৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ৩ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  চকরিয়ায় বনের জমিতে বিএনপি নেতাদের পশুর হাট   ●  গলায় ওড়না পেঁচিয়ে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী’র আত্নহত্যা   ●  যারা ক্লাসে ৭০% উপস্থিত থাকবে না তাদের পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেওয়া হবে না- শাহাজাহান চৌধুরী   ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ইন্টার্নি ডাক্তারের হামলায় সংবাদকর্মী আহত

Exif_JPEG_420
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ইন্টার্নি ডাক্তারের উপর্যপুরী হামলায় এক সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইন্টার্নি চিকিৎসক ফরহাদ এর নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি গ্রুপ হাসপাতালের বারান্দায় দৈনিক সমুদ্রবার্তার বিশেষ প্রতিবেদক মো: হারুনুর রশিদ (৩৪) কে বেধড়ক মারধরের পর জরুরী বিভাগের সিটে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা হাসপাতালে ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়। সুত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে কতিপয় ইন্টার্নি ডাক্তার হাসপাতালে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের বাধা দিচ্ছে। তারা অনেক সময় মারমুখি হয়ে উঠে সন্ত্রাসী আচরণ করছে। হাসপাতালের দেওয়ালে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য সেটে দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতার সর্বশেষ সংযোজন সাংবাদিকের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটলো। উল্লেখ্য, গত ১২মার্চ খুরুস্কুল হামজার ডেইল এলাকার আনোয়ার হোসেনের শিশু পুত্র আব্দুলাহকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেয় বলে অভিযোগ উঠে। এই ঘটনা গণমাধ্যমে প্রচার হলে ঐ ইন্টার্নি ডাক্তারেরা সংবাদ কর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরের দিন জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার রতন চৌধুরীর অনুরোধে সাংবাদিকদের সাথে ডাক্তারদের সমঝোতা বৈঠক হয়। বৈঠকে শিশু মৃত্যুর ঘটনার জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ঐ কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে শিশু মৃত্যুর আসল রহস্য বের করে রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়। কিন্তু ইন্টার্নি ডাক্তারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা সন্ত্রাসীরা উপস্থিত সাংবাদিকদের দিকে বার বার তেড়ে আসে। উক্ত সংবাদের জের ধরে ১৫ মার্চ রাত ৯টার দিকে সন্ত্রাসী হামলা চালায় ঐ ইন্টার্নি ডাক্তারেরা।  ইন্টার্নী চিকিৎসক ফরহাদসহ ২০/২৫জন পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক হারুনুর রশিদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সে গুরুত্বর আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করে, ইন্টার্নি ডাক্তাররা চোর ছিনতাইকারীর মতো লোহার রড, লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে কর্তব্যরত সাংবাদিককে। এসময় কয়েকজন ছুরা হাতেও আঘাত করে তাকে। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীর মতো তারা সাংবাদিকের ১টি মূল্যবান ক্যামরা, নগদ ১০০০ টাকা, রেবন চশমা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ফেলে রাখা হয়। আহত সাংবাদিক হারুনুর রশিদ জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হাসপাতালের ইন্টার্নি ডাক্তার নামধারী সন্ত্রাসী ফরহাদের নেতৃত্বে ২০/২৫জন আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার পর হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলা করে আমাকে জরুরী বিভাগে ফেলে রাখে ডাক্তারেরা। অভিযুক্ত হামলাকারী একাধিক চিকিৎসকরা জানান, সে চাঁদা না পেয়ে তাদের উপর অহেতুক গালমন্দ ও ধমক দিলে কয়েকজন ইন্টার্নী চিকিৎসক হালকা চরথাপ্পর দেয়। এতে বড় ধরনের কিছুই হয়নি।  এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে আহত হারুন ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।