাই জানে। উনি আমাদের অনেক বিপদ থেকে উদ্ধার করেছে। পরে কয়েকজন লোকনিয়ে স্থানীয় ডাঃ জামাল উদ্দিনকে এ বিষয়টি জানালে তিনি বললে একজন সাংবাদিককে কিছু টাকা দিয়ে এ অভিযোগ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। আমার স্থানীয় একজন সংবাদদাতাকে তিনশ টাকা দিয়ে পত্রিকায় নিউজ ছাপিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছেন। এই সংবাদদাতা বিট কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে এক হাজার টাকা নিয়ে নিউজটি ছাপায় নাই। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আজ নয় কাল, কাল নয় পরশু এভাবে নিউজটি ছাপায় নাই। উনি আমাকে বলছে কোন কোন নিউজ ৬মাস থেকে ১বছর সময় লাগে। তখন আমি বলছি সাংবাদিকতায় কি আছে আমি দেখব। এই বলে ২০০৩সালে আমি সাংবাদিকতায় যোগ দিয়েছিলাম। একদিন পুলিশ ও বনবিভাগ যৌথ বৈঠকে আমার বিনিময়ে সিদ্ধান্ত করে আমাকে সব মামলা থেকে বাদ দিয়েছে। এর পরে এলাকাবাসী আমাকে বিভিন্ন সমিতি,কমিটি,মসজিদ,এনজিও সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি,সেক্রেটারী,উপদেষ্টা নির্বাচিত করে। আমি যখন বাড়ী থেকে বের হয় কেউ বলে সালাম, কেউ বলে নমস্কার। তখন আমি সাথে সাথে উত্তর দিই বাজারে আসালে চা,নাস্তা,কলা সহ বিভিন্ন নাস্তা খাওয়ার জন্য আমাকে অনুরোধ করে। সাংবাদিকতার ফাকে ফাকে বাংলাদেশ উন্মোক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আমি এসএসসি পাশ করেছিলাম। আমার বাড়ী হচ্ছে ঈদগড় বাজারের উত্তর পাশে চরপাড়া এলাকায়। সবাই আমার বাড়ীকে সাংবাদিকবাড়ী নামে পরিচিতি। ঈদগড় বাজার আমার একটি সংবাদপত্রের দোকান আছে। সেখানে আমি নিয়মিত বসে থাকি। আমি দালালি,চাঁদাবাজী করিনা। আমার সাথে স্থানীয় পুলিশ,রেঞ্জ কর্মকর্তা,বিট কর্মকর্তা সহ এলাকার সর্বদলের নেতৃবৃন্দরা নিয়মিত বসে থাকে। সবাই আমাকে বলে এলাকার সাংবাদিক নামধারী অনেক দালাল রয়েছে তাদের সাথে চলাফেরা করবেননা। আমি নিজেও গৌরব করে বলতে পারব দীর্ঘ ১২বছর পর্যন্ত সাংবাদিকতায় জড়িত আছে। বর্তমানে দৈনিক হিমছড়ি, চাটগার সংবাদ,ভোরের কাগজ পাঠক ফোরাম সদস্য,পার্বত্যবাণী,অনলাইন পত্রিকা কক্সটুডে,কক্স টাইমস,ঈদগড় প্রতিনিধি হিসাবে নিয়মিত আছি। এছাড়া কক্সবাজার লেখক সোসাইটির সিনিয়ার সদস্য,রামু উপজেলা প্রেসক্লাব অর্থ সম্পাদক রামু জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক,ঈদগড় সাংবাদিক ও লেখক পরিষদের ঈদগড় প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক,ঈদগড় ইউনিয়নের জাতীয় শ্রমিকলীগ সভাপতি,ঈদগড় চারপাড়া ফাতেমারঘোনা জামে মসজিদ এর সর্দার সহ আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।